মোহাম্মদ আবদুল গফুর : আওয়ামী লীগের ছাত্রফ্রন্ট ছাত্রলীগ কি ইদানিং খুব বেশি বেশি অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েছিল? নইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদেরকে খারাপ কাজ না করার শপথ পড়াতে যাবেন কেন? গত সোমবার বিকালে বাংলা একাডেমিতে খারাপ কাজের শিরোনাম না হওয়ার শপথ পড়ান তিনি ছাত্রলীগকে। এর পাশাপাশি তিনি আরও কিছু মূল্যবান উপদেশ দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের। যেমন সাত ঘণ্টার বেশি না ঘুমানো, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা ইত্যাদি। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার গুরুত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকাল বেলা হাঁটতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাই কিন্তু ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেখতে পাই না। এটা দুঃখজনক।
জনাব ওবায়দুল কাদের বক্তৃতা প্রসঙ্গে একপর্যায়ে বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শক্তি প্রয়োগ, টেন্ডারবাজি, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মারামারি ও খুনোখুনির জন্য ছাত্রলীগ খবরের শিরোনাম হয়েছে। গত কয়েক মাসেও চট্টগ্রাম ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোন্দলের কারণে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সুযোগে ছাত্রলীগ যেসব অপকর্মের জন্য জনাব ওবায়দুল কাদের কর্তৃক নিন্দিত হয়েছে এসব যে হঠাৎ ছাত্রলীগ শুরু করেছে তা নয়। অতীতেও আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন থাকার সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় তখন এসব অপকর্মের ধারা থেকে ফিরিয়ে আনার তেমন চেষ্টা করা হতো না। উল্টা তাদের ‘সোনার ছেলে’ আখ্যা দিয়ে উৎসাহিত করা হতো। ফলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকাকালে অতীতে সব সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসব অপকর্মকে তাদের স্বাভাবিক অধিকার বলেই ধরে নিত।
বিশেষ করে আমরা যারা ১৯৪৭ সালের ১ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া তমদ্দুন মজলিসের মাধমে ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশ নিয়েছিলাম তারা ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জন্ম নেয়া ছাত্রলীগের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করে তাদের সর্বশেষ অধঃপতনে দুঃখ প্রকাশ করতাম এবং তাদের হারিয়ে যাওয়া গৌরব পুনরুদ্ধারের তাগিদ দিতাম। এদেশের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস যারা জানেন তারা এ বিষয়েও অবহিত যে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়ে থাকে, মূল দল প্রথম জন্মগ্রহণ করে, পরে গঠিত হয় তার ছাত্র বা অন্যান্য ফ্রন্ট, আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে ছিল তার গৌরবজনক ব্যতিক্রম। অবিভক্ত বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগের একটি অংশ ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এরপর থেকেই তমদ্দুন মজলিসের সূচিত ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের তরুণ অধ্যাপক আবুল কাসেম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত তমদ্দুন মজলিসের অন্যতম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞানের তরুণ শিক্ষক অধ্যাপক (পরে ডক্টর) নুরুল হক ভূঁইয়া ছিলেন ১৯৪৭ সালে গঠিত প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ ভাষা আন্দোলনে যোগদানের পর তমদ্দুন মজলিস ও ছাত্রলীগের সাধারণ সদস্য জনাব শামসুল আলমকে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ এই সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বেই পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাষ্ট্রভাষা দিবস পালিত হয়। আন্দোলন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার ফলে খাজা নাজিমুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন প্রাদেশিক সরকার তদানীন্তন রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সবল দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে ১৫ মার্চ চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়।
পরবর্তীকালে কায়েদে আজম জিন্নাহ, লিয়াকত আলী খান প্রমুখ নেতার মৃত্যুর পরে খাজা নাজিমুদ্দিনকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৫২ সালের জানুয়ারীতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খাজা নাজিমুদ্দিন ঢাকা সফরে এসে পল্টন ময়দানে এক জনসভায় বক্তৃতাকালে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেন। যে খাজা নাজিমুদ্দিন প্রাদেশিক সরকার প্রধান হিসেবে ১৯৪৮ সালের ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি স্বীকার করে নিয়ে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন, তার এই বক্তব্যকে জনগণ চরম বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে ধরে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে। নতুন করে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এ সংগ্রাম পরিষদে মওলানা ভাসানী, জনাব আবুল হাশিম প্রমুখ প্রবীণ ব্যক্তিত্ব এবং তমদ্দুন মজলিস, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ প্রভৃতি সংগঠনের দুজন করে প্রতিনিধি নিয়ে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। আহ্বায়ক নির্বাচিত হন ছাত্রলীগনেতা কাজী গোলাম মাহবুব। এই সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে দেশের সর্বত্র প্রতিবাদ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
এর পরের ইতিহাস সবার জানা। একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত তরুণদের ওপর পুলিশের নৃশংস গুলিবর্ষণের ফলে সালাম, বরকত, জব্বার প্রমুখ ভাষা শহীদরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে যে ইতিহাস সৃষ্টি করল তার আঘাতে ধসে পড়ল বাংলাবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের দূর্গ। বাংলা ভাষা আন্দোলনের জয়জয়কারের মধ্য দিয়ে ভেঙে পড়ল পাকিস্তানের লাহোর প্রস্তাববিরোধী ষড়যন্ত্রের অচলায়তন। আর ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে গড়ে উঠল বাংলাদেশ নামের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।
ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের জাতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে মূল্যবান অর্জন স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের ভিত্তি নির্মিত হয়। তমদ্দুন মজলিসের পরই সেই ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কৃতিত্ব যাদের, সেই ছাত্রলীগের যে কোনো বিচ্যুতি আমাদের দুঃখ দেয় বৈকি। কথায় বলে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা ও জোরদার করা অনেক কঠিন কাজÑ এটা যেমন সত্য অন্যান্য দেশের জন্য, তার চেয়েও অনেক অধিক সত্য বাংলাদেশের জন্য। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রক্রিয়া ছিল আগাগোড়াই অত্যধিক কঠিন এর ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যের কারণে।
ইতিহাসবিদ মাত্রই জানেন, ১৭৫৭ সালে পশ্চিমা সা¤্রাজ্যবাদ ও ব্রাহ্মণ্যবাদী আধিপত্যবাদের মধ্যে এক অশুভ আঁতাতের পরিণতিতে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার পতনের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যাবার পর নব্য ইংরেজ শাসকদের একটা নীতিই হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রশাসন, প্রতিরক্ষা, জমিদারি, আয়মাদারি, শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রভৃতি সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র থেকে বেছে বেছে মুসলমানদের উৎখাত করে সেসব স্থানে ইংরেজ-অনুগত হিন্দুদের বসানো। পলাশী বিপর্যয়ের কয়েক দশক পর ১৭৯৩ সালে পূর্বতন ভূমি ব্যবস্থা বদলিয়ে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নামের যে নয়া ব্যবস্থা সঙ্গে তোলা হয়, যার মধ্য দিয়ে দেশে এমন এক নব্য জমিদার গোষ্ঠী গড়ে ওঠে, যার সিংহভাগেই ছিল হিন্দু। এসব নীতি অনুসরণের ফলে অল্প দিনের মধ্যে এককালে যাদের অবস্থা মোটামুটি সচ্ছল ছিল সেই মুসলমানরা হয়ে পড়ল একটি বিত্তহীন অসহায় জনগোষ্ঠী।
অপরদিকে বিদেশি ইংরেজ রাজত্বকে মুসলমানরাও কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। পলাশীতে স্বাধীনতা হারিয়ে তাদের একমাত্র চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জীবনবাজি রেখে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে হলেও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে হবে। ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত মুসলমানরা ইংরেজবিরোধী সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম চালিয়ে যান মজনু শাহের নেতৃত্বাধীন ফকীর আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার সংগ্রাম, হাজী শরীয়তুল্লাহ, দুদুমিয়ার ফরায়েজী আন্দোলন, রংপুরের নুরুল দীন, ত্রিপুরার শমসের গাজী, সন্দীপের আবু তোরাব, লক্ষ্মীপুরের নওয়াব আলী প্রমুখ কৃষক নেতার ইংরেজবিরোধী কৃষক আন্দোলন, মহীসূরের বীর হায়দার আলী ও টিপু সুলতানের স্বাধীনতা সংগ্রাম, বালাকোটের সৈয়দ আহমদ ব্রেনভীর জেহাদ আন্দোলন এবং সর্বশেষ ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে। তবে এসব আন্দোলনই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় উপমহাদেশের সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহযোগিতার কারণে। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লব ব্যর্থ হওয়ার পর ইংরেজদের মুসলিমবিরোধী নির্যাতনের যাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে তদানীন্তন মুসলিম নেতৃবৃন্দ উত্তর ভারতের স্যার সৈয়দ আহমদ এবং বাংলার নবাব আবদুল লতিফ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ সাময়িকভাবে হলেও ইংরেজ শাসকদের সাথে সহযোগিতার নীতি অবলম্বন করে হিন্দু নেতৃত্বের অনুসরণে মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত উন্নত করে তুলতে প্রয়াস পান।
ইংরেজ শাসকদের প্রতি মুসলমানদের এ সহযোগিতার একশ্রেণির খ্রিস্টীয় পাদ্রি ইসলাম ও মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। সেই অপপ্রচারের দাঁতভাঙা জবাব দিতে এগিয়ে আসেন মুন্সী মেহেরুল্লাহ নামের এক গ্রাম্য প্রতি মুসলমাদের এ দরজী। মেহেরুল্লাহ শুধু খ্রিস্টানদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাই নেন না। তিনি ইংরেজ সা¤্রাজ্যবাদবিরোধী সাহিত্য সৃষ্টির ক্ষেত্রেও উৎসাহ দান করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তার প্রেরণায় রচিত সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর কাব্যগ্রন্থ আনল প্রবাহ ইংরেজবিরোধী গ্রন্থ বিবেচিত হওয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ইসমাইল হোসেন সিরাজী এই ধারা ছড়িয়ে দেন তার ভাবশিষ্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মধ্যে। এভাবেই সা¤্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন সাহিত্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিয়ে তারা আমাদের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব সৃষ্টি করতে সমর্থ হন।
সাহিত্য সংস্কৃতির পাশাপাশি রাজনীতি ক্ষেত্রে মুসলমানদের আন্দোলন ক্রমশ চাঙ্গা হয়ে উঠতে থাকে। এর একপর্যায়েই ১৯০৬ সালে গঠিত হয় উপমহাদেশের মুসলমানদের সর্বোপেক্ষা দীর্ঘকালীন রাজনৈতিক সংগঠন নিখিল ভারত মুসলিম লীগ। এটি গঠিত হয় ১৯০৬ সালে ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে। এই সংগঠনের আন্দোলনের ফলেই ১৯৪৭ সালে আমরা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তিলাভ করি, লাহোর প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রথম পর্ব হিসাবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। যে প্রস্তাবের আংশিক বাস্তবায়ন হয় ১৯৪৭ সালে সেই লাহোর প্রস্তাবের পূর্ণ বাস্তবায়ন হয় ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির মাধ্যমে। মুসলিম লীগের ওই আন্দোলনে যদি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ যোগ না দিত তা হলে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না। সেই ভুল করেছিলেন কাশ্মীরের শেখ আবদুল্লাহ, ফলে তাকে কাশ্মীরের স্বাধীনতার স্বপ্ন বুকে অপূরিত রেখেই জীবন ত্যাগ করতে হয়েছে। অন্যদিকে উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বাস্তবতা ছাত্রলীগ নেতা (পরবর্তীকালের বঙ্গবন্ধু) শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন বলেই তার পক্ষে তার জীবনের স্বপ্ন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মতো ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন পেরেছিলেন।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী হয়েও যারা ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক অর্জন সম্পর্কে সচেতন না থেকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন থাকার সুবাদে নানা অপকর্ম করে ছাত্রলীগের সুনামে কলঙ্ক লেপন করে তাদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করে জনাব ওবায়দুল কাদের তার প্রতি আরোপিত দায়িত্ব সঠিকভাবেই পালন করছেন বলে আমাদের ধারণা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন