সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদল নেতা আকবর আলী (৪৩) খুনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী হাসি খাতুন বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন। এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের কমিটির আহ্বায়ক আলী আকবরকে দুর্বৃত্তরা মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পেশায় ইট ও বালু ব্যবসায়ী আলী আকবর (৪৩) সয়দাবাদ ইউনিয়নের বড় সারটিয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একে অপরকে দুষছেন। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, হত্যা মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলায় আসামিরা হলেন-সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম (৪২), জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও মুলিবাড়ির বাসিন্দা মো. পথিক (৩৫), সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুলিবাড়ির বাসিন্দা রিগেন তালুকদার (৪০), সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুলিবাড়ির বাসিন্দা স্বাধীন (৩০), ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বড়সারটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মফিজ মোল্লা (৩৮), ৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চরসারটিয়া গ্রামের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন (৩৬), মুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগকর্মী সুজন (৩০) ও পাশের রাজাপুর ইউনিয়নের মাইঝাইল মুন্সীবাড়ির বাসিন্দা লিটন (৪২)।
ওসি আরো জানান, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে আকবর আলীকে খুন করা হয়েছে বলে তার স্ত্রী মামলায় উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা সালাহ উদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, যুবদলের সভাপতি মির্জা বাবু, সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজেশ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়েসসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা আকবর আলীর বাড়িতে যান। এ সময় তারা নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দেন। একই সাথে খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন