উত্তর : যুগে যুগে অবাধ্য জাতি গোষ্টিকে আল্লাহ লুঘুগুরু বিভিন্ন বিপদ দিয়ে কখনো সংশোধন করার চেষ্টা করেছেন, কখনো বা ধ্বংস করে দিয়েছেন। দ্বীন ও মানবতার জন্য যখন কোন শক্তি ও গোষ্ঠি ভয়ংকর হয়ে উঠে, তখন আল্লাহ তাদেরকে গজব দিয়ে শেষ করে দেন। যেমন ব্যক্তি কারুন, ফেরাউন নামরুদ এবং আদ, ছামুদ ও লুত জাতি। আর যখন বাড়াবাড়ি চরম পর্যায়ে যায় না, তখন বিভিন্ন বিপদ দিয়ে তাদেরকে সর্তক ও সংশোধন করেন। কাউকে বিপদ দেন গজব স্বরূপ, আর কাউকে বিপদ দেন হেদায়েত লাভ ও আত্বশুদ্দির জন্য। আবার কখনো ঈমানদারদেরকে বিপদ দেন তাদের ধৈর্য্যও ইমানের পরীক্ষা নেয়ার জন্য।
বিশ্ব ব্যাপী করোনাও আল্লাহ প্রদত্ত নাতি দীর্ঘ তেমন একটি গজব। যার কবলে পরে এমেরিকার মত বিশ্ব পরাশক্তি কুপোকাত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সংস্থায় করোনা থেকে বাচার জন্য নিয়ম কানুন গুলো চরম ভাবে রক্ষা করা হয়। এর পরও সেখানে শত শত কর্মচারী করোনাক্রান্ত কেন এবং কি ভাবে হল? এর পিছনে মহান রাব্বুল আলামিনের হাত ছাড়া আর কার হাত আছে? আমার মহান রব ছাড়া আর কে আছে এমন কান্ড ঘটাতে পারে?
আল্লাহ বলেন, আপনি বলুন, আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোন কিছুই আমারদেরকে স্বর্শ করতে পারেনা। আল কোরআন
তিনি বলেন, জলেস্থলে যত অরাজকতা সব মানুষের কর্ম ফল। পাপের কিছু স্বাদ আস্বাদন করে তারা যেন সৎ হয়ে আল্লাহর পথে ফিরে আসে, সে জন্যই তাদেরকে আল্লাহ এ বিপদ দেন। আল কোরআন ।
করোনার প্রথম ধাপ: করোনার প্রথম ধাপে আক্রমন শুরু হয় সমাজতান্ত্রিক চিনে। সেই করোনা এক লাফে চলে যায় পূঁজীবাদী খৃষ্ঠানদের ধর্ম রাজ্যের কেন্দ্রভূমি পোপের দেশ, ইতালীতে। মক্কা মদীনার দেশ সৌদী আরবও রক্ষা পায়নি। তবে করোনার শাঁড়াষী আক্রমন হয় বিশ্বের মোড়ল হিসাবে খ্যাত বৃহৎ পরাশক্তি এমেরিকার উপর। যার একজন নাগরিক কেউ খুন করলে তার খবর হত। করোনা তার লাখ লাখ মানুষ হত্যা করতেছে। সে অসহায়ের মত দেখে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারতেছেনা। ইহাকেই বলে আল্লাহর শাস্তি। আমাদের দেশেও রাঘব বোয়াল মার্কা যারা, তাদের উপরই করোনার আক্রমন হয়েছে বেশী। যা হয়েছে আল্লাহর হুকুমেই হয়েছে।
করোনার ২য় ধাপ: আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে মুসলামানেরা বলে, আমি সেই আল্লাহর প্রতি ইমান আনলাম ভাল এবং মন্দ করার ক্ষমতা আছে যার। আল্লাহ বলেন হে রাছুল(সা:) বলুন, আল্লাহ আমাদের জন্য যা লিপিবদ্দ করেন তা ছাড়া অন্য কিছু আমাদেরকে করতে পারবে না। দ্বিতীয় ধাপ করোনাও বিশ্বে এবং বাংলাদেশে যা ঘটাবে তা আল্লাহর ইচ্ছাতেই হবে। ২য় ধাপে এ আক্রমন সর্বগ্রাসী হয় কি না আল্লাহই ভাল জানেন। কারণ ধনী, গরীব, আলেম, ওলামা, নেতা, কর্মকর্তা, সাধারণ, অসাধারণ সবাই পাপে ডুবা। সংশোধন কেউ হচ্ছে না। নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ আমার জাতিকে হেফাজত ও হেদায়েত করুন। আমিন।
নামাজ পড়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া: করোনাসহ আল্লাহর সকল ধরনের গজব থেকে বাচার জন্য প্রথম এবং প্রধান কাজ হচ্ছে তাওবা করে আল্লাহ ও তাঁর রাছুল (সা:) এর আদেশ নিষেধ ও বিধি বিধানকে স্বীকার, বিশ্বাস ও গ্রহণ করে তা পরিপূর্ণ ভাবে মেনে চলা। আল্লাহ ও রাছুল বিরোধী কোন কাজ না করা। এবং কাউকে করতে না দেয়া। আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেন তোমাদের কোন জন যদি অন্যায় করতে দেখে তা যেন সে হাত দিয়ে বন্ধ করে। আল হাদিস। অন্যায় ও দোষ খাতা যা হয়েছে তার জন্য আল্লাহর নিকট মাফ চাওয়া। ইহাই হল আল্লাহর গজব থেকে বাঁচার এবং রহমত লাভ করার উপায়। আল্লাহ বলেন, যারা ঈমান আনে, তাওবা করে এবং সৎ কর্ম করে, তাদের কোন চিন্তা নেই, কোন ভয় নেই। আল কোরআন।
আমাদের উচিত আল্লাহর গজব এবং করোনা থেকে বাঁচার জন্য নামাজ পড়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া। আল্লাহ বলেন, নামাজ সকল অশ্লীলতা এবং খারাপ থেকে বিরত রাখে। আল কারআন।
উত্তর দিচ্ছেন : আলাউদ্দিন ইমামী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন