নাটোরের লালপুর উপজেলার দুরদুড়িয়া ইউনিয়নের আট্টিকা রাস্তার অভিমুখে গন্ডবিল এলাকার পাকা রাস্তার চিত্র এটি। রাস্তাটি কার্পেটিং করা কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই পাকা রাস্তা জুুড়ে কাদা জমে জনদুুর্ভোগ চরমে উঠে। বসন্তপুর বিলে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন ও পুকুরের মাটি ট্রাকের মাধ্যমে ইটের ভাটায় বহনের কারণে রাস্তায় মাটি পড়তে পড়তে এমন রূপ নিয়েছে। বোঝার উপায় নেই রাস্তাটি পাকা না কাঁচা। বর্তমানে একটু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল কারা বিপদজনক হয়ে পড়ে। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে এই এলাকার বসবাসকারী ও পথচারীদের। শুধু এই রাস্তা নয় এই এলাকার গন্ডবিল, ওমরপুর, মনিহারপুর এলাকার রাস্তারও একই অবস্থা। তবে এই সমস্যা সমাধানে নেয়া হয়নি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হালকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তার উপরে ট্রাক থেকে পড়ে যাওয়া মাটি গুলো নরম হয়ে রাস্তায় ব্যাপক হারে কাদা মাটি পিচ্ছিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছে এ রাস্তায় চলাচল করা বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ভ্যানচালকসহ সাধারণ জনগণ। তারপরেও প্রয়োজনের তাগিদে অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে তারা।
স্থানীয়রা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না। তারপরেও প্রয়োজনের তাগিদে রাস্তাদিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে। বিলে পুকুর খননের মাটি ইট ভাটায় দেওয়ার জন্য এই অবস্থা হচ্ছে।
স্থানীয় দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, এই রাস্তার এবং এই এলাকার জনগণের বেহাল দশার একমাত্র কারণ হলো বসন্তপুর বিলে অবৈধ ভাবে অসংখ্য পুকুর খনন। কিছু অসাধু পুকুর মালিকরা নিজের স্বার্থ হাসিল করতে বারবার পুকুর খননে নিষেধ করা সত্তেও তারা গভীর রাতে প্রশাসনের চোখ কে ফাঁক দিয়ে চুরি করে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করে এবং খননকৃত মাটি ইট ভাটাসহ আশে পাশে এলাকায় বিক্রি করার কারণে আজ রাস্তার এই বেহাল দশা। লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাম্মী আক্তার বলেন, বসন্তপুর বিলে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে একাধিক বার অভিযান চালিয়েও পুকুর খননকারীদের পাওয়া যায়নি। জনগণের দুর্ভোগ মাথায় রেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন