শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার করুন
সম্প্রতি দেশের ১৬টি জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। ফলে এসব এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি, জমির ফসল পাশাপাশি রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। যার কারণে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বলা যায়, রাস্তাঘাট শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই এই রাস্তাঘাট অতিদ্রæত সংস্কার করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. মানিক উল্লাহ
মাজগ্রাম, বেতিল হাটখোলা, এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ।

সেতু নির্মাণের আবেদন
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলাধীন কাউকাপন ও সন্দ্রাবাজ গ্রাম দুটির মধ্যদিয়ে বয়ে চলেছে মনু নদীর একটা প্রধান অংশ। কাউকাপনে পাকা রাস্তাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলেও ভালো নেই অপর প্রান্তে বসবাসকারী সন্দ্রাবাজ গ্রামের মানুষ। একটি সেতুর অভাবে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নদীর ওপর তীরের সন্দ্রাবাজ, মিয়ারপাড়া, দরিতাজপুর ও হাজীপুরসহ প্রায় পাঁচটি গ্রামের মানুষের প্রধান চলাচলের রাস্তা এই নদীর খেয়া। সন্দ্রাবাজ সংলগ্ন এলাকা থেকে চলাচলের উপযোগী রাস্তা অনেক দূরে হওয়ায় বেং যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে একমাত্র উপায় এই নদী। খেয়া থাকলেও সবসময় পাওয়া যায় না খেয়ার মাঝি। এ জন্য জরুরি কাজের জন্য অনেক সময় মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কিংবা গর্ভবতীদের জরুরি অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ি পাওয়া যায় না সন্দ্রাবাজ, হাজীপুর, দরিতাজপুর ও মিয়ারপাড়া গ্রামে। কিন্তু নদী পেরিয়ে অপর প্রান্তে এলেই যাতায়াতের সুবিধাসহ সবকিছুই দ্রæত পাওয়া যায়। তাই কাউকাপন ও সন্দ্রাবাজের মধ্যকার এই খেয়াঘাটের ওপর দিয়ে একটি সেতু নির্মাণ হলেও জনগণের দুর্ভোগ ঘুচবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. নিজাম উদ্দিন
ইংরেজি বিভাগ, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, মৌলভীবাজার।

হৃদরোগ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ সমীপে
শেরেবাংলানগরের হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সিট সংখ্যা অপ্রতুল। চারদিন এ হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে থেকে যা লক্ষ্য করেছি তা-ই উপস্থাপন করছি। এ ওয়ার্ডে আটটি কক্ষে ৬৪ জন রোগী। বাথরুমে যাবার পথে আরো ৮টি সিট। মোট ৭২টি সিট ছাড়া প্রতি কক্ষে দু’পাশে রোগীদের সিটের মাঝখানে যাতায়াতের পথেও ২ জন করে রোগী কখনো কখনো রাখা হয়। এ ছাড়া ওয়ার্ডে ঢোকার পথের দু’পাশে মাঝেমধ্যে রোগীদের সিট দেয়ার ওষুধ ও খাবারবাহী ট্রলিসহ সবারই চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়।
রোগীদের পরিচর্চায় থাকা স্বজনরা রোগীর খাবার প্লেট, পেয়ালা এমনটি খাওয়ার পরে হাত ধোয়ার সমস্যায় পড়েন বেশি। কারণ বেসিন একটি থাকলেও সেখানে একটি কল সম্পূর্ণ নষ্ট। দু’দিকে চারটি গোসলখানার একটি নষ্ট। ডান দিকের দুই গোসলখানার একটির মেঝে ফাটা, সেখানে সবসময় পানি জমে থাকে। বাম দিকেরটায় মাথা ছাড়া কল। টয়লেটের কথা বলাইবাহুল্য। দু’দিকে পাঁচটি টয়লেটের দু’টির ভেতরে সিটকানি না থাকায় শৌচকর্মের সময় হাত দিয়ে দরজা ঠেলে রাখতে হয়। দুয়েকটি টয়লেটে বদনা আছে, পানির কল নেই। পরিশেষে বেসিনের কলটি ঠিক করা জরুরি-প্রয়োজনে চারটি করা যায় কি-না ভেবে দেখবেন। টয়লেটের সিটকানি ও মাথা ভাঙা কলের মাথা ঠিক করা প্রয়োজন। রোগীদের ক্যান্টিন থেকে সাত টাকা দিয়ে পানি কিনে পান করার সমস্যা সমাধানে নার্সদের রুমের সামনে বা প্রতি ওয়ার্ডের সামনে দুটো ফিল্টার বসানো যেতে পারে। সর্বোপরি ইনস্টিটিউটের তলা সম্প্রসারণ করে ওয়ার্ড বৃদ্ধি করা হোক।
শামসুল করীম খোকন
মাতৃছায়া, তেজগাঁও, ঢাকা।

সদ্য জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের বেতনভাতা বন্ধ
সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলায় সদ্য জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের উৎসবভাতা ও শ্রান্তি-বিনোদন ভাতাসহ মাসিক বেতনভাতা বিগত কছেশ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে ঐ শিক্ষকেরা পরিবার-পরিজনসহ আর্থিক কষ্টে দিন পার করছেন। এ অবস্থায় বকেয়া ভাতাসহ মাসিক বেতনভাতা সত্বর প্রদানের ব্যবস্থা করতে শিক্ষকবান্ধব সরকারের কাছে সবিনয় প্রার্থনা জানাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন