শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

নির্বাচন নিয়ে কিছু কথা

তৈমূর আলম খন্দকার | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সরকারি ঘরনার লোকদের প্রশংসার অন্ত নেই। বিদেশ থেকেও অভিনন্দন আসছে। কেন্দ্রে ভোটারের পরিমাণ, কাস্টিং ভোট, বিজয়ী প্রার্থীর ভোট ও বিজিত প্রার্থীর ভোট, ব্যালট পেপারে ভোট দাতার স্বাক্ষর আছে কি নেই বা ভোটার আদৌ ভোট দিতে পেরেছে কিনা, এসব বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। বক্তব্য রয়েছে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা, গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ইত্যাদি নিয়ে। তবে ভিন্ন মতামত দিয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন। তাদের অভিমত নিম্নরূপ:
‘৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপক অনিয়ম তদন্তের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র। তারা অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ সমাধানের আহবান জানিয়েছে। ১০ বছর পর জাতীয় নির্বাচনে বড় বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত প্রত্যাশা করেছে।’ জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে এক বিবৃতিতে সহিংসতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘লোকজন ও সম্পদের ওপর হামলা এবং সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়’। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘নির্বাচনে অনিয়মের খবর ও সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘ অবগত। নির্বাচনী প্রচারণা এবং ভোটের দিনে প্রার্থী ও ভোটারদের হতাহত হওয়ার খবরে আমরা দুঃখিত। বিরোধীদের অংশগ্রহণকে আমরা স্বাগত জানাই। জনগণের মতপ্রকাশ ও সমবেত হওয়ার স্বার্থে আমরা সব পক্ষকে সংযত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ করার আহবান জানাই।’ ইইউর মুখপাত্র গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল তাদের অবহিত করেছে। সহিংসতা নির্বাচনের দিনকে নষ্ট করেছে। পুরো প্রক্রিয়ায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা ছিল। এটি নির্বাচনি প্রচারণা ও ভোট প্রভাব ফেলেছে।’ ইইউ মুখপাত্র বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগগুলোর বিষয়ে এখন সংশ্লিষ্ট জাতীয় কর্তৃপক্ষগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করা এবং পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করা উচিত।’ তিনি বলেন, ইইউ বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও মৌলিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অগ্রযাত্রা দেখতে চায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ইইউ তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশে নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোটদানে বিরত রাখার অনিয়মের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়েছে, এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর যে আস্থা, তা খর্ব হয়েছে। এসব অনিয়মের বিষয়ে সব পক্ষকে নিয়ে গঠনমূলকভাবে সমাধান করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোরালো আবহান জানিয়েছে দেশটি। মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো ‘বাংলাদেশ ইলেকশন’ শীর্ষক বিবৃতিতে আরো বলেছেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ের হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্টের বিষয়ে উদ্বেগের সঙ্গে নোট নিচ্ছি। ওইসব কারণে বিরোধী দলীয় বহু প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা মুক্তভাবে সভা, র‌্যালি ও নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেননি। নির্বাচনের দিন কিছু মানুষকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। এটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি যে আস্থা আছে তাকে খর্ব করেছে। নির্বাচনের দিনের এ অনিয়মের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সব দলকে আমরা সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ করছি অনিয়মের বিষয়ে সমাধান করতে সব পক্ষকে নিয়ে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ ফুটে উঠেছে। তিনি বলেছেন, গ্রেফতারসহ সব রকম বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে আমি অবহিত। এমন গ্রেফতারের কারণে বিরোধী দলগুলোতে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের প্রচারণায় বিরত রাখা হয়েছে। নির্বাচনের দিনে নির্বাচন পরিচালনায় যেসব অনিয়ম হয়েছে, অনেক মানুষকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি, এসব অনিয়মের বিষয়ে আমরা অবহিত। মার্ক ফিল্ড তার বিবৃতিতে আরো বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে যেসব ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, অন্যায়ভাবে সহিংসতা করা হয়েছে তার জন্য আমি হতাশা প্রকাশ করছি। নির্বাচনের দিনে এত মানুষের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের প্রতি আমার সহমর্মিতা। (সূত্র: বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা)।
নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা এবং ভবিষ্যত নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা নিয়েও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার কমিটির কো-চেয়ারম্যান জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন। এ মর্মে পত্রিকায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা নিম্নরূপ:
‘প্রধামন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সুন্দর সমন্বয়, শৃঙ্খলা আগে কখনো হয়নি। ভবিষ্যতে যেন এই শৃঙ্খলা ধরে রাখা যায়, সেই চেষ্টা থাকবে। ৬ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এইচ টি ইমাম এর নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি দল একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সাংবিধানিক দায়িত্ব অত্যন্ত সুন্দরভাবে পালন করায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাতে আসেন। এইচ টি ইমাম বলেন, এবারের নির্বাচনের মতো এত বড় আকারের নির্বাচন বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি। এত বিশাল সংখ্যক মানুষকে একত্র করে সমন্বয় করা, এবারের মতো এত সুন্দর সমন্বয় আগে কখনো হয়নি। এটি আমাদের সবচেয়ে গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনকে সহায়তা করার যে বিষয়গুলো ছিল, প্রত্যেকটি কাজ সরকার করেছে। ছোট থেকে বড়, উঁচু পর্যায় থেকে নিচু পর্যায় পর্যন্ত, সামরিক-বেসামরিক, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই যে কাজ করেছেন, এগুলো নিয়েই মূলত আমরা আলোচনা করেছি। এই শৃঙ্খলাকে কীভাবে ধরে রাখা যায়, সমন্বয়টাকে কীভাবে ধরে রাখা যায়, ভবিষ্যতে অনেকগুলো নির্বাচন আসছে, সেই নির্বাচনগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে, গ্রহণযোগ্যভাবে করা যায়, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’ (সূত্র: জাতীয় পত্রিকা)। সরকার দলীয় প্রচার কমিটির কো-চেয়ারম্যানের বক্তব্যে এটাই প্রকাশিত হয়েছে যে, আগামীতেও এর চেয়ে শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সব কিছুই ঠিক থাকবে, শুধু গায়েবি মামলায় সরকার বিরোধীরা থাকবে হয় জেলখানায় নতুবা বাড়িঘর ছাড়া পলাতক অবস্থায়।
নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও কমিশনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মামলা করার জন্য বিএনপি মহাসচিব প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ ঘুরে ফিরে বিএনপি বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হতে চলছে। রাষ্ট্র যখন কতৃত্ববাদের কবলে পড়ে তখন রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ অনেকাংশে কার্যকারিতা হারিয়ে ব্যক্তিনির্ভর হয়ে পড়ে, যেমনটি ঘটেছিল ভেনেজুয়েলায়।
জাতীয় পত্রিকান্তরে প্রকাশ, ভেনেজুয়েলার সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি ক্রিশ্চিয়ান জেরপা দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন। এক সময়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জেরপা একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার বিরোধিতা করে তিনি দেশে ছেড়েছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছর নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আরোহন করেন নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু বিচারপতি ক্রিশ্চিয়ান জেরপা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রেডিও স্টেশনকে বলেন, ভেনেজুয়েলার সেই নির্বাচন অবাধ ও প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ ছিল না। ক্রিশ্চিয়ান জেরপা আরও অভিযোগ করেন, নিকোলাস মাদুরো পদ্ধতিগতভাবে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছেন। অবশ্য জেরপার দেশ ছেড়ে পালানোর ঘটনায় সুপ্রিমকোর্ট বলেছেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন জেরপা। তাছাড়া ২০১৮ সালে দেশটির নির্বাচন বর্জন করেছিল বিরোধীদলগুলো। সেই নির্বাচনকে জালিয়াতি হিসেবে অভিহিত করে তারা। ২০১৬ সালে কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে আইনি বিষয়গুলো লেখার ক্ষেত্রে আদালতে মাদুরোর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন জেরপা। জেরপা সে সময় প্রেসিডেন্টের হয়ে কংগ্রেসের ক্ষমতা খর্বের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। গত বছরের নির্বাচনে বিজয়ী মাদুরো দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন। ২০১৮-র মে মাসে অনুষ্ঠিত ওই ভোটের প্রতিবাদে ১৪টি দেশ কারাকাস থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে এনেছিল। যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর দিয়েছিল নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। অনুরূপ ঘটনা থেকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ব্যতিক্রম নয়। বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার শেষ বিদায়ের করুণ চিত্রই প্রমাণ করে বাংলাদেশের সুষ্ঠুতা, নিরপেক্ষতা, সুশাসন বা আইনের শাসন আজ কোথায় আছে। ভবিষ্যৎ কোথায় যাচ্ছে তাও পর্যালোচনার বিষয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (17)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
এটা কোনো নির্বাচনই ছিল না।এতবড় প্রহসন এর আগে কখনও হয়নি।
Total Reply(0)
Nazmul Hasan Opu ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
ইন্টারনেট বন্ধ, গাড়ি বন্ধ, তারপর রাতের অন্ধকারে ...পাহাড়ায় সিলমারা আর বাক্স ভরা। প্রমাণটা তাহলে কীভাবে দিবে? আর আ.লীগের নেতাকর্মীরাই এখন বুক ফুলিয়ে এসব বলে বেড়াচ্ছেন।
Total Reply(0)
রাজিব ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
সবাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে যোগ দিয়ে সম্মিলিতভাবে ত্তত্বাবোধায়ক সরকারের অধীন পুনঃনির্বাচন আদায়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিন।
Total Reply(0)
তাসলিমা বেগম ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
সুস্থ মস্তিষ্কের যে কোন মানুষ যার এতটুকু নীতি নৈতিকতা আছে সে-ই এই নির্বাচনকে কলংকিত বলতে বাধ্য। এভাবে নজিরবিহীনভাবে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই কিন্তু সেটাই হয়েছে
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ এরূপ নির্বাচন করেছিল এবং এ দেশের মানুষ তা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। ২০১৮ তে আওয়ামী লীগ আবারো দেশের মানুষকে তাদের অতীত জানার আগ্রহী করে দিল।
Total Reply(0)
Zulfiqar Ahmed ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
এই কলংকিত নির্বাচন জাতি চিরজীবন মনে রাখবে।
Total Reply(0)
আমিন মুন্সি ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
আগের রাতে যে ভোট হয়েছে সেটা এখন ওপেন সিক্রেট, আওয়ামিলিগের লোকজন রাই এটা এখন বলাবলি করছে।
Total Reply(0)
আমিন মুন্সি ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
এই নির্বাচন কলংকের নির্বাচনই শুধু নয়, এ নির্বাচন আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। জনগণের সাথে এমন প্রতারণা করা কোন দল টিকতে পারে না, আওয়ামী লীগও টিকবে না। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যেই আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
MD.ABDUR RAHMAN ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
এই নির্বাচন কলংকের নির্বাচনই শুধু নয়, এ নির্বাচন আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। জনগণের সাথে এমন প্রতারণা করা কোন দল টিকতে পারে না, আওয়ামী লীগও টিকবে না। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যেই আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
MD. FAISAL ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
ক্ষমতার জোরে বিরোধি দল-মতকে চরমভাবে নিষ্পেষিত করে আওয়ামী লীগ আগামীতে বিরোধি দল হিসেবে বেঁচে থাকার সাহস-শক্তি হারিয়েছে। এখন আমৃত্যু ক্ষমতা ভিন্ন তাদের আর কোন ‘সেফ এক্সিট’ নাই।
Total Reply(0)
nasiruddin ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
আগে বলতে শুনেছি আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশী তাকে দিবো । কিন্তু বর্তমান আওয়ামীলীগ এটাকে উল্টো দিকে নিয়ে গেছে। তারা বলে আমার ভোট আমি দেবো, তোমার ভোটও আমি দেবো।
Total Reply(0)
Zulfiqar Ahmed ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
আমি নিজে সেন্টারের প্রথম ভোটার ছিলাম। ঢুকার টাইমে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আমাকে ভুল দিক দেখিয়ে দেয়। পরে ঘুরে এসে নিজের বুথ পেয়ে ৮.১০ এ ভোট দিতে যেয়ে দেখি বাক্স অর্ধেক ভরা। আগে কাউকে দেখি নাই, পরেও ১ জন ছিলো মাত্র। কেন্দ্রে তো ছবি তোলা যায় না- কীভাবে প্রমান রাখবো?
Total Reply(0)
Lekhon ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
ভোটের দিন আমার এক পরিচিত এলাকার ভাই সাথে দেখা হল । তিনি ছাত্র লীগ করে । চোখে তার ঘুম ঘুম ভাব । বললাম চোখে ঘুম কেন ভাই ?একটু হেসে বললো ৩০ তারিখের ভোটারদের কাজ আমরা ২৯ তারিখে রাত্রে করে ফেলছি ।
Total Reply(0)
Kazi Jamal ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
৩০ তারিখে কি আসলে ভোট উৎসব হয়েছে নাকি ভোট ডাকাতি হয়েছে? এই নিয়ে একটা জরীপ প্রথমআলো করতে পারে। তবে বামদল গুলো যা বলছে তা কিন্তু ভুল না, এবারের নির্বাচন আসলে সব দিক থেকেই ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে। ভোট চুরি মানে হলো লোকচক্ষুর আড়ালে ভোট দেয়া আর ভোট ডাকাতি হলো প্রকাশ্যে সবার সামনে নিজের মার্কায় সিল মারা। ভাবতে অবাক লাগে, এমন নির্বাচন করে ইসি, পুলিশ পার্টি করে বেড়ায়। আর আমরা এতোসব দেখেও কোন প্রতিবাদ করতে পারছি না! তবে আশার কথা হলো এই যে, সব অন্ধকারের শেষে কিন্তু আলো থাকে। দেখা যাক আর কতদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে ঐ আলো দেখার জন্যে।
Total Reply(0)
Nur Alam ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
আওয়ামীদের যদি ন্যূনতম লজ্জা শরম থাকে তাহলে বলতে পারে না তারা সুষ্ঠ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। একমাত্র আওয়ামীরা ছাড়া দেশে কেউ বলে না যে এই নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে, সবাই এক বাক্যে বলছে এটা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলংকময় ভোট ডাকাতি ও প্রহসনের নির্বাচন।
Total Reply(0)
শেখ সায়ফুল্লাহ ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। এবার আমাদের দেখানো হল জনগণ আসলেই কোন ক্ষমতা রাখে না। এখন ক্ষমতা রাখে পুলিশ‍! এর আগের নির্বাচনগুলোতেও ভোট ডাকাতির কথা শুনেছি। ছবি দেখেছি ভোট ডাকাতির, খবর পড়েছি। ভিডিও দেখেছি। কিন্তু সেখানে দলীয় লোকেরা মিলে-মিশে ভোট ডাকাতি করেছে। পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল সহযোগীর ভূমিকায়। কিন্তু এবার ক্ষোদ পুলিশ নেমেছিল ভোট ডাকাতি করতে। বিভিন্ন কেন্দ্রে পুলিশ ঢুকতে দিচ্ছিলন না সাধারণ ভোটারদের, তার ভিডিও দেখলাম, পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে শান্ত-শিষ্ট একটা ভোটকেন্দ্রকে আতঙ্কের জনপদ বানিয়ে দখল করে নিল, সেটাও দেখলাম! এর পরও একে যারা নির্বাচন বলে তাদের উর্বর মস্তিস্কের জন্য দুঃখিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই। - - - আওয়ামীলীগ এখন ক্ষমতা এককভাবে কুক্ষিগত করে নিয়েছে। ক্ষমতা খুব খারাপ জিনিস। আর এরকম একক ক্ষমতা আরো ভয়ঙ্কর জিনিস। বিগত ১০ বছরের আওয়ামিলীগের যে খুনী চেহারা দেখেছি এবার সেটা পৈশাচিকতায় রূপ নিতে বাধ্য। নির্বাচনের পর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ঘটনা তার স্বাক্ষী! এই পৈশাচিকতা রুখতে হলে সবাইকে অন্তত দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। অন্যথায় কেউই এই পৈশাচিকতার হাত থেকে রক্ষা পাবে না।
Total Reply(0)
miraj ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৪৮ এএম says : 0
jonogon er kono khomota nai bortomana
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন