মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে হঠাৎ বর্ষার পানি বৃদ্ধিতে আগাম সবজি এখন পানির নিচে ডুবে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা বর্ষার পানি কমার সাথে সাথে আগাম লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, মরিচ, ফুলকপি, লাউশাক, ডাটা, মূলা, বেগুন, মটরশুঁটিসহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করেছিল। হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে কৃষকের স্বপ্ন যেন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। এমনিতেই গত বর্ষায় লোকসান পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার নতুন করে আগাম সবজি পানির নিচে চলে গেলো কৃষকের। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার লতব্দী, বালুচর, বাসাইল ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার আগাম সবজি পানির নিচে ডুবে গেছে। তবে হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে এখন কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এর সাথে যোগ হয়েছে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি।
লতব্দী ইউনিয়নের কয়রাখোলা গ্রামের নুরুজ্জামান বলেন, বর্ষা মৌসুমের শুরুতে আমার ১০ বিঘা রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে নষ্ট হয়েছিল। বর্ষার পানি চলে যাওয়ার পর আমি ৩ বিঘা জমিতে সবজি আবাদ শুরু করেছিলাম। হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে তা সব নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ক্ষতি হয়েছে এক লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, অনেক জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। একজনের জমির পানি আরেকজনের জমিতে নামতে দেয় না। আর এ কারণে সকলে সম্মিলিতভাবে বা সরকারি উদ্যোগে একটি ড্রেনের ব্যবস্থা করে নিলে এ ক্ষতি থেকে বাঁচা যাবে।
নয়াগাঁও গ্রামের মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বছরের শেষের দিকে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে আগাম এক বিঘা জমির ডাটা ও মূলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গত বর্ষা মৌসুমে দুই বিঘা ধান পানির নিচে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাফীয়ার রহমান বলেন, আমরা বর্ষা মৌসুমে একবার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছিলাম। তবে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে পুনরায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন