নৌকার সমর্থকদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মামলা করতে গেলে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছে জেলা পুলিশ। চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদ সম্মেলনে তাকে থানা থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করলেও বাস্তব সত্য হলো তিনি থানায় মামলা করতে যাননি। পুলিশ জাতীয় পার্টির কোন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারও করেনি।
গত শুক্রবার বাঁশখালীর চাম্বল বাজারে পথসভা শেষে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী নেতাকর্মীসহ সদলবলে চাম্বল বাজারে যাওয়ার পথে সিকদারের দোকান এলাকায় গণসংযোগরত নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতা-কর্মীদের কথা কাঁটাকাটি হয়। এর জের ধরে লাঙ্গলের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা বৈলছড়ি বাজারে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।
এরপর লাঙ্গলের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম-বাঁশখালী সড়কের চেচুরিয়া বাজারে অবরোধ করে, গাড়ি ভাঙচুর করে, বৈদ্যুতিক পিলারের ক্ষতি সাধনসহ বাজারের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এছাড়া মাহমুদুল ইসলামের দেহরক্ষীও তার অস্ত্র দ্বারা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উত্তেজিত জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলিতে পিএসআই মোজাম্মেল খান, এসআই সুজন সিকদার, এসআই ফারুক উদ্দিন, কনস্টেবল রুবেল, শরীফ এবং বাছেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন