শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

অনেক সমস্যার নাম ধামালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ইসমাইল খন্দকার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ৬২নং ধামালিয়া ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত। এতে করে স্কুল শিক্ষক শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। স্কুলে খেলার মাঠ নেই, যাতায়াতে চরম ভোগান্তি, বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, রশুনিয়া ইউনিয়নে ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ স্কুলটি। বিদ্যালয়টির প্রবেশ পথে বাঁশের সাঁকো থাকায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হলেও সমাধানে কোনো ভূমিকা পালন করেননি বলে অভিযোগ তোলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয়রা। অপর দিকে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালটিতে সহকারী শিক্ষকের তিনটি পদ শূণ্য থাকায় সঠিক পাঠদানে ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে খাল ও দক্ষিণ পশ্চিম দিকে পুকুর এবং সামনের অংশে ডোবা থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করার কোনো মাঠ নেই। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫১ জন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দাস বলেন, আমাদের স্কুলটি সুবিধাবঞ্চিত স্থানে হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছি। বিশেষ করে স্কুলের সামনে ডোবা থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। বর্ষা মৌসুমে স্কুলের সমানে পানি উঠে। একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদা হয়ে মাটি পিচ্ছিল হয়ে যায়। আর এ কারণে ছাত্রছাত্ররীরা স্কুলে উঠতে গেলে পিছল খেয়ে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। স্কুলের সামনের ডোবাটি ভরাট করা প্রয়োজন এবং বাঁশের সাঁকোর বদলে একটি কালভার্ট নির্মাণ জরুরি।
রশুনিয়া ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলী আকবর বলেন, কয়েক বছর আগে ৮ বছরের একটি বাচ্চা খালের উপর সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে নিচে পরে মারা যায়। বাচ্চাদের খেলাধুলার কোনো মাঠ নেই, এমনকি স্কুলে উঠারও কোনো রাস্তা নেই। স্কুলের সামনের খালটি দিয়ে চকের পানি নামে বিধায় স্কুলে উঠতে খুব কষ্ট হয়। এই খালটির উপরে ছোট্ট একটা কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়া হলে যাতায়াতসহ চকের পানি নামতে সুবিধা হবে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে কয়েকবার জানিয়েছি।
রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান ইকবাল হোসেন চোকদার বলেন, ব্রিজের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে প্রোপজল দেয়া আছে এবং এবার হওয়ার সম্ভবনা আছে। আর স্কুলের সামনে ভরাটের জন্য কেউ যদি মাটি দেয় তাহলে ভরাট করে দিতে পারবো। তবে সামনে সরকারি খাল আর খাল ভড়াট করার ইখতিয়ার আমার নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ধামালিয়া ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ জন নতুন শিক্ষক দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের একটা প্রকল্প আছে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মেইন রাস্তার সাথে সংযোগ সড়ক করা হবে এবং এটি আমরা উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে জানিয়েছি। সবগুলো এলজিইডিতে পাঠিয়েছি সবগুলোই পর্যায়ক্রমে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, ব্রিজের তালিকাগুলো এমপি মহোদয় দেখে। তিনি দিয়েছেন কিনা আমি জানি না। আমি দেখে জানাবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন