রাজশাহী-১ আসনে ধানের শীষের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও ধানের শীষের পোস্টারে আগুন দিয়েছে সরকার দলীয় নেতা কর্মীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার কলমা, পাঁচন্দর, সরনজাই, বাধাইড়, তালন্দসহ ৭টি ইউপি এলাকায় বিভিন্নস্থানে ঘটেছে ভাংচুরের ঘটনা। এঘটনায় শুক্রবার উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে ।
এলাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানায়, গত কয়েকদিন ধরে তানোর উপজেলার কলমা, পাঁচন্দর, সরনজাই, বাধাইড়, তালন্দ ইউপি এলাকায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে জাঁকজমক ভাবে প্রচার প্রচারণা চালালেও ধানের শীষের কোন প্রার্থীকে মাঠে নামতে দেয়া তো দূরে থাক তাঁরা বাড়িতে পর্যন্ত থাকতে পারছেনা পুলিশের ভয়ে। নৌকার প্রার্থীর নেতাকর্মীদেরকে গোপনে পুলিশ সহযোগিতা করছে।
এমনকি তারা বিএনপির অফিস ভাংচুর করে উল্টো মিথ্যা গায়েবী মামলা দিচ্ছেন ধানের শীষের কর্মীদের উপর। গতকাল কলমা ইউপি’র আজিমপুর মোড়ে ধানের শীষের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। কিন্তু আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুরর অভিযোগ ৩১জন বিএনপি”র নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়। সেই মামলায় একজনকে বিএনপি’র কর্মী আটক হয়।
ভাংচুরকৃত ধানের শীষের অফিসগুলো হলো,কলমা ইউপি’র আজিমপুর মোড়ে, বিল্লি হাট মোড়ে, চৌরখের, দিবস্থল, পাঁচন্দর ইউপি’র বোনকেশর মোড়,কয়েলহাট বাজার,দুবইল,ইলামদহী,কৃষ্ণপুর বাজার, তালন্দ ইউপি’র লালপুর মোড়সহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে এ ভাংচুরের ত-ব চলে। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী জানান,গত বৃহস্পতিবারে কন্দপুর কেয়া পাড়া, ধননজয়পুর, বিল্লি জিয়া পরিষদের দরজা জানালা ভেঙ্গে দেয়া সহ বহড়া অফিস ভেঙ্গে পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও প্রচার মাইক ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়া হয়েছে । নেতাকর্মীরা চরম আতঙ্কে আছেন ।
এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে প্রচারে নামতে দেয়া হচ্ছে না। ভাংচুরে অংশ নেয় রফিকুল মেম্বারের ছেলে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর, চৈতপুরগ্রামের নুর মোহাম্মাদ, বনগা চকরহমত উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী চকরাম গ্রামের এমরান আলী ও দরগাডাঙ্গা স্কুলের অফিস সহকারী ধননজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা এব চকপাড়া গ্রামের রাসে, দুবইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম,আবদুল মতিন চেয়ারম্যানসহ হেলমেট পরিহিত একাধিক ব্যাক্তি ।
আর এসবের মুলে রয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কলমা ইউপির চেয়ারম্যান সাংসদ ভাতিজা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তাঁর নির্দেশে এমন অবৈধ আইন বহির্ভূত কাজ করে চলেছেন নৌকার হেলমেট বাহিনীরা ।
এদিকে তানোর পৌর বিএনপি’র সভাপতি মক্তিযোদ্ধা আবদুর রহীম জানান, আমরা পালিয়ে থাকার কারণে সব পোস্টার ব্যানার উধাও করে দিয়েছে । আমরা পালিয়ে থাকছি তাঁরা ভোট করছে । এসবই যদি করবে তাহলে আমাদেরকে ভোট করতে না দিলেই হত। আবার বিনা ভোটে চালিয়ে যেত অসুবিধা ছিল না।
তবে কলমা ও পাঁচন্দর ইউপি’র চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না ও আবদুল মতিনের মোবাইলে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেননি । যার কারনে তাদের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন