রুটিতে ভ্যাট !
বেশ ক’বছর আগে দোকানের যে খাবার আমার খুব পছন্দের ছিল তা ছিল গোল রুটি (বেকারিতে বা রুটি ফ্যাক্টরিতে বেক করা রুটি)। সে রুটি এমনিতে খেতে বেশ মিষ্টি লাগত, আবার কলা দিয়ে খেতে কী যে ভালো লাগত! একটা ব্যাপার তখন খেয়াল করেছিলাম, বাজেট হবার পর সে রুটিগুলোর দাম অথবা আকার পরিবর্তন হয়ে যেত। হয় রুটির আকার ছোট হয়ে দাম ঠিক থাকত। নতুবা রুটির আকার ঠিক থাকলে দাম যেত বেড়ে। এবারের বাজেটে যেসব জিনিসের দাম বাড়বে বলে বলা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে আছে মোবাইল ফোনের বিল, এয়ার কুলার, সিগারেট, রুটি ও বিস্কুট ইত্যাদি। ১০০ টাকা পর্যন্ত রুটি, বিস্কুটের উপর থেকে মুসক তুলে নেয়াতে এ দাম বাড়বে বলে বলা হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে রুটি, নান রুটি বা এ জাতীয় খাবারের ভোক্তা কারা ? রাস্তার পাশের চায়ের দোকান বা টং দোকানগুলোতে এসব রুটি বা রুটি জাতীয় খাবার বিক্রি হয়। এসব দোকান থেকে শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে নি¤œ আয়ের মানুষ যাদের পক্ষে সকালের নাস্তা বা দুপুরের খাবারের জন্য ৩০ থেকে ৫০ টাকা জোগাড় করা কষ্টকর হয়ে যায় তারা দোকানে গিয়ে একটা রুটির সঙ্গে একটা কলা বা এক কাপ চায়ের সঙ্গে সকাল বা দুপুরে খাবার শেষ করে।
বড় বড় ফাস্ট ফুডের দোকানগুলোতে গিয়ে এই রুটি-কলা বা রুটি-চা খাওয়া যাবে না। কারণ এগুলো গরিবের খাবার। যদিও বার্গার বা কিছু ফাস্ট ফুডে রুটি ব্যবহার করা হয়। তাদের সংখ্যা বোধকরি হতদরিদ্র মানুষের তুলনায় অনেক কম। আশা করি মাননীয় অর্থমন্ত্রী রুটির দাম বাড়ানোর বিষয়টি পুনরায় বিবেচনায় আনবেন।
মো. আনোয়ার হোসেন,
ধানমন্ডি, ঢাকা।
ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত পুলিশ ফাঁড়ি চাই
একের পর এক হত্যাকান্ড চলছেই দেশজুড়ে। গ্রামেও তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে। সম্ভবত নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর স্বল্পতার জন্যই এটা বারবার ঘটছে বলে আমাদের মনে হয়। তাই এ মুহূর্তে যা যা করা প্রয়োজন তা হলো-১. আইন শ্ঙ্খৃলা বাহিনীতে আরো লোক নিয়োগ দেওয়া। ২. দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা আর সেখানে কম করে হলেও ১০০ জন লোক নিয়োগ দেওয়া। ৩. দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে-ইউনিয়নে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে। আর এভাবেই গোটা দেশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে পারলে হত্যাকান্ড, অপরাধ, সন্ত্রাস, ছিনতাই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
লিয়াকত হোসেন খোকন,
রূপনগর
ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন