হ্যালো প্রার্থী সাহেব। সময় ফুরিয়ে এলো। এখন ঘণ্টা গণনার পালা। তারপরই বাজবে ভোটের ঘণ্টা। কাজেই দৌড়ের ওপর আছেন। দেশ ও দশের কল্যাণ, উন্নতির জন্য আগেই যদি কিছু করতেন তাহলে আমরা ভোটাররাই আপনার পিছে দৌড়াতাম। ভাবছেন যেনতেন প্রকারে জিতবেন। তা হবেনা। এবার ভোটের লড়াই হবে কঠিন। আরামসে নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দেয়া যাবেনা। ‘সিল মারো ভাই সিল মারো, অমুক মার্কায় সিল মারো’? সম্ভব নয়। আমি সকাল সকালেই ভোট দিতে যাব। শুধু কী তাই?
এবার আমি পরিবারের অন্যান্য ভোটার এবং বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাব। আমার ভোট আমিই দেব। সবাই মিলে আগের দিন থেকেই ভোটকেন্দ্র পাহারা দেব। ভোটদানের পর ভোটের হিসাব কড়ায়-গন্ডায় বুঝে নেবো। নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ। আমিসহ ভোটাররা হবো ভোটের পাহারাদার। আমরা চাই খাঁটি নির্বাচন। ভেজাল নয়।
সন্ত্রাস, হামলা-মামলা, হুমকি-ধমকি তো অনেক দিন ধরেই দিয়ে আসছেন। আপনার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীকে মাঠে দাঁড়াতে দেননি। জোর খাটিয়ে তার মুখ বন্ধ রাখতে চেয়েছেন। যাতে আমার কাছে তার কথাগুলো তুলে ধরতে না পারে। আমাকেও ভীত-সন্ত্রস্ত করে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছেন। যাতে ৩০ তারিখ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভয়ে পিছপা হই।
প্রার্থী সাহেব, হয়তো জানেন না, সমস্ত রকম বাধা-বিপত্তির কারণে আমরা ভোটাররা বরং নিজেরাই আপনার প্রতিদ্ব›দ্বীর প্রতি ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠি। যাকে আজ আপনি দুর্বল প্রতিপক্ষ ভাবছেন। তার নির্বাচনী ইশতেহার, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি সম্পর্কে নিবিড়ভাবে জেনেছি। আপনার ওয়াদা-আশ্বাস তো আগেই ঢের জানিয়েছেন। এখন আমি দুই দিক মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো ভোট কাকে দেব।
আমার বিবেচ্য বিষয় হবে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, দেশ ও দশের কল্যাণ, শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ জনগোষ্ঠির ইসলামী ভাবাদর্শ, মূল্যবোধ ও চিন্তা-চেতনার আলোকে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অপরিহার্যতা পরিপূরণ। নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশকে সুন্দর বাসোপযোগী শান্তির ঠিকানা হিসেবে গড়ে তোলা। মাদক, সন্ত্রাস ও অপসংস্কৃতির মুলোৎপাটন। বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত কোটি কোটি তরুণ-যুবশ্রেণির জন্য কর্মসংস্থান এবং দক্ষ জনশক্তির দেশে পরিণত করা। আমি চাই তিস্তাসহ অভিন্ন নদ-নদীর পানির ন্যায্য অধিকার।
দেশ-জাতির প্রত্যাশার নিরিখে এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে সঠিক ও যুগোপযোগী নেতৃত্ব প্রদানে যিনি সক্ষম হবেন তিনি এবং তার দল বা জোট আমার সমর্থনের দাবিদার। ভোট দেব তাকে।
আগেই বলেছিলাম ভোটের দিনটিতে আমি ভোটার একদিনের জন্য ‘রাজা-বাদশাহ’। তাই আমার অনেক দাম, আদর-কদর। ভোট শেষে আপনি আমাদের সুখে-দুঃখে খোঁজ-খবরও রাখেন না। একদিনের রাজা-বাদশাহ হয়ে নিজেকে তো ছোট করতে পারি না। যেনতেনভাবে কাউকে হুজুগের বশে ভোট দেব না। কেউ আমাকে গায়ের জোর দেখিয়েও ভোট আদায় করতে পারবে না। লোভ-লালসার বশবর্তী হয়ে আমার মন গলানো, ভোট কেনাবেচা কিংবা আমার ভোট কারো পক্ষে আদায় করাও অসম্ভব।
আমার ভোটের ক্ষমতায় রাজা-বাদশাহ বানানো যায়। সেহেতু আপনি অথবা যিনিই রাজা-বাদশাহ হওয়ার যোগ্যতা, সততা, জনসেবার মানসিকতা ধারণ-পোষণ করেন তাকেই বেছে নেবো। আমার ভোটটি তিনিই পাবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন