দেড় মাসাধিককাল কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি কারা নির্যাতিত যুবনেতা মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ। ১৫ নং মামলার আসামি হয়ে জেলে ঢুকে ২২ মামলার আসামি হয়ে জেল থেকে বের হলেন তিনি। জেল থেকে নিয়ে এলেন আরও ৭ গায়েবী মামলা।
বিনা মামলা, বিনা ওয়ারেন্টে কোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর ৭টি গায়েবি মামলার জামিন শেষে গত বুধবার রাতে তিনি নরসিংদী কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। তাকে জেলগেটে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান নরসিংদী জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মঞ্জুর এলাহী। এ সময় জেলা, থানা ও শহর বিএনপিসহ জেলা যুবদলের বহু সংখ্যক নেতাকর্মী জেলগেটে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার হবার পূর্বে নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস, যুবদল সভাপতি মহসিন হুসাইন বিদ্যুতের বিরুদ্ধে মোট ১৫টি গায়েবি মামলা ছিল। এরমধ্যে ১৪টি মামলায় বিভিন্ন সময়ে হাজত খেটে জামিন লাভ করেন। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ বিএনপির পৌনে দুই শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যখন ১৫ নম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়, তখন মহসিন হোসাইন ছিলেন কারাগারে। কারাগারে থেকেও এই গায়েবী মামলা থেকে বাঁচতে পারেননি মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তার রিমান্ড আবেদনসহ তাকে কোর্টে চালান দেয়। আদালত তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দেন। এমনি প্রক্রিয়ায় তাকে খায়রুল কবির খোকনের সাথে নরসিংদী কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে আরো ৭টি মামলা দায়ের করা হয়।
সদ্য কারামুক্ত যুবদল নেতা মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে গ্রেফতার হবার পূর্বে ১৪টি মামলা ছিল। সবক’টি মামলাতেই তিনি জামিনে ছিলেন। ১৫ নম্বর মামলায় আত্মসমর্পণের সময় আদালতকে জানানো হয় যে, এই মামলাটি দায়েরের সময় তিনি জেলে ছিলেন। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে জামিন প্রদান করেন। এরপরও তাকে বিনা মামলা বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে আরো ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। প্রতিদিন মামলায় পুলিশ তাকে রিমান্ডের আবেদন জানায়। বিচারক তার দুটি মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ অনুমতি দেয়। তিনি জানান, নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্যই পরিকল্পিতভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পরিকল্পিতভাবে তাকে পরপর ৭টি গায়েবি মামলায় আসামি করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন