রাজশাহীর তানোরের মুণ্ডুমালা পৌরসভায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়ান ফর সেলফ রিয়ালেন্স কমিউনিকেশন এ্যান্ড হেলথ’ ‘ডাসকো’-এর পুকুর খনন প্রকল্পে পুকুর চুরির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে প্রকল্পের পুকুর খননের কাজ শুরু না হতেই প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ তছরুপের আশঙ্কা দেখা দেয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী সরেজমিন প্রকল্পভুক্ত পুকুর পরিদর্শনের দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আবার ঠিকাদার পুকুর পুনঃ খননের জন্য স্কেলেটর (ভেকু) মেশিন মালিকের সঙ্গে সাড়ে ৬ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অথচ ওই পুকুর পুনঃ খননে প্রায় সাড়ে ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে সাধারণের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে ডাসকো কি সরেজমিন পুকুর পরিদর্শন না করেই প্রকল্পের অর্থ লোপাটের জন্য এভাবে দরপত্র আহবান করেছেন না নেপথ্যে অন্যকিছু রয়েছে সেটা তো অবশ্যই সরেজমিন তদন্ত বা অনুসন্ধানের দাবি রাখে না কি-?
জানা গেছে, তানোরের মুণ্ডুমালা পৌরসভার জৈতগরীব এলাকায় একটি সরকারি খাস পুকুর পুনঃখননের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহবান করেন। তবে স্থানীয়দের অভিমত পৌর কর্তৃপক্ষ অপ্রচলিত দৈনিকে দরপত্র আহবান করে ওই দিন রাজশাহীতে আশা পত্রিকার সব কপি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এবং প্রায় ২ লাখ টাকায় নেগোসেশিয়ান (সমঝোতা) মাধ্যমে কাজটি হাতিয়ে নেয় মেয়রের ঘনিষ্ঠ সহচর সাইদুর রহমান। এদিকে কোনো সাম্ভব্যতা যাচাই বা সরেজমিন পুকুর পরিদর্শন না করেই পুকুর খননের জন্য মনগড়া ভাবে বিপুল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দিয়ে তা তছরুপের আয়োজন করেছেন বলে অভিমত সচেতন মহলের। আবার এসব পুকুর পুনঃখনন প্রকল্প কাজের সাম্ভব্য ব্যয় ও বরাদ্দের পরিমাণ নিয়ে আকাশ-পাতাল পার্থক্য থাকায় ডাসকোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিয়ে সাধারণের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট মেয়র , ডাসকো কর্মকর্তা ও প্রকল্প সভাপতি মিলেমিশে এসব টাকা তছরুপের উদেশ্যে এসব পুকুর পুনঃখননের প্রকল্পে বিরাট অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। পৌরসভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এসব প্রকল্প নিয়ে আসতে ডাসকোর কতিপয় কর্মকর্তার পিছনে বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। আর আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে এসব কর্মকর্তারা প্রকল্পভুক্ত পুকুর সরেজমিন পরিদর্শন না করেই এভাবে অর্থ বরাদ্দ করেছেন। সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই ডাসকো’র পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পে পুকুর চুরির বিষয়টি প্রমাণিত হবে। এব্যাপারে জানতে চাইলে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেউ অবৈধ সুবিধা পেতে ব্যর্থ হয়ে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিতে পারেন। তিনি বলেন, ডাসকোর প্রকল্পে অনিয়ম-দূর্নীতির কোনো সুযোগ নাই। এব্যাপারে মুন্ডুমালা পৌরসভায় দায়িত্বরত ডাসকো কর্মকর্তাও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের প্রকল্পে অনিয়মের কোনো সুযোগ নাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন