কুড়িগ্রামের উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার-কর্মচারী সঙ্কটে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত ও প্রসুতি মায়েদের সিজার বন্ধ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উলিপুর হাসপাতলে মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৪২টি আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডেন্টাল সার্জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু)সহ ৪২ জন ডাক্তার কর্মরত থাকার কথা থাকলেও বর্তমান কর্মরত আছেন মাত্র ৫ জন। চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী এমএলএসএস ৪ জনের স্থলে রয়েছে ২ জন, ওয়ার্ডবয় ৩ জনের স্থলে ১ জন, আয়া ২ জনের স্থলে ১ জন, নিরাপত্তা প্রহরি ২ জনের স্থলে ১ জন, কুক, মালিসহ ২২ জন কর্মচারী স্থলে কাজ করছেন মাত্র ১২ জন। বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেন। ১৯৯৭ সালে উলিপুর হাসপাতাল ৩০ শষ্যা থেকে ৫০ শষ্যায় উন্নীত হয়। উলিপুরে ১৩ টি ইউনিয়ন, ১টি পৌর শহরে ৫ লক্ষাধিক মানুষ বাস করে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় ডাক্তার সঙ্কটে চিকিৎসা নিতে আসা গরীব-দুখী রোগীরা বিড়ম্বনায় পরছেন।
সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল গিয়ে দেখা যায় আউট ডোরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে জুলেখা বেগম (৫৫) বিরক্তির সুরে বলেন, বাহে মুই সকাল থেকে লাইনোত দাঁড়িয়ে আছোং ডাক্তারের দেখা পাং নাই। হাসপাতালে প্রসূতি মায়েদের অপারেশনের (সিজার) জন্য ওটি রুম, ওটি লাইট, ছ্যাকার মেশিনসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ থাকার পরেও ২০১১ সাল থেকে এ্যানাসথেসিয়া (অজ্ঞান) ডাক্তার না থাকায় উলিপুরে প্রসূতি মায়েদের ৯ বছর ধরে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। পৌরসভার যোদ্দার পাড়া গ্রামের সৌরভ কর্মকারের স্ত্রী প্রসূতি রুমি কর্মকার উলিপুর হাসপাতালে সিজারের জন্য আসলে ফিরে গিয়ে কুড়িগ্রাম সেবা ক্লিনিকে সিজার করে ২১ হাজার টাকা ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করেন।
উলিপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুবাস চন্দ্র সরকার জানান, চিকিৎসক সঙ্কটে রোগীরা যেমন বিড়ম্বনায় পড়ছেন, ঠিক তেমনি আমরাও ভোগান্তিতে আছি। চিকিৎসক সঙ্কটের বিষয়ে উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন