লক্ষ্মীপুরে ৪টি আসনে রাতেই বেশিরভাগ কেন্দ্রের ভোট কেটে নেয় আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পক্ষে প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া ভোট শুরু হওয়ার আগেই প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্রে মারধর ও ভয়ভীতি বের করে দেয়া হয়। পরে নৌকার সমর্থকরা নৌকা প্রতীকের সিল মেরে বাক্্রভর্তি করে। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এ সময় বেশ কয়েকজন ভোটার অভিযোগ করে বলেন, কিসের ভোট,কার ভোট, কে দেয় ভোট। কিছুই বুঝিনা। রাতেই ছিল মুহমুহ ককটেল বিস্ফোরনের শব্দ। মানুষ ছিল আতংকে। ছিল না কারো চোখে ঘুম। সকাল বেলায় কেন্দ্রে এসে শূনি ভোট দেয়া হয়ে গেছে। কি আর করব। কার কাছে দিব বিচার। এদের বিচার আল্লাহ করুক। আর কি কোন দিন নিজের ভোট দিতে পারবনা। এমন কাহিনী ছিল সাধারন ভোটারদের মুখে মুখে। একই চিত্র ছিল লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ,২ রায়পুর ও ৪ রামগতি-কমলনগর আসনের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে। অপরদিকে ২ আসনের মকরধ্বজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জোরপূর্বক আওয়ামীলীগ সমর্থিত আপেল প্রতীকে সিল মারতে গেলে সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষে বাধে। এসময় নৌকার কর্মী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন ভূইয়াকে ভোটাররা মারধর করে। এছাড়া নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত আপেল প্রতীকে সিল মারা নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসময় কেন্দ্রের বাহিরে আইনশৃংখলা বাহিনীর নিয়োজিত দুইটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনাও ঘটে। এছাড়া ৪ টি আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে এ হামলা-সংর্ঘষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন