সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনী মাঠের অভাব অভিযোগ নিয়ে কার কাছে যাব। কেননা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশন নিজের কথাই বলতে ও আইনি কাঠামোতে কাজ করতে পারছে না। তাদের যা বলা হচ্ছে তারা তাই করছে। এ কারণে বিমান বন্দর থেকে বাড়ী পর্যন্ত শো-ডাউন হলেও তারা দেখতে পান না। আর ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীকে রিসিফ করতে ১০টি মোটর সাইকেল গেলেই তা আচরণ ভঙ্গতে পড়ে। তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষ হলে এখন বিমাতাসুলভ আচরণ আরো বেড়ে গেছে। যেন নির্বাচন করছে পুলিশ মাথায় আশীর্বাদের হাত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ করা হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের ব্যানার-পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে, প্রচারণায় বাধা প্রদান করা হচ্ছে, পুলিশী হয়রানী করাসহ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি’র তিন প্রার্থী। তাদের আশংকা নির্বাচনের দিনে ব্যবহারের জন্য ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের হাতে প্রশাসনিক ভাবে অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ করে ভয় ভীতি প্রদর্শন ও বুথ দখলের চেষ্টা করা হবে। গণ জোয়ার দেখে ভীত সম্ভ্রন্ত হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন সরকার।
শনিবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুর-২ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক, দিনাজপুর-৩ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম এবং দিনাজপুর-৪ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী আকতারুজ্জামান মিয়া এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেয়াসহ কোতয়ালী থানার ওসি রেদওয়ানুর রহিম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলামের প্রত্যাহার দাবি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, লুৎফর রহমান মিন্টু, এ্যাড. আনিসুল হক, আখতারুজ্জামান জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন