অভিযোগ, সংশয় ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মুক্তিকামী মানুষ, নতুন ও তরুণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তারা তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। ভোট প্রয়োগের জন্য যাবেন ভোটকেন্দ্রে। এদিকে তিনদিনের টানা ছুটির সুযোগে গ্রামে ছুটে গেছেন অনেকে ভোট দিতে। এতে প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম নগরী।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোট দিতে যাবেন তারা। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে ভোট হবে ইভিএমে। এতে খুশি জামালখান ওয়ার্ডের অনেক মহিলা ভোটার। তারা বলেছেন ইতোমধ্যে মক ভোট দিয়েছি। তাই এ পদ্ধতি অনেক সহজ। হাতে কোন কালি লাগছে না। সকালে রান্নাবান্না শেষ করে যাবো যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে। যারা দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারবে।
মেহেদীবাগ এলাকার বেশকিছু ভোটার বলেছেন আমরা সবসময় দেখেছি ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বেশীরভাগ মানুষ সম্ভাব্য জয়ী প্রার্থী বা দলকে প্রাধান্য দেয়। ফলে অনেক সৎ, যোগ্য প্রার্থী উপেক্ষার শিকার হন। তাই সৎ, যোগ্য এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন ব্যক্তিকেই ভোট দেব। পাথরঘাটা এলাকার কল্লোলের স্ত্রী, পুত্রসহ পরিবারের সংখ্যা পাঁচজন।
কখন ভোট দিতে যাবেন এর উত্তরে তিনি বলেন, আমরা সবাই ভোটার। তার মধ্যে এবার দুইজন নতুন ভোটার হয়েছেন। তাই শীতের মধ্যেও পরিবারের সবাইকে নিয়ে সকালে ভোট দিয়ে বাসায় চলে আসবো।
মফিজুল ইসলাম এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটার হয়েছেন। পরিবারের অন্যান্যদের সাথে ভোট দিতে যাবেন। কাকে ভোট দিবেন নতুন ভোটার হিসেবে এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন। তারপরও নতুন ভোটার হওয়ার কথা বলতে আনন্দ লাগার সুবাদে মফিজুল ইসলাম বলেন, আজকের তরুণ প্রজন্ম কখনো ভুল করবে না। ওরা জানে, সত্য মিথ্যার তফাৎ।
সত্য সবসময় সত্য। সেই সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢেকে দেয়া যায় না।
তাই এবারের সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটাররাই হবেন জয় পরাজয়ের নির্ধারক। এদের ভোটে জাতি শান্তি ও তাদের পূর্ণাঙ্গ অধিকার পাবে। দেশ হবে উন্নত থেকে আরও উন্নততর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন