সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুমিল্লার ১১ টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রচারণায় নেমেছেন তাদের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরাও

প্রার্থীদের ছেলে-মেয়েদের কাছে পেয়ে তরুণ ভোটাররা জানাচ্ছেন ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার কথা

চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:০০ এএম

কুমিল্লার এগারোটি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রচারণায় নেমেছেন তাদের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরাও। সমান তালে করছেন উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ। তরুণ ভোটাররা প্রার্থীদের ছেলে-মেয়েদের কাছে পেয়ে জানাচ্ছেন ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার কথা। তরুণদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোসহ এলাকার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তাঁরা। জেলার ১১টি আসনে এবার তরুণ ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার ৯১৭ জন। জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী আছেন ১৩৪ জন।

কুমিল্লা-১ আসনের দাউদকান্দিতে গণসংযোগ করছেন বিএনপির প্রার্থী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মারুফ খন্দকার। গত কয়েকদিন ধরে তিনি তারা বাবা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হেসেনের জন্য ধানের শীষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করছেন। অপরদিকে একই আসনের আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মেজর জেনারেল (অবঃ) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগম তিনিও গণসংযোগে নেমেছেন। মাহমুদা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী এর আগেও এ আসনের সাংসদ ছিলেন। এবারও ভোটারের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। ছেলে মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আলী সুমনও বাবার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।
কুমিল্লা-৬ আসনের সদর এলাকায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী আকম বাহাউদ্দিন বাহার এর তনয়া তাহসীন বাহার সূচী কুমিল্লা শহরের আনাচে কানাচে ভোটারদের ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গত বুধবার সকালে রেইসকোর্স,কাঠেরপুল এলাকায় নারী ভোটারদের নিয়ে উঠান বৈঠক করেন তাহসীন বাহার সূচী। তাহসীন বাহার সূচী বলেন, ঘরে ঘরে উঠান বৈঠক করে ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বলছি।
কুমিল্লা-৭ আসনের চান্দিনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক আলী আশরাফেরও এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। রাত-দিন সমানে তিনি নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বসে নেই তাঁর স্ত্রী জাহানারা আশরাফও। উঠান বৈঠকে জাহানারা আশরাফ গত পাঁচ বছরে চান্দিনায় সরকারের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ নারী ভোটারদের সামনে তুলে ধরেন এবং সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা প্রতীকে ভোট চান। জাহানারা আশরাফ বলেন, এলাকার নারীরা পুরুষের সামনে যেতে আগ্রহী না। প্রার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে স্ত্রীকে কাছে পাওয়ায় নারী ভোটাররা খুশি। কারণ, তাঁদের অভিযোগ ও চাওয়া-পাওয়া মন খুলে বলার সুযোগ পাচ্ছেন। আগের তুলনায় ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আশা করছেন তিনি। তবে এই আসনে প্রার্থীর স্ত্রী সাথে ছেলে মোসতাকিম আশরাফ টিটুও বাবার জন্য ভোট প্রার্থনা করে দিন রাত সমান তালে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। কুমিল্লা-৭ চান্দিনায় বিএনপি দলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের ছেলে সুলতান মঙ্গন আহমেদ রবিনও বাবার ভোটের জন্য চান্দিনার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাবার জন্য ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন। কুমিল্লা-১০ আসনের নাঙ্গলকোট সদর দক্ষিণ, লালমাই এলাকার বিএনপি দলীয় ধানের করাবন্দী প্রার্থী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীর মেয়ে ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস বাবার পক্ষ থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধানের শীষে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন। সায়মা ফেরদৌস অভিযোগ করেন, আমার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর থেকে তিনি কারাবন্দী। নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে সাবেক এই সাংসদের জীবন এখন সংকটাপন্ন। সায়মা বলেন, এর বিচারটা আমরা কার কাছে চাইব, জবাব কে দেবে। তাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন বাবার জন্য। সায়মা ফেরদৌস বলেন, তাঁর বাবা এ আসনের সাবেক নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। ঘরে ঘরে বাবার পরিচিতি আছে। তিনি ভোটের মাঠে নারী ভোটারদের সচেতন করছেন ভোট দেওয়ার ব্যাপারে। বাবা মুনিরুল হক চৌধুরী ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং মাদকের অপবাদ থেকে এলাকার বদনাম মুছতে, মানব পাচার রোধ, সন্ত্রাস দমনসহ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তিনি ধানের শীষে ভোট চাইছেন। অপরদিকে কুমিল্লা-১০ আসনের নাঙ্গলকোট সদর দক্ষিণ, লালমাই এলাকার আওয়ালীগের হেভিওয়েট প্রার্থী পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) মেয়ে নাফিসা বাবার জন্য ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি একটি সভায় নাফিসা কামাল বলেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের চিত্র কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে তা আপনারা ভালো করেই জানেন। দক্ষিণ এশিয়ার বিস্ময় রূপে প্রতীয়মান হয়েছে বাংলাদেশ। আর্থ-সামাজিকের বেশির ভাগ সূচকে এগিয়ে গেছি আমরা। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সম্মান দিয়েছেন। আগে নারীরা ঘরের বাইরে বের হতে পারতো না। কিন্তু এখন নারীরা অনেক কিছু করছে। তারা নিজেরাই প্রতিষ্ঠিত। এটা শেখ হাসিনা সরকার না হলে সম্ভব হতো না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন