শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা পূরণ হবে কি?

মহিউদ্দিন খান মোহন | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে গত শুক্রবার সকাল থেকে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট গ্রহণের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই প্রচারণা থেমে গেছে। বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত নির্বাচনের এখন শেষ পর্যায়। ভোট গ্রহণ শেষে গণনা ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে এবারের ভোটের লড়াই। আবার অপেক্ষা পরবর্তী নির্বাচনের, যা সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নানা কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ নির্বাচনে দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপির অংশগ্রহণ ছিল অনিশ্চিত। দলের চেয়ারপার্সনের মুক্তি ও নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি মেনে নেওয়া না হলে দলটি নির্বাচনে অংশ নেবে না-এমন কথা বেশ আগে থেকেই বলে আসছিল। আর সেসব দাবির প্রশ্নে সরকারের অনমনীয়তা জনমনে এ শঙ্কার জন্ম দিয়েছিল যে, দেশে বোধহয় আবারও একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও তাতে বিএনপির শরিক হওয়ার পরই দৃশ্যপট বদলে যায়। বিএনপি ঘোষণা করে সে নির্বাচনে যাবে। কোনো দাবি আদায় না করেও নির্বাচনে অংশগ্রহণকে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। বিশেষ করে দলের চেয়ারপার্সনের মুক্তি ব্যতিরেকে নির্বাচনে যাওয়াকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপির নিঃশর্ত আত্মসমর্পন বলেই তারা মনে করে। কিন্তু ‘নেত্রীকে কারামুক্ত করার আন্দোলনের অংশ’ হিসেবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ- কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এ কৌশলী প্রচারণা তৃণমূল নেতাকর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত করে এবং আশান্বিত করে তোলে। তারা এ আশায় বুক বেঁধে আছে যে, নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করলে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে আসবেন।
নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর পরিবেশ খুব একটা খারাপ ছিল একথা বলা যাবে না। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবার পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে দৃশ্যপট। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর তা ভয়াবহ রূপ নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন আসতে থাকে বিএনপি নেতাকমীর্, সমর্থক ও প্রার্থীদের ওপর সরকারদলীয় কর্মীদের হামলার খবর। পাশাপাশি চলতে থাকে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান। যদিও নির্বাচন কমিশন থেকে বিরোধী দলগুলোকে এ মর্মে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, তফসিল ঘোষণার পর কাউকে ‘বিনা কারণে’ গ্রেফতার করবে না পুলিশ। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সে আশ্বাসবাণী আর বাস্তবে প্রতিফলিত হয়নি। প্রতিদিন সারা দেশে দেড়- দুই শ’ বিএনপি নেতাকতর্মীকে আটকের খবর এসেছে। অবশ্য এসব আটক, পুলিশের ভাষায়, বিনা কারণে নয়। কেননা, প্রতিটি গ্রেফতারের পেছনেই তারা নাশকতাসহ কোনো না কোনো মামলা থাকার কথা জানিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীরা সরকার দলীয় কর্মীদের আক্রমণের কবলে পড়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মোহাম্মদ শাহজাহান, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, হাবিবুর রহমান হাবিব, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ অনেকে। এর মধ্যে অনেকেই শারীরিকভাবে অক্রান্ত হয়েছেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের রক্তাক্ত ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সবাই বিস্মিত হয়েছেন। তাদের প্রশ্ন-যখন একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা এমন নৃশংস আক্রমণের শিকার হন, তখন নির্বাচনী মাঠের পরিবেশ সম্পর্কে আর বলার কিছু থাকে কি? যদিও গয়েশ্বর রায়ের প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হমিদ বিপু পরদিন তার সঙ্গে দেখা করে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং লজ্জিত বলে জানিয়েছেন। নসরুল হামিদ বিপুর এ সৌজন্যবোধের প্রশংসা করেছেন সবাই । যেখানে এ ধরনের সহিংস ঘটনার দায় কেউ স্বীকারই করেনা, উল্টো উদোর পিন্ড বুধোর ঘাড়ে চাপনোর চেষ্টা করে, সেখানে আহত প্রতিদ্ব›দ্বীকে দেখতে যাওয়া এবং ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ প্রশংসাযোগ্যই বটে। সবচেয়ে ভালো হতো সরকার দলীয় প্রার্থীরা নিজ নিজ কর্মীদেরকে যদি সংযত রাখার উদ্যোগ নিতেন। তাহলে আর নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে এত বিতর্ক হতো না, পরিবেশও থাকতো সৌহার্দ্যপূর্ণ।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগের অন্ত নেই। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে ব্যর্থতার কথা বলে আসছিল। যদিও সিইসি বারংবার বলার চেষ্টা করেছেন, নির্বাচনী মাঠে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে তারা সচেষ্ট আছেন এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিদ্যমান আছে। তবে, এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার বিষয়টি চেপে রাখা যায়নি। এ নিয়ে সিইসি কে এম নূরুল হুদা ও ইসি মাহবুব তালুকদারের বাগযুদ্ধের কথা কারো অজানা নেই। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি প্রার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলা ইসি মাহবুব তালুকদারের কথাকেই সত্য বলে প্রমাণ করেছে। তারপরও বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে।
এদিকে নির্বাচনী মাঠের অবস্থাদৃষ্টে অনেকের মনেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকেবে কি না। সরকারি দলের ক্রমাগত হামলার মুখে তারা যে কোনো মুহূর্তে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমমন্ত্রী স্বয়ং। এ ব্যাপারে দলীয় নেতাদের তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিএনপির একটি অংশ ও তৃণমূল নেতারা চায় দলটি নির্বাচন থেকে সরে আসুক। তবে, নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থানে রয়েছে ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম। এ নিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বাক-বিতন্ডা হয়েছে বলেও পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে। বৈঠক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে, ড. কামাল হোসেন স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যতই হামলা-মামলা হোক শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে হবে। বিএনপি যদি একক কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে গণফোরাম নির্বাচনে থাকবে’। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব নির্বাচনী মাঠের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আগমদ নির্বাচনী প্রচার থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন এবং বিভিন্ন জেলা থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু ড. কামাল হোসেন জানিয়ে দেন, ‘যত নির্যাতনই হোক নির্বাচন থেকে সরে আসা যাবে না। ভোটের দিন চিত্র অন্যরকম হবে’।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সহিংসতামুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন আগে ও পরে কর্তৃপক্ষকে সহিংসতামুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; যাতে করে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব ‘কর্তৃপক্ষ’ বলতে নির্বাচন কমিশনকেই বুঝিয়ে থাকবেন; যে নির্বাচন পরিচালনার মূল দায়িত্বে রয়েছে। কিন্তু ইসি এ পর্যন্ত যে ভ‚মিকা পালন করেছে, তাতে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাক্সিক্ষত পরিবেশ নিশ্চিত করা তাদের দ্বারা সম্ভব হবে কি না সে বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষেরই সংশয় রয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে দেশের বিশিষ্টজনরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, প্রশাসনকে দলীয়করণ এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক বৃটিশ মন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর অব্যাহত হামলা গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করারও আহ্বান জানান বিবৃতিতে। একই দিনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক প্রতিবেদনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে দমনমূলক পরিবেশ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করে। জাতিসংঘ মহাসচিব বা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার এসব পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য নির্বাচন কমিশন কতটা ধর্তব্যের মধ্যে নেবে তা নিয়ে প্রায় সবারই সংশয় রয়েছে। কারণ, হামলা মামলার সব ঘটনা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরেও যিনি ‘নিবাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিদ্যমান রয়েছে’ বলে মনে করেন, তার কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করা ঠিক না।
তবে, সিইসি যাই বলুন বা করুন ইসি মাহবুব তালুকদারের সর্বশেষ বিবৃতি দেশবাসীর মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গত ২৬ ডিসেম্বর তিনি নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে চারদফা সতর্কবার্তা সংবলিত একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেই হয় না, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আইনানুগ হতে হয়। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে আমরা কলঙ্কিত হতে চাই না। নির্বাচনে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসের ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে মাহবুব বলেন, নির্বাচন ও সন্ত্রাস এক সঙ্গে চলতে পারে না। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অতি উৎসাহী হয়ে কোনো অনভিপ্রেত আচরণ না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। প্রত্যেকের প্রতি সমআচরণ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন আপনাদের কর্তব্য। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইসি মাহবুব বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে আপনারা এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছেন। বিবেক সমুন্নত রেখে, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সাহসিকতার সাথে আইন অনুযায়ী নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। মাহবুব তালুকদার ভোটারদেরকে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে যার যার ইচ্ছা অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের কথার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ নেই। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে এর সুষ্ঠুতা, নিরপেক্ষতা অপরিহার্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করতে কতটুকু সক্ষম হবে সেটা অবশ্য বড় প্রশ্ন।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন গত ২১ ডিসেম্বর নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে দেশ মহাসঙ্কটে পড়বে। সে মহাসঙ্কট কী ধরনের তা অবশ্য তিনি পরিষ্কার করেননি। তবে, দেশবাসীর অবস্থা তো ঘরপোড়া গরুর মতো। তারা আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয়ে কেঁপে উঠে। বহু কাক্সিক্ষত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন কোনো পরিস্থিতির যেন উদ্ভব না হয়, যাতে আমাদের গণতন্ত্র নতুন সঙ্কটে পড়ে। দেশবাসীর প্রত্যাশা এটুকুই।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন