কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সিলেটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তার গ্রামের বাড়িতে হামলা মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ সুপারের ভাই সাইফুল ইসলাম সবুজসহ কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে চৌদ্দগ্রাম থানায় ঘোলপাশা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী জাফরসহ ৮ নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ছাত্রলীগ নেতা শেখ কামাল।
জানা যায়, ঘোলপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একটি অংশ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে র্যালী শেষে নেতা-কর্মীরা শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি ধনুসাড়া গ্রামে একত্রিত হয়ে দলীয় বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আ.লীগের অপর অংশে নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের নেতৃতে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় পুলিশ কর্মকর্তার ভাই সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সবুজ, ছাত্রলীগ নেতা শেখ কামাল ও শাহ নেওয়াজসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়। এ সময় ৬টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘোলপাশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ কামাল বাদি হয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ, তার শ্যালক মাসুম বিল্লাহ, ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন, আবুল কালাম, মহিউদ্দিন, রাকিব হোসেন, সৈকত হোসেন ও মাসুম কবির মজুমদারসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করে। ষোলপাশা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাফর জানান, আমি র্নিদোষ, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদের শ্যালক মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে পুলিশ এসোল্ট ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে ৬টি মামলা রয়েছে। এদিকে এসব ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন