এদেশে ভোট মানেই উৎসব আর সংসদ নির্বাচন তো আরও বেশি কিছু। তবে এখনকার পরিস্থিতি বলছে ভোট মানে সংঘর্ষ হানাহানি রক্তারক্তি। এ পরিস্থিতি আগামীর বাংলাদেশের জন্য মোটেও শুভ লক্ষণ নয়। ভোটকেন্দ্রিক এসব সহিংসতা তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি রাজনীতি বিমুখ করে তুলছে। এমন মতামত ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বেশ কয়েকজন তরুণ ভোটার। বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার চত্বরে রিফাত ইসলাম তার ভোটকেন্দ্রিক ভাবনা ব্যক্ত করেন, ছোটবেলায় ভোটের দিন সকালে উৎসবমুখর পরিবেশে মা-বাবার সাথে ভোটকেন্দ্রের দিকে যেতাম। কতই না আনন্দ। মা-চাচীরা একসাথে ভোট দিতেন। বড় হয়ে গত ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনে সেরকম কোনো পরিবেশ দেখিনি। এবারের নির্বাচন হচ্ছে সব দলের অংশগ্রহণে। তবে যেভাবে মারামারি হানাহানি লেগে আছে তাতে ভোটের দিন উৎসবমুখর পরিবেশ থাকবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশ^বিদ্যালয় রেল স্টেশন এলাকায় ইকরামুল কবির ও যশোর এলাকার শিক্ষার্থী মাধব দেবনাথ জানান, এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হোক এটাই চাওয়া। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার একটা জাতির জন্য যেমন কল্যাণকর তেমনি গণতন্ত্রের জন্যও শুভ। যেনতেন ভোটে নির্বাচিতরা গণমানুষের মতামতের তোয়াক্কা করেনা। চাকরিতে নিয়োগে দুর্নীতি রোধ করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত হোক তা চায় তরুণরা। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ শিক্ষাক্ষেত্রে যেসব অনিয়ম রয়েছে সেটা দূর করে একটা সুস্থ সুশিক্ষিত জাতি গঠন করা চাই। জামালপুরের আরিফ হোসেন বললেন, ৩০ তারিখ ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ কেমন থাকবে তা নিয়ে সংশয় বেড়ে গেছে। তবে আশার কথা, সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর বিভিন্ন স্থানে বিরোধী পক্ষ গণসংযোগ করেছে। আমরা চাই নির্বিঘ্নে যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন