শব্দদূষণ রোধ করুন
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত অনেক শব্দ শুনতে পাই। এসব শব্দ নিঃসন্দেহে মানুষ ও জীবজন্তুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । তারপরও আজকাল মানুষ বিনা প্রয়োজনে হর্ন বাজিয়ে ও মাইক বাজিয়ে শব্দ দূষণ করে চলছে। এছাড়া কলকারখানার বড় বড় যন্ত্রপাতির ব্যবহারও শব্দদূষণের অন্যতম কারণ। এই শব্দদূষণ মানুষের শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। আর এর ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমে ব্যাঘাত ও কর্মক্ষমতা হ্রাসসহ বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। তাই এসব সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে অতিদ্রুত শব্দ দূষণ রোধ করা প্রয়োজন। এজন্য প্রথমে দেশের সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
২০০৬ সালে পাসকৃত শব্দদূষণ আইন সরকার যদি বাস্তবে রূপ দিতে পারে তাহলে শব্দদূষণ রোধ করা সম্ভব হবে। আর আমরা একটু সচেতন হলেই শব্দদূষণ
চিরতরে বন্ধ হবে।
মোঃ মানিক উল্লাহ,
এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে
রমজান আসতে আর কিছুদিন বাকি। যে রমজান আমাদের জন্য নিয়ে আসে রহমত, নাজাত ও মাগফেরাতের বার্তাÑ সেই রমজান আসার আগেই শুরু হয়ে যায় অনৈতিক কার্যকলাপ যা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে হিসেবে কখনই হওয়ার কথা নয়। অতীতের মতো এবারও কুচক্রী মহল একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েই চলছে। লাগামহীনভাবে দাম বাড়িয়ে রমজান মাসের পবিত্রতা নষ্টের পায়তারা করছে। যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে মনে হয় রমজান মাস সওয়াবের নয়, ব্যবসার মাস। দাম বাড়ানো কুচক্রী মহলকে ধরে শায়েস্তা করা অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য দরকার সরকারি উদ্যোগ। সরকারি উদ্যোগে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে রমজান মাসে সুশৃঙ্খল একটি বাজার ব্যবস্থা উপহার দিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ আজিনুর রহমান লিমন,
ডিমলা, নীলফামারী।
মর্নিং স্কুল কেন নয়?
কাঠফাটা গরমে জনজীবন যেখানে দুর্বিষহ সেখানে প্রত্যন্ত গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা কিভাবে কষ্ট করে ক্লাস করে তা ভাববার বিষয়। আগে মর্নিং ক্লাস হতো কিন্তু গত বছর থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। নিয়মটা শহরের স্কুলগুলোর জন্য ঠিক। কারণ সেখানে দুই শিফট এবং ছাত্রছাত্রী বেশি। তাছাড়া সবসময় বিদ্যুৎ সুবিধা থাকে। কিন্তু গ্রামের স্কুলগুলো তার উল্টো। এখানে না আছে বিদ্যুৎ সুবিধা না আছে ফ্যান। ফলে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করতে যেমন অসুবিধা হয় তেমন শিক্ষকদের ক্লাস করাতে অসুবিধা হয়। তাই গ্রামের স্কুলগুলো সকালবেলা চালু করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তুষার ক্লান্তি বিশ্বাস,
সহকারী শিক্ষক, শোলাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোল্লাহাট, বাগেরহাট।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রয়োজন কার্যকর উদ্যোগ
আমাদের সমাজে নারী নির্যাতন যেন এক অপ্রতিরোধ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারী। পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, রাস্তায় বলা যায় প্রতিটি স্থানেই নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়ছে নারী। তাই নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। এজন্য নারী নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। অপরাধীকে যখন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান সম্ভব হবে; তখন এমনিতেই নারী নির্যাতন বন্ধ হবে। আসুন, আমরা নারীকে সম্মান করতে শিখি।
মো. মানিক উল্লাহ,
গ্রাম: মাজগ্রাম, ডাকঘর: বেতিল, হাটখোলা, থানা: এনায়েতপুর, জেলা: সিরাজগঞ্জ।
ভারত ভ্রমণের ভিসা সহজ করুন
গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় ভিসার জন্য ই-টোকেন দেয়ার নামে দালালরা জনপ্রতি তিন হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত লুটে নিচ্ছে। শুনে আসছি, দৈনিক দুই হাজার লোককে ভিসা দিচ্ছে ভারতীয় ভিসা কর্তৃপক্ষ। ই-টোকেন দেয়ার নামে দালালরা জনপ্রতি গড়ে চার হাজার টাকা করে নিলে দৈনিক দালালদের পকেটে গেছে ৪,০০০ টাকা * ২,০০০ জন = ৮০ লাখ টাকা। বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ছুটিছাটা হিসেবে বাদ দিলে গিয়ে দাঁড়ায় ২৮৫ দিন। তাহলে প্রতি বছর দালালরা ভারতীয় ভিসার ই-টোকেন অর্থাৎ অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট আনার জন্য ৮০ লাখ টাকা * ২৮৫ দিন = ২২৮ কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে এখন ব্যবসা বানিয়ে মতিঝিল, উত্তরা, গুলশান, মিরপুর, ধানমন্ডিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসে পড়েছে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে ভারতীয় ভিসা কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব- তাদের লোকেরা ই-টোকেন দেয়ার এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নয়। তাহলে কি বলব ভারতীয় সার্ভার হ্যাক করে বাংলাদেশের কতিপয় দালাল ই-টোকেন দেয়ার জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত? নাকি এর পেছনে আরো রহস্য রয়েছে? ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বার বার বলছে, এ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে। কিন্তু তাদের সার্ভার হ্যাক করে রাখবে দালালরা- এ ব্যাপারে তারা এতদিনেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না কেন? ভারতের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানালেই তো পারেন। যত দিন তারা এটা না করবেন ততদিন পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা কর্তৃপক্ষকেই লজ্জাকর বদনাম বইতেই হবে। এ অবস্থায় ভারতীয় ভিসা কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ- সবাই যাতে খুব সহজে ভিসা ফরম পূরণ করে ভারতীয় ভ্রমণ ভিসার আবেদনপত্র জমা দেয়ার অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখ সংগ্রহ করতে পারেন- তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এই ব্যাপারে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণে যত দেরি হবে ততই বদনাম হতে থাকবে ভারতীয় দূতাবাসের ভিসা কর্তৃপক্ষের।
লিয়াকত হোসেন খোকন,
রূপনগর, ঢাকা।
রাস্তা সংস্কারের আবেদন
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানাধীন সাহেবেরহাট থেকে ইন্দুরকানী স্কুলের বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। ব্যস্ত রাস্তাটি পাকা করায় এ এলাকার মানুষের (আগৈলঝাড়া, উজিরপুর) ভীষণ উপকার হয়েছিল। এখন প্রতিদিন সাহেবেরহাট থেকে স্কুলের বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন ভারী যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। রাস্তাটির এমন করুণ অবস্থা যে, রাস্তাটির অবস্থা জানা ড্রাইভার, এই রাস্তায় আসতে চায় না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা চলাচল করে তারা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আসছে বর্ষাকাল। বর্ষাকালে যে কী অবস্থা হয় কে জানে! তাই আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তাটি যাতে সংস্কার করা হয় তার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রকাশ সরকার,
গ্রাম: ইন্দুরকানী, ডাকঘর: পীরেরপাড়া, থানা : উজিরপুর, জেলা: বরিশাল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন