ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর প্রভাবে ইতোমধ্যে পটুয়াখালী জেলার বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী এলাকাগুলোতে ঝড়ো হাওয়াসহ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ।
জেলার রাঙ্গাবালীতে আটটি গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাশফাকুর রহমান । তিনি জানান আজ সকালেই বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী রাঙ্গাবালীর বিচ্ছিন্ন চর চর কাশেম, মাঝেরচর, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডা ,চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বিবির হাওলা ,গরু ভাঙ্গা, মধ্য চালিতাবুনিয়া, উত্তর চালিতাবুনিয়া,ও লতার চরপ্লাবিত হয়। এর মধ্যে চর আন্ডা গ্রামের দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে গেছে । পানিবন্দি ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষকে ইতোমধ্যে সাইকেল সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে । এছাড়া কলাপাড়ার পায়রা বন্দর সংলগ্ন লালুয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া থেকে পশরবুনিয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ হীন এলাকায় পানি ঢুকে ১০হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে পরবর্তীতে তাদেরকে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হোসেন বিশ্বাস।
এদিকে আজ সকালে কলাপাড়া ধানখালী ইউনিয়নে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সিপিপির টিম লিডার সৈয়দ মোহাম্মদ শাহ আলম তার দুই সহযোগীকে নিয়ে নৌকায় করে লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজে যাওয়ার সময় স্থানীয় হাফেজ বা প্যাদার খালে ঝড়ো বাতাসে নৌকা উল্টে তার দুই সহযোগীসহ ডুবে যায় । পরবর্তী দুইজন উঠতে পারল সৈয়দ শাহ আলম কে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণের জন্য বরিশাল থেকে কলাপাড়া আসছেন বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন