ইনকিলাব আজ ৩৭ বছরে পা রাখলো। তিন যুগ অতিক্রম করে চার যুগে তার যাত্রা শুরু হলো। কোনো সংবাদপত্রের যুগ যুগ ধরে টিকে থাকা আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট মোটেই সহজ নয়। পাঠকবর্গ সাক্ষ্য দেবেন, ইনকিলাব একটি ব্যতিক্রমধর্মী দৈনিক। এ কারণেই তার পথচলা হয়েছে আরো কঠিন, আরো ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদসংকুল। অদম্য ইনকিলাব সব বাধা, সব প্রতিবন্ধকতা, সব বিরোধিতা তুচ্ছ করে দৃপ্তপদে তার অভিযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। ইনকিলাবের এই শক্তির উৎস কী? তার নীতি-আদর্শ আবশ্যই। একই সঙ্গে সেই নীতি-আদর্শ অনুসরণ ও বাস্তবায়নে তার সম্পাদকের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, দৃঢ়তা ও সাহসিকতা।
ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)। তিনি ছিলেন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, বড় একজন আলেম, দক্ষ সংগঠক, সফল সমাজসেবী এবং খ্যাতিমান রাজনীতিক। তিনি এমন একটি দৈনিক সংবাদপত্রের স্বপ্ন দেখতেন, যা হবে সংবাদপত্রের আদর্শ এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে সর্বদা নিবেদিত। ইসলামের প্রচার-প্রসার ও মুসলিম উম্মাহ’র স্বার্থ সুরক্ষায় তার ভূমিকা হবে অগ্রবর্তী। যে সংবাদপত্রের অনুসরণ্য হবে নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতা। ইনকিলাব তার সেই বহুদিনের স্বপ্নের প্রকাশ ও প্রতিভূ।
তিনি ইনকিলাবের সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করেন তারই জ্যেষ্ঠপুত্র তরুণ এ এম এম বাহাউদ্দীনকে। তিনি বিলক্ষণ জানতেন এবং তার অগাধ বিশ্বাস ছিল, তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন এ এম এম বাহাউদ্দীন ছাড়া উত্তমরূপে আর কেউ করতে পারবেন না। তিনি ছিলেন বিদ্বান, বহুদর্শী, অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ। এ ক্ষেত্রেও তা প্রমাণিত। এ এম এম বাহাউদ্দীনকে তিনি নিয়োগ দেন ইনকিলাব প্রকাশেরও এক বছর আগে। সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগও দেন অনেক আগে। সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন তার সাংবাদিক-সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইনকিলাব প্রকাশের সমুদয় আয়োজন করেন। ১৯৮৬ সালের ৪ জুন ইনকিলাবের প্রথম সংখ্যা পাঠকের হাতে পৌঁছায়। এর আগে অনেক দিন ধরে ট্রায়াল সংখ্যা বের হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এ এম এম বাহাউদ্দীন অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একটানা ৩৭ বছর একটি প্রথম শ্রেণির দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন আমাদের দেশে বিরল ঘটনা। তিনি দেশের জ্যেষ্ঠ সম্পাদকদের একজন। আজকের এদিনে আমরা স্মরণ করছি, ইনকিলাবের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)-কে। দেশ ও জনগণের পক্ষে অনন্যসাধারণ ভূমিকা রাখার জন্য দৈনিক ইনকিলাবকে এবং তার বিদগ্ধ ও সাহসী সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনকে জানাচ্ছি আন্তরিক ও অকুণ্ঠ অভিনন্দন।
‘ইনকিলাব’ শব্দের অর্থ বিপ্লব। যখন একটি সংবাদপত্রের নাম রাখা হয় ‘ইনকিলাব’ তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না, বিপ্লব সংঘটন কিংবা বিপ্লবে অনুপ্রেরণা বা সহযোগিতা করা এই সংবাদপত্রের লক্ষ্য। ইনকিলাব ‘পরিবর্তন’ অর্থেও ব্যবহৃত হয়। এই নামটি রাখার পেছনে দেশ, দেশের মানুষ, সমাজের গুণগত পরিবর্তনের প্রত্যাশা থাকাও স্বাভাবিক। ‘শুধুমাত্র দেশ ও জনগণের পক্ষে’ এই অঙ্গীকার এ কথারই সাক্ষ্য বহন করে। মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ইনকিলারেব নীতি-আদর্শ কী হবে, কেমন হবে এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে দিকনিদের্শনামূলক বক্তব্য রাখতেন। তার তেমনই একটি দিকনির্দেশক বক্তব্য এই: ‘আমরা ইসলামের ব্যাপারে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও স্বার্থের ব্যাপারে সর্বদা থাকব অটল, অবিচল ও আপসহীন। আমরা মুসলিম উম্মাহ’র যে কোনো বিপদ-মুসিবতে কলমসৈনিক হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়াব। আমরা দায়বদ্ধ কেবলমাত্র আল্লাহর কাছে। আমাদের লক্ষ্য হবে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। আমরা জনগণের সমস্যা-সঙ্কটের কথা, অভাব-অভিযোগের কথা, দুঃখ ও বেদনার কথা, আশা-আকাক্সক্ষা ও কল্যাণের কথা তুলে ধরব বলিষ্ঠভাবে। আমরা চরমপন্থী হব না, মধ্যপন্থা অবলম্বন করব। দেশের প্রতি থাকবে আমাদের গভীর ভালোবাসা। দেশের আদর্শের প্রতি থাকবে শ্রদ্ধা ও আনুগত্য। জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষ সকল নাগরিকের প্রতি থাকবে উদার দৃষ্টিভঙ্গি, সমদৃষ্টিকোণ। এই আদর্শে অবিচল থাকলে নেমে আসবে আল্লাহর রহমত। ইনকিলাব সক্ষম হবে সৃষ্টি করতে আদর্শিক ইনকিলাব ইনশাআল্লাহ।’
মাওলানা এম এ মান্নান (রহ)-এর বক্তব্য থেকে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, ইনকিলাব শুধুমাত্র দৈনিক সংবাদপত্র নয়। তা একটি আদর্শ ও দর্শন। এ দেশে সংবাদপত্র প্রকাশের পেছনে সুনির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য থাকে। ব্যবসার একটা উদ্দেশ্য থাকে। সংবাদপত্র অন্যান্য শিল্পের মতো একটি শিল্পও বটে। যেহেতু সংবাদপত্র একটি প্রেস্টিজিয়াস শিল্প, সে কারণে বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী এই প্রেস্টিজের জন্য সংবাদপত্র প্রকাশ করে। কর্পোরেট স্বার্থ সংরক্ষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্যও অনেকে সংবাদপত্র প্রকাশ করে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে সংবাদপত্র প্রকাশের উদ্যোগ এখন দেখা যায় না বললেই চলে। অথচ, সংবাদপত্রের উদ্ভব ও প্রাথমিক পর্যায়ের বিকাশ এসব কারণকে উপলক্ষ করেই হয়েছিল। বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগতে ইনকিলাব যে স্বতন্ত্র ও আলাদা; বিগত তিন যুগ তা প্রমাণিত। মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ইনকিলাবের জন্য অকাতরে অর্থ ব্যয় করেছেন। ইনকিলাবের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণ করেছেন। অত্যাধুনিক ছাপাখানা আমদানি করেছেন এবং যাবতীয় খরচ নির্বাহে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করেছেন। সাংবাদিক-কর্মচারীদের বিভিন্ন সভায় তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে, ‘টাকার চিন্তা আমার। টাকার ব্যবস্থা আমি করব। আপনারা শুধু আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করুন।’ তিনি এত বড় বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্তির কোনো আশা করেননি। এই বিনিয়োগকে তিনি দান করেছেন ইসলাম, ইসলামী উম্মাহ, দেশ ও জনগণের কল্যাণে। শুধু কি তাই? তিনি তার উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী জ্যেষ্ঠ পুত্রকেও এ জন্য দিয়ে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর স্বপ্ন ও ইনকিলাবের আদর্শ ও দর্শন বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য ও কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনিও তার বিখ্যাত পিতার মতোই বলেন, ‘ইনকিলাব থেকে আর্থিক কোনো প্রাপ্তি তার পরিবার আশা করে না।’ এর মানে দাঁড়ায়, ইনকিলাবের মিশন অব্যাহত রাখাই তার মুখ্য উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।
ইনকিলাবই এ এম এম বাহাউদ্দীনের ধ্যানজ্ঞান। ইনকিলাব নিয়েই তার যত চিন্তা-গবেষণা। তিনি ২৪ ঘণ্টাই সাংবাদিক, ২৪ ঘণ্টাই সম্পাদক। আমার দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে অনেক সম্পাদকের সঙ্গেই কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্তু এ এম এম বাহাউদ্দীনের মতো কাউকে দেখিনি। তার পঠন-পাঠন এত বেশি যে, বিস্ময় মানতে হয়। তিনি এতদিনে পরিণত হয়েছেন বিশাল তথ্যভাণ্ডারে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো ক্ষুদ্র ঘটনাও তার চোখ এড়ায় না। আবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খবরাখবরও তার দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকে না। ঘটনার পরম্পরা নির্ধারণ এবং বিশ্লেষণে তার পারঙ্গমতা ঈর্ষণীয়। তিনি নিয়মিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। নির্দেশনা দেন, সম্পাদকীয় বিষয় ঠিক করেন এবং ব্রিফিং দেন। তার এই রুটিনের খুব কমই ব্যতিক্রম হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন রুটিন ফলো করা কতটা কঠিন, সহজেই তা অনুমেয়। দৃঢ় অঙ্গীকার, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও অপরিসীম ধৈর্য না থাকলে কারো পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়।
ইনকিলাব আর কিছুই না, তার বিঘোষিত নীতি-আদর্শ এবং সম্পাদকের চিন্তাধারার প্রতিফলিত রূপ মাত্র। এ এম এম বাহাউদ্দীনের ইসলামের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য অপরিসীম। কখনো কখনো মনে হয়, ইসলামের প্রচার-প্রসার ও প্রতিষ্ঠাই তার জীবনের লক্ষ্য। ইসলাম ও মুসলমানদের মঙ্গল ও কল্যাণে তিনি যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন। ইনকিলাবকে বলা হয়, ইসলামের কণ্ঠস্বর, মুসলমানদের মুখপত্র। এর কারণ তো এই যে, শুরু থেকেই ইনকিলাবে নামাজের সময়সূচি থেকে শুরু করে রমজান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির বিষয়ে খবরাখবর ও লেখালেখি প্রকাশিত হয়ে আসছে। প্রথমে ‘ধর্ম দর্শন’ নামে সপ্তাহে একটি পাতা এবং পরবর্তীতে ‘ইসলামী জীবন’ নামে আরেকটি পাতা প্রকাশ ইনকিলাবের ইসলামপ্রীতির পরিচয় বহন করেন। ইসলাম শান্তি ও সমৃদ্ধির একমাত্র উপায় ও পথ, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন সেটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। তারই একান্ত ইচ্ছা ও নির্দেশনায় প্রতিদিন ইনকিলাবের প্রথম পাতায় গত কয়েক বছর ধরে একটানা প্রকাশিত হয়ে আসছে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম’ শীর্ষক লেখা। ইনকিলাবে এ যাবৎ এমন হাজার হাজার সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, নিবন্ধ ও রিপোর্ট প্রকাশিত করেছে, যার বিষয়বস্তু ইসলাম, মুসলমান এবং মুসলিম উম্মাহ।
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা ইনকিলাবের। ইসলামের ব্যাপারে যেমন তেমনি এ ব্যাপারেও ইনকিলাব আপসহীন। সম্প্রসারণবাদী শক্তি যখন বাংলাদেশের ওপর কুদৃষ্টি দিয়েছে, ইনকিলাব তখন গর্জে উঠেছে। অভিন্ন নদীর পানির মামলায় ইনকিলাব আজন্ম লড়াই চালু রেখেছে। নদী ও সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় ইনকিলাব সর্বদা সোচ্চার। ইনকিলাব সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদ, আধিপত্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে।
দেশের মানুষের রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক, মানবিক, সাংবিধানিক অধিকার, উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠার পক্ষে ইনকিলাবের ভূমিকা স্বভাবতই অগ্রবর্তী। ইসলাম, ইসলামী শিক্ষা, দেশের রাজনীতি-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে এ এম এম বাহাউদ্দীনের বহু লেখা এ যাবৎ ইনকিলাবে প্রকাশিত হয়েছে। ওইসব লেখায় তার চিন্তার গভীরতা, মেধা মননশীলতা ও পাণ্ডিত্য স্পষ্টভাবে বিধৃত হয়ে আছে।
ইনকিলাবের চলার পথ কুষমাস্তীর্ণ ছিল না আগেও, এখনো নয়। ইনকিলাব যেমন তার ভূমিকার জন্য জনগণের মুখপত্র হিসেবে বরিত হয়েছে তেমনি স্বার্থশিকারী ও কুচক্রীদের রোষের শিকারও হয়েছে। ইনকিলাবে হামলা হয়েছে, তার সম্পাদক হামলা ও মামলার সম্মুখীন হয়েছেন। সাংবাদিকরা জেলে গেছেন। ইনকিলাবকে এমনকি বন্ধ করেও দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুই ইনকিলাবকে দমিত ও পরাভূত করতে পারেনি। এ ব্যাপারে সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের নিরাপস মনোভাব, ভূমিকা, সাহস সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছে। মহান আল্লাহর ওপর তার অকৃত্রিম নির্ভরশীলতা সহকর্মীদের শক্তি যুগিয়েছে, মুগ্ধ করেছে।
ইনকিলাবের সম্পাদকতা ও পরিচালনার গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এ এম এম বাহাউদ্দীন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতির দায়িত্বও অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে পালন করে আসছেন। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)। তার ইন্তেকালের পর এ দায়িত্ব এ এম এম বাহাউদ্দীনের ওপর অর্পণ করেন জমিয়ত নেতৃবৃন্দ। পিতার লালিত ও সংগঠিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শিক্ষক সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতির দায়িত্ব তিনি উপেক্ষা করতে পারেননি। বিস্ময়কর ব্যাপার এই যে, জামিয়ত নেতা হিসেবেও তিনি ব্যাপক সাফল্যের অধিকার অর্জন করেছেন। জমিয়তের দাবি-দাওয়া আদায়ে বিশেষত ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার অবদান ইতিহাসের অংশে পরিণত হয়েছে।
এ এম এম বাহাউদ্দীন মাওলানা এম এ মান্নানের সন্তানই শুধু নন, যথার্থ সুযোগ্য উত্তরাধিকারীও। পিতার প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইনকিলাব এবং তারই হাতে গড়া জমিয়াতুল মোদার্রেছীনেরও সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গেও তিনি জড়িত। সম্পাদক ও শিক্ষকনেতা, এই দু’পরিচয় প্রধান হলেও মূলত তিনি সাংবাদিক ও সম্পাদক। আমরা আজকের দিনে বিশেষ করে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন