বাগেরহাট-১ ও ২ আসনে গনসংযোগের সময় বিএনপির প্রার্থীদের গাড়ি বহরে হামলা করেছে দুবৃত্তরা। পৃথক দুই হামলায় বিএনপির অন্তত ২১ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রবিবার দুপুরে শহরের হরিণখানা পাচ রাস্তার মোরে বাগেরহাট-২(সদর ও কচুয়া) আসনের বিএনপি ও ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী এমএ সালামের গাড়ি বহরে হামলা হয়। এ হামলায় বিএনপির অন্তত ৯ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতরা হলেন, জেলা ছাত্রদল নেতা মারুফ খান, নিয়ামুল কবির রাহুল, আজমাইল শেখ, হৃদয় হাচান, শেখ রনি, পৌর যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মনি, নাসির উদ্দিন হাওলাদার পৌর শ্রমিকদলের কর্মী জসিম শেখ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোহসিন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মারুফ খানের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও বাগেরহাট সদর আসনের প্রার্থী এম এ সালাম বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণা করছিলাম। দুপুরে শহরের হরিণখানা এলাকার পাঁচ রাস্তার মোড় থেকে যাওয়ার সময় নৌকা মার্কার কর্মীরা আমাদের গাড়ি বহরে হামলা করে। এতে আমার ৯ নেতাকর্মী আহত হয়। বহরে থাকা ৪টি মাইক্রোর গ্লাস ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া বাজারে গনসংযোগের সময় বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফিকরাহাট) আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মাসুদ রানার গাড়ি বহরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ হামলায় প্রার্থী মাসুদ রানাসহ ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, শেখ দেলোয়ার, জিয়া, মোদাচ্ছের মল্লিক, মামুন, আব্দুল আলী, বাবু শেখ, পলাশ, হেদায়েত, তরিকুল ইসলাম, সুমন, সোহাগ। আহতের খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বাগেরহাট-১ আসনের প্রার্থী শেখ মাসুদ রানা বলেন, আমরা কোদালিয়া বাজারে গনসংযোগের সময় শতাধিক নৌকা প্রতিকের শতাধিক কর্মী আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। এতে আমিসহ আমার ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ সময় আমার কয়েকজন কর্মীর মোবাইল ফোন নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, বাগেরহাটে বিএনপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলার ঘটনা শুনেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মোল্লাহাটে হামলার ঘটনা আমার নলেজে নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন