রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই ব্যক্তি। তাদের মধ্যে গত শনিবার রাতে খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জের টানপাড়া এলাকা থেকে পল্লী বিদ্যুতের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সুমন সিংহের (৩৩) ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত সুমনের ভাই সুজন সিংহ বলেন, আমরা দুই ভাই। গত ২৩ এপ্রিল থেকে ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। হঠাৎ কী হলো কিছুই জানি না। তার অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু পাওয়া যায় না। পরে শনিবার রাতে খবর পেলাম সে তার রুমে ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে। ভাই আমার কেন ফাঁস দিয়ে মারা গেল কিছুই জানতে পারলাম না।
খিলক্ষেত থানার এসআই গৌতম কুমার শীল বলেন, গত শনিবার রাতে আমরা খবর পাই। সেখানে গিয়ে দেখি দরজা ভেতর থেকে লাগানো। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি লায়লনের রশি গলায় পেঁচিয়ে সে আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। ২৩ এপ্রিল যেকোনো সময় সে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করছি। তার লাশ থেকে পঁচা গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই লাশ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কিছুই জানা যায়নি। কী কারণে সে ফাঁস দিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ পাওয়া যাবে।
এদিকে, পল্টনের ফকিরাপুলে ৭ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে মো. মাকসুদুর রহমান (৬৫) নামে এক মানসিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ৭ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ার পর গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
নিহতের ছেলে মাছুম বিল্লাহ বলেন, আমার বাবা দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। গতকাল সকালে আমাদের বাসার ৭ তলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান তিনি। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ফকিরাপুলে ছাদ থেকে পড়ে মানসিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন