শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রব

ডোবায় বর্জ্য ফেলায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

ইসমাইল খন্দকার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার সিরাজদিখান বাজার ব্যাবসায়ীদের নেই কোনো নির্দিষ্ট বর্জ্য ফেলার স্থান। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে দূষণ হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রব, ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে নিজেদেরও ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজদিখান বাজারের ব্যবসায়ীদের সব ধরণের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মাছ বাজারে পূর্বপাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবায়। কাচামালের বর্জ্য, মুরগীর বর্জ্য ও গরুর নারী ভূরির বর্জ্যসহ নানা ধরণের বর্জ্য ফেলার কারণে ডোবাটি আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। আর এ কারণে দুর্গন্ধসহ মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েই চলছে। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে পরলেও দৃষ্টিগোচর হয়নি স্থানীয় প্রশানের। এমনকি বাজার বণিক সমিতির লোকজনসহ ব্যবসায়ীদের কারোই কোনো মাথা ব্যাথা নেই বললেই চলে। তারা বলছেন, বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার নিদিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় তারা এখানে আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন।
এছাড়াও বাজারে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা নেই। নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলে বিভিন্ন পয়েন্টের পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ওই ডোবায় গিয়ে জমছে। আর এ থেকে অ্যাডিস, অ্যানোফিলিস, কিউলেক্স, হেমাগোগাসসহ বিভিন্ন ধরণের মশার বংশ বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বাজার ব্যাবসায়ীসহ বাজারে আসা ক্রেতারা। এছাড়া বাজারটির আশপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যবসায়ীদের ফেলা বর্জ্যরে স্তুপ দেখা যায়।
এ বিষয়ে বাজারের আশপাশের বসবাসরত লোকজনদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ডোবাটিতে বাজারের লোকজন আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমাদের দুর্গন্ধের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। এখান থেকে আবর্জনা পরিস্কার করতে কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
এ ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে বাজার কমিটির লোকজন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
বাজার ব্যাবসায়ী শ্রী কৃষ্ণা দাস বলেন, ডোবাটি মাছ বাজারসহ আমাদের দোকানের কাছাকাছি হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। দোকানে আসা কাস্টমাররা গন্ধের কারণে দাড়াতে পারে না এবং মশার উপদ্রব অনেক বেড়ে গেছে। তিন বছর আগে সাবেক ইউএনও স্যারকে আমরাসহ বাজার কমিটির লোকজন বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, খাল ভরাট করায় পানিটা নামার কোনো রাস্তা নাই। এ বিষয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। সামনের মিটিংয়ে বিষয়টি আমরা তুলে ধরবো। যদি সরকারি কোনো অনুদান বা বরাদ্দ পাই তাহলে কাজটি করতে সহজ হতো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ash ১৯ মার্চ, ২০২০, ৪:৪০ এএম says : 0
MOSHA MASI ARO KORONA SORABE !
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন