কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী কাগজ কল (কেপিএম) থেকে পুরাতন যন্ত্রাংশের আড়ালে নতুন যন্ত্রাংশ পাচারের অভিযোগে জনতা কর্তৃক মালবাহী ট্রাক আটকের ৪৮ ঘণ্টার অতিক্রম হলেও বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হয়নি কেপিএম কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার দুপুরে চন্দ্রঘোনা ইউপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী লিখিত এ বক্তব্য কথা উল্লেখ করেন।
এদিকে আটককৃত মালামাল ও ট্রাক ছাড়াতে দফায় দফায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন কাগজ উপস্থাপন করেছে কেপিএম কর্তৃপক্ষ। কিন্ত মালামাল ছাড়াতে হলে বিসিআইসির বোর্ড সভায় মালামালগুলো ব্যবহারিত পুরাতন (স্ক্র্যাপ) বিক্রয়ের অনুমোতিপত্র থাকতে হবে বলে লিখিত পত্রে অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, কোন শাখার মালামাল অপ্রয়োজনীয় ও পরিত্যক্ত ঘোষাণার পরেই তা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যেতে পারে। এছাড়া টেন্ডারে সরবরাহকৃত মালামালের তালিকা থাকতে হবে। কিন্ত সরবরাহকৃত মালামাল মিলের ফটক দিয়ে অতিক্রম করার সময় সম্পূর্ণ মালের তালিকার সঙ্গে রাখার কথা থাকলেও কোনো তালিকাই দেখাতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যানেজার মো. আরিফ। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এ নিয়ে।
মিল এমডি ড. এমএম এ কাদেরের একের পর এক দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি। এছাড়া রাঙামাটি জেলা প্রাশসকের নিকট-এর সুষ্ঠ তদন্ত দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, রাঙামাটি জেলা আ.লীগের শ্রম সম্পাদক মো. হানিফ, সাবেক উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল ফরিদ, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি মো. ইলিয়াছ মিয়া,আ.লীগ নেতা আক্তার হোসেন মিলন প্রমুখ।
জানা যায়, গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারি কর্ণফুলী পেপার মিলস লি. (কেপিএম) হতে পুরাতন স্ত্র্যাপ যন্ত্রাংশের আড়ালে লাখ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ পাচারের অভিযোগে স্থানীয় জনতা, প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় ৩টি ট্রাক আটক করা হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে সংবাদকর্মীরা কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এমএমও কাদেরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন