রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফেনী-১ আসনে লড়াই হবে নৌকা ধানের শীষের মাঠে সরব মহাজোট, আতঙ্কে বিএনপি

ছাগলনাইয়া (ফেনী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৪৮ পিএম

ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম) আসন থেকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া একাধিকবার নির্বাচিত হওয়ায় এ আসনটি ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে দুই মামলায় দন্ডিত হওয়ায় এবার খালেদা জিয়া প্রার্থী হতে পারেনি। এ আসনে জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তরুন রাজনীতিবিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবদলের সভাপতি মুন্সি রফিকুল আলম মজনুকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে শুরু থেকে মজনু প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে নির্বাচনটা তার নয়। তিনি খালেদা জিয়া ছায়া মাত্র। খালেদা জিয়ারই প্রতিনিধিত্ব করছেন। ফুলগাজী উপজেলায় খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ী যার কারণে এ অঞ্চলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে নিয়ে গর্ব করে থাকেন। তবে এবার খালেদা জিয়া মাঠে নেই, জেলে, তাতে কি। মজনুকে নিয়েই মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীরা। নির্বাচনী মাঠে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নেতাকর্মীদের উৎসব মুখর আয়োজন দেখা গেলেও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শংঙ্কা। ধানের শীষ প্রার্থীর গণসংযোগে নেতাকর্মীদের মাঝে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। বরং অনেককে দেখে মনে হয়েছে. তারা ভীত ও আতঙ্কিত । এ আসনের ধানের শীষের পোষ্টারেরও তেমন আধিক্য নেই। তবে নেতাকর্মীদের গণসংযোগে ব্যস্ততা বেশ চোখে পড়ছে। রফিকুল আলম মজনু নিজেকে খালেদা জিয়া প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ভোটারদের কাছে টানছেন। রফিকুল আলম মজনু জানান, প্রত্যাশা অনুযায়ী এখনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে পাচ্ছিনা। মহাজোট প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আমাদের প্রচার প্রচারণায় আক্রমন করছে। নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও কর্মী সমর্থকদের মারধর করছে। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। গতকাল বুধবার দুপুরে আমার ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাচনী অফিস থেকে অন্যায়ভাবে পুলিশ ১০-১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি ফেনী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছি। অপরদিকে, মহাজোট প্রার্থী জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বিরামহীনভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনের আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবের সাবেক কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আলহাজ্ব শেখ আবদুল্লাহ নাটকীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় আওয়ামীলীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীদের নিয়ে অনেকটা টেনশনমুক্তভাবে প্রচার প্রচারণা ও সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন শিরীন আখতার। গত সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই শিরীন আখতার এলাকায় রয়েছেন। তিন উপজেলার রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মী প্রতিষ্ঠানসহ অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ণ করেছেন। যার কারণে ভোটাররা তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন এমনটাই জানালেন জাসদের নেতাকর্মীরা। তবে ভোটারদের অভিমত মহাজোট প্রার্থীর নৌকা এবং বিএনপির প্রার্থীর ধানের শীষের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্ধীতা হবে। এদিকে গতকাল বুধবার বিকেলে ফুলগাজী বাজারে মহাজোট আয়োজিত নৌকা মার্কার সমর্থনে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও মানুষের শান্তি দিয়েছে শেখ হাসিনা। তাই তাকে আবারো ক্ষমতায় এনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ফেনী -১ আসনে শিরীন আখতারের নৌকা প্রতীক হলো বঙ্গবন্ধুর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও এ দেশের গণমানুষের। তাই শিরীন আখতারকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দিতে চাই। নৌকার বিজয়ে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করে তিনি বলেন, শিরীন আখতারকে বিজয়ী করেই আমরা ঘরে ফিরব। এটিতে বিজয়ী হতে পারলে ফেনীবাসীর জন্য পুরস্কার রয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফেনী-১ আসনে মহাজোট প্রার্থী শিরীন আখতার বলেন, আওয়ামীলীগ বিজয়ী হলে বাংলাদেশ হবে সন্ত্রাস ও জ্িঙ্গবাদ নিমূল হবে। দেশ উন্নয়ণ ও উৎসবে মেতে উঠবে। এ আসনে বিভিন্ন দলের যারা নির্বাচন করছেন তারা হচ্ছেন, খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা আনোয়ারু উল্যাহ ভূঁঞা, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা কাজী গোলাম কিবরিয়া, বিএনএফ এর শাহরিয়ার ইকবাল রিয়াদ, ইসলামী ফ্রন্টের কাজী নুরুল আলম , মুসলিমলীগে প্রার্থীর তাকেকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন