শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কচুয়ায় মাঠে ‘কৃষক বিশ্রামাগার’

স্টাফ রিপোটার, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যে কৃষকরা শ্রম দিয়ে মাঠে ফসল ফলান, তাদের স্বস্তি দিতে মাঠে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন কৃষক বিশ্রামাগার। একই সঙ্গে বজ্রপাত থেকে যাতে কৃষক রক্ষা পান সেজন্য ধানক্ষেতের চারদিকে লাগানো হয়েছে ৩ হাজার তালগাছ।
কৃষকদের জন্য এমন কাজ করেছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কড়াইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া। তাকে এ কাজে সহায়তা করেছেন কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কৃষকদের জন্য নির্মাণকৃত বিশ্রামাগারে রয়েছে টয়লেট ও নলক‚প। বিশ্রামাগারে একসঙ্গে ২০ জন ক্লান্ত কৃষক আশ্রয় নিতে পারবেন। কৃষকদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ পুরো কচুয়াতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, কৃষকদের কৃষি মাঠে যাওয়ার সুবিধার্থে রাস্তাও নির্মাণ করে দিয়েছেন মেম্বার মানিক মিয়া।
স্থানীয় কৃষক মো.ইয়াকুব মিজি, কাউছার, মমিন ও নূর মোহাম্মদ জানান, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শিশিরের নির্দেশে কড়াইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া আমাদের জন্য যা করেছেন তা ভুলবো না। রোদ-বৃষ্টি ও বজ্রপাত থেকে বাঁচাতো আমরা এখন বিশ্রামাগারে আশ্রয় নেই। এতে আমাদের কষ্ট অনেক কমে গেছে।
কচুয়া উপজেলার ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিক মিয়া বলেন, কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন এবং স্বস্তির জন্য আমি এই কাজ করেছি। অর্থ বরাদ্দ পেলে আগামীতে কৃষকদের জন্য আরও ভালো কাজ করবো।
কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, ২০০ একর চাষযোগ্য জমির মাঝখানে স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি বিশ্রামাগার তৈরি করেছেন মানিক মেম্বার। সেখানে একসঙ্গে ২০ জন কৃষক বসতে পারবেন। সঙ্গে একটি টয়লেটের ব্যবস্থাও রয়েছে। পানির জন্য নলক‚প বসানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের জমিতে যাওয়ার জন্য রাস্তা করা হয়েছে। রাস্তার ২ পাশে ৩ হাজার তালগাছ লাগানো হয়েছে। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে তালগাছের নিচে আশ্রয় নেবেন কৃষক। বিশ্রামাগারে খাওয়া-দাওয়া ও বিশ্রাম শেষে মাঠে কাজ শুরু করবেন তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন