জয়পুরহাটে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে চলছে প্রাণঘাতী পপির চাষ। বেশি লাভের আশায় বুঝে না বুঝে অনেক কৃষকই ঝুঁকে পড়েছে পপির আবাদে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের নিরুৎসাহী করা হলেও তা কাজে আসেনি।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুঝরানাপৈল এলাকার আবু নাছের নামে জনৈক কৃষক পপি চাষ সম্পর্কে না জেনেই দুই বিঘা জমিতে তিনি পপি চাষ করেছেন।
আবু নাছেরের দেখে তার মতো অনেক কৃষকই ঝুঁকছেন পপির আবাদে। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় স্থানীয় কৃষকরা পপি চাষ করলেও এর নেতিবাচক দিক জেনে ক্ষেত ধ্বংসের কথা বলছেন এলাকাবাসী।
ওই এলাকার কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রাণঘাতী এই পপি চাষ সম্পর্কে প্রশাসন কিংবা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কাউকে এর ক্ষতির দিক সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি। ফলে এর চাষ দিনদিন ব্যাপক আকার ধারণ করছে। প্রশাসন এখনই তড়িৎ ব্যবস্থা না নিলে পাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ইনছান আলী বলেন, পপি চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হলেও তারা শুনছে না।
তারপরও আমরা চেষ্টা করছি প্রাণঘাতী এই পপি চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে।
জয়পুরহাট জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পপি চাষের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না, সবেমাত্র আমরা জেনেছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে পপির গাছগুলো ধ্বংস ধ্বংস করা হবে এবং এ বিষয়ে খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে র্যাবের নজরে আসে। র্যাব তাৎক্ষনিকভাবে গতকাল রোববার দুপুরে ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১১ বিঘা জমির পপি ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। এসময় ৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো রাজেন্দ্রনাথ দাস (৬০), মো. নইম উদ্দিন মন্ডল (৬০), মো. গোলাম মোস্তফা (৬৫), মো. রিপন সরদার (৩৭) ও নেপাল চন্দ্র দাস (৫২)। এদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন