মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলা ফিচার

গৌরব অগৌরবের টেস্ট

| প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৫০ এএম

শামীম চৌধুরী : নির্ঘুম রাতটিও যে হতে পারে আনন্দেরÑএমন একটি রাতই যে বাংলাদেশের মানুষকে উপহার দিয়েছে সাকিব, মুশফিক। ঘুম ভেঙ্গে টেলিভিশনের সুইচ অন করেছেন যারা, বিস্ময়ে হতবাক তারা! ঘুমের ঘরেও যে স্বপ্ন দেখতে মানা, যে স্বপ্নকে মনে হতে পারে দিবা স্বপ্নÑরাত পেরিয়ে সকাল হতেই সপ্তাহের শুক্রবারে নিজের গায়ে চিমটি কেটেছেন অনেকেই। ওয়েলিংটনে পর পর ২দিন নির্বিঘেœ বাটিংয়ে পার করলো বাংলাদেশ কিভাবে? আর কিভাবেই বা স্কোরটা দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৪২/৭? কিভাবেই বা ৩৫৯ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ হলো? প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যে ছেলেটি অতীতে দেখা পায়নি কোন ডাবল সেঞ্চুরিÑসেই সাকিব কি করে ওয়েলিংটনে উদযাপন করলো ডাবল সেঞ্চুরি এবং তা আবার টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস (২১৭)! এটা কি স্বপ্ন, না অন্য কিছু?  তাসমান সাগরের তীরবর্তী ওয়েলিংটন থেকে মুচকি হেসে ঘুম ভেঙে জেগে ওঠা মানুষকে সাকিব, মুশফিকুররা জানিয়ে দিয়েছেনÑস্বপ্ন নয়, সত্যি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-২০ সিরিজে ক্রিকেটারদের হতাশ পারফরমেন্সে যাদের কণ্ঠে সোচ্চার ছিল, ‘ঘুমটা ফিরিয়ে দাও’; ২দিনের পারফরমেন্স এখন তারাই বলছেন, ‘এমন রাতটি বার বার দাও’।
মাঠ থেকে পীচ আলাদা করা দুস্কর। সবুজ ঘাসে ছেয়ে যাওয়া মাঠে ২২ গজী পিচও সবুজাভ! অনভ্যস্ত এমন উইকেট বাংলাদেশ তো বটেই, উপহমহাদেশের যে কোন দলের ব্যাটসম্যানদের জন্য এক ধরনের মৃত্যু ফাঁদই বটে। এক প্রাপ্ত দিয়ে গোলার মতো বাতাস হচ্ছে প্রবাহিত, স্ট্যাম্পের উপর থেকে বেলস যাচ্ছে উড়ে! ২০০১ এবং ২০০৮ এ যে  ওয়েলিংটনকে দেখেছে বাংলাদেশ, তার চেয়েও ভয়ংকর মৃত্যুফাঁদের মুখোমুখি হতে হয়েছে! সবুজাভ এই পিচের চ্যালেঞ্জটা নিবে কিভাবে মুশফিকুরের দল? অতীতে চারটি ইনিংস যেখানে ১৩২, ১৩৫, ১৪৩ এবং ১১৩Ñসেখানে না জানি আরো কতো ভয়ংকর রূপ ছড়ায় কিউই পেসাররা? অথচ, বৃষ্টি বিঘিœত প্রথম দিনে তামীম, মুমিনুলের ফিফটিতে দেখানো পথে হেঁটে সাহস সঞ্চার করে সেই ওয়েলিংটন টেস্টে উপর্যুপরি ২দিন নিউজিল্যান্ড বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে বাংলাদেশ দল।
দিনের চতুর্থ ওভারে সাউদির রাউন্ড দ্য উইকেট ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে মুমিনুল (৬৪) এই দিনে কোন রান না করে ফিরে আসায় ছিল শঙ্কা। প্রথম দিন ৪ রানের মাথায় স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া সাকিব দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় রান আউট থেকে বেঁচে যাওয়ায়ও ছিল শঙ্কা। তবে দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় ওভারে বোল্টকে মিড অফ দিয়ে বাউন্ডারিতে যে বার্তা দিয়েছেন সাকিব, পার্টনার মুশফিকুরের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ওয়েলিংটনে বেজেছে অন্য সঙ্গীত। যে সঙ্গীতের রচয়িতা ৫ম উইকেট জুটির এই পার্টনারশিপ। দিনের প্রথম সেশনে মুমিনুলকে হারিয়ে ১১৫, দ্বিতীয় সেশনে উইকেটহীন ১২২, শেষ সেশনে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫১, টেস্টে একদিনে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩৮৮ রানে অন্য এক বাংলাদেশকে যে দেখেছে বিশ্ব।
সাকিব, মুশফিকÑদু’জনেই দেখা পেয়েছেন টেস্ট ক্যরিয়ারে ৪র্থ সেঞ্চুরি। একজনের দেখাদেখি অন্যজন উদ্বুদ্ধ।  বাউন্সি ডেলিভারি ছেড়ে দিয়ে বাজে বলগুলোকে শিক্ষা দিতে পাল্লা দিয়ে বাউন্ডারি শটে মেতেছেন  ২ জন। ৩১টি বাউন্ডারিতে ইনিংসে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বাধিক চারের রেকর্ড হয়ে গেছে সাকিবের। ওয়েগনারকে সিঙ্গল শটে সাকিবের সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে খেলতে হয়েছে ১৫০টি বল, সেখানে সাউদিকে ফ্লিক শটে বাউন্ডরিতে ৪র্থ টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন উদযাপন মুশফিক। ১৩৭ রানের মাথায় ওয়েগনারের বলে সাকিবের ক্যাচটি জুচ্চরি করে নিতে চেয়ে দুয়োধ্বনী খেয়েছেন ওয়াটলিং, টিভি রিপ্লেতে সেই দৃশ্যে লজ্জিত কিউইরা। ১৮২ রানের মাথায় সাউদির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে টেলরের হাতে বেঁচে যাওয়া সাকিব ২শ’ করেই ছেড়েছেন। ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে শেষ ৭টি রানে খেলেছেন মাত্র ৩টি বল। গ্র্যান্ডহোমকে প্রিয় স্কয়ার কাটে বাউন্ডারিতে ডাবল সেঞ্চুরিতেও উদযাপনে নির্লিপ্ত সাকিব! দিনটা হতে পারতো আরো স্মরণীয়। পার্টনারশিপটা বিশ্বরেকর্ড হতে পারতো। তবে হঠাৎ মনোসংযোগ হারিয়ে বোল্টের আউট সুইং ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে এসেছেন মুশফিকুর রহিম (১৫৯)। ৩৫৯ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপের এই কারিগরের বিদায়ের পর দিনের খেলা শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে ওয়েগনারের গুডলেন্থের বল কাট করতে যেয়ে বোল্ড আউটে থেমেছেন সাকিব। তবে হাবিবুল, তামীমের পর তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ৩ হাজার ক্লাবের সদস্যপদের দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংস এবং দেড়শ’ উইকেটের পাশে ৩ হাজার রানে টেস্টে বিরল অল রাউন্ড পারফরমেন্সে ১৪ কৃতিমানে নাম খোদাই হয়ে থাকা সাকিবকে বিদায়বেলা পিঠ চাপড়ে অভিনন্দিত করতে মাঠের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিউই ক্রিকেটাররা এসেছেন ছুটে। ওয়েলিংটনের অনার্স বোর্ডে একসঙ্গে ২ বাংলাদেশী ক্রিকেটারের নাম ওঠানোর দিনে নিউজিল্যান্ডের মাঠে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ডের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ম জুটিতে সর্বোচ্চ রেকর্ডের সঙ্গে একগুচ্ছ রেকর্ডে দিনটি যে স্বপ্নকে গেছে ছাড়িয়ে।
ওয়েলিংটনে প্রথম তিন দিনের অবিশ্বাস্য কৃতিতে শেষ রাত নির্ঘুম কাটিয়েও দারুন ভাললাগা অনুভুতি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট প্রেমীদের চোখে-মুখে। চতুর্থ দিন থেকে স্রোতটা উল্টো বইতে শুরু করেছে। শেষ বিকেলে ইমরুল কায়েসের ক্রীজের উপর পড়ে যাওয়ায় সেই যে অশনি সংকেত, তামীম, মাহামুদুল্লাহ এবং মিরাজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসায় ফিকে হতে থাকা স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে বাংলাদেশ দল! খুব কঠিন কোন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। চতুর্থ দিন শেষে ১২২ রানের লিডকে শেষ ৭টি পার্টনারশিপ কতো বড় করতে পারে, নিউজিল্যান্ডকে চতুর্থ ইনিংসে কেমন চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে বাংলাদেশ দলÑসেদিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশের কোটি কোচি চোখ। অথচ, ঘুম ভেঙে ৫ম দিনের ৮ম বলে সাকিবের অমার্জনীয় শটে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ায় ওয়েলিংটনের ফর্সা আকাশটাও যেনো হয়ে গেল বাংলাদেশের সামনে ঘন কালো! মাত্র ৯৪ রানে শেষ ৭ উইকেট! প্রথম ইনিংসে সাকিব-মুশফিকুরের ৩৫৯ রানের পার্টনারশিপ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর (৫৯৫/৮ডি.) সব জলাঞ্জলী দিল বাংলাদেশ! প্রথম ইনিংসের পারফরমেন্সে যে দলটির পক্ষে অন্ততঃ বাজি ধরার সাহস পেয়েছেন যারা, তারাই দেখলেন সেই দলটির করুন আত্মসমর্পন। চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ২১৭ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়ে ৭ উইকেটে হারের লজ্জাটা আবার গণ্য হলো বিশ্বরেকর্ডে। প্রথম ইনিংসে ৫৯৫/৮ডি. করে হারÑ১৪০ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এটাই যে অগৌরবের বিশ্বরেকর্ড।
কি হয়নি এই দিনে? ৬৬/৩ থেকে স্কোর থেমেছে ১৬০ এ। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৯ রানের লিডের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ স্কোরেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশÑ টেস্ট অভিষেকে অফ স্পিনার সোহাগ গাজীর দূর্দান্ত বোলিংয়ে চতুর্থ ইনিংসে ২৪৫ রানের সমীকরন মেলাতে পারেনি বাংলাদেশÑঢাকা টেস্টে হেরে গেছে মুশফিকুররা ৭৭ রানে। অগৌরবের সেই অতীতটাও যে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ দল! খুব দরকার না পড়লে ব্যাটিংয়ে নামবেন না বলেও নামতে হলো মুশফিকুর, ইমরুল কায়েসকে ইনজুরি নিয়ে। সাউদির বাউন্সারে পীচের উপর লুটিয়ে পড়ে মাঠ ছাড়তে হলো মুশফিকুরকে (৫), ইমরুল অনন্যোপায় হয়ে কোনমতে দাঁড়িয়ে মারলেন তিনটি বাউন্ডারি (১২)। প্রথম ইনিংসের মতো পার্টনারের অভাবে ফিফটি পেয়ে ছাড়লেন সাব্বির (৫০)। ওভারপ্রতি ৩ এর অল্প কিছু বেশি লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করা মোটেও দুরূহ হওয়ার কথা নয়। এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড়ানো নিউজিল্যান্ডকে সহজে রানের সুযোগটা তৈরি করে দিয়েছেন তাসকিন, শুভাশিষরা অনিয়ন্ত্রিত বোলিং করে। মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৯ রানের মধ্যে ২ ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়েও দলকে ফেরাতে পারেননি ম্যাচে। চতুর্থ ইনিংসে উইলিয়ামসন এবং রস টেলরের ১৬৩ রানের পার্টনারশিপটি এসেছে ওভারপ্রতি ৬.৪৩ রানে। যা চতুর্থ ইনিংসে দেড়শ’ প্লাস পার্টনারশিপে দ্রুততম বিশ্বরেকর্ড। চেজ করতে নেমে ওভারপ্রতি ৫.৪৭ হারে রান তুলে দ্বিতীয় বিশ্বরেকর্ডটি করেছে নিউজিল্যান্ড। জয় ত্বরান্বিত করতে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৮৯ বলে সেঞ্চুরি করে (১০৪) টেস্ট ইতিহাসে চেজিংয়ে চতুর্থ দ্রুততম ইনিংসে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে। বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখানো ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির কৃতিত্ব মøান করা সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে ফিরে অগৌরবের রেকর্ডটাও ভারী করেছেন! টেস্টে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানÑএমন বৈপরিত্য আছে তাকে নিয়ে মাত্র ৬ জনের।
প্রথম ইনিংসে ৫শ’র বেশি করে ১৪০ বছরের টেস্ট ইতিহাসে হারের রেকর্ড খুব বেশি নয়-১৬টি। ১৮৯৪ সালে সিডনী টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫৮৬ করে ১০ রানে অস্ট্রেলিয়ার হারটা ছিল টেস্ট ইতিহাসে এতোদিন অগৌরবের রেকর্ডে সবার উপরে। ১২৩ বছরের সেই রেকর্ড ভেঙে অগৌরবের রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ! ওয়েলিংটন টেস্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে রেকর্ড স্কোর (৫৯৫/৮ডি.) করে ৭ উইকেটে হেরে সর্বোচ্চ স্কোরের ম্যাচে হারের বিশ্বরেকর্ডটা এখন বাংলাদেশের। ১৮৯৪ সালে ৬ দিনের টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৮৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৩২৫ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়া ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে করে ৪৩৭ রান। চতুর্থ ইনিংসে ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে যেয়ে ১৬৬ রানে থামে স্বাগতিকরা, হারে ১০ রানে। ১২৩ বছরের সেই অতীতটা মুছে দিয়ে নুতন বিশ্বরেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। ৫শ’ প্লাস করে অতীতে বাংলাদেশের হার ছিল ১টি। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৯ রানের লিডের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ স্কোরেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশÑ টেস্ট অভিষেকে অফ স্পিনার সোহাগ গাজীর দূর্দান্ত বোলিংয়ে চতুর্থ ইনিংসে ২৪৫ রানের সমীকরন মেলাতে পারেনি বাংলাদেশÑঢাকা টেস্টে হেরে গেছে মুশফিকুররা ৭৭ রানে। সেই অতীতটাও যে মনে করিয়ে দিয়েছে মুশফিকুরের দল। দুই ইনিংসে রানের ব্যবধান ৪৩৫, এটিও বাংলাদেশের রেকর্ড। ২০১২ সালে মিরপুর টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৫৬ রানের ইনিংসের ম্যাচে ২ ইনিংসে রানের ব্যবধান ৩৮৯ ছিল এতোদিন বাংলাদেশের রেকর্ড। দু’ইনিংসে রানের ব্যবধান ১৪০ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৭ম সর্বোচ্চ।


রেকর্ড স্কোরেও হার
দল    স্কোর    প্রতিপক্ষ    ভেন্যু    তারিখ
বাংলাদেশ    ৫৯৫/৮ডি    নিউজিল্যান্ড    ওয়েলিংটন    ১২ জানু.২০১৭
অস্ট্রেলিয়া    ৫৮৬    ইংল্যান্ড    সিডনি    ১৪ ডিসে.১৮৯৪
পাকিস্তান    ৫৭৪/৮ডি    অস্ট্রেলিয়া    মেলবোর্ন    ২৯ ডিসে.১৯৭২
অস্ট্রেলিয়া    ৫৫৬    ভারত     অ্যাডিলেড    ১২ ডিসে.২০০৩
বাংলাদেশ    ৫৫৬    উইন্ডিজ    ঢাকা    ১৩ নভে.২০১২

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৫ ইনিংস
স্কোর    ওভার    ইনিংস    প্রতিপক্ষ    ভেন্যু    তারিখ
৬৩৮    ১৯৬.০    ২য়    শ্রীলঙ্কা    গল    ৮ মার্চ ২০১৩
৫৫৬    ১৪৮.৩    ২য়    উইন্ডিজ    ঢাকা    ১৩ নভে.২০১২
৫৫৫/৬    ১৩৬.০    ৩য়    পাকিস্তান    খুলনা    ২৮ এপ্রিল ২০১৫
৫৪২/৭*    ১৩৬.০    ১ম    নিউজিল্যান্ড    ওয়েলিংটন    ১২ জানু.২০১৭
৫০৩    ১৫৩.৪    ১ম    জিম্বাবুয়ে    চট্টগ্রাম    ১২ নভে.২০১৪
*তখনও ইনিংসটি চলছিল

টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ৫ জুটি
জুটি    উইকেট    রান    ইনিংস    প্রতিপক্ষ    ভেন্যু    তারিখ
মুশফিক-সাকিব    ৫ম    ৩৫৯    ১ম    নিউজিল্যান্ড    ওয়েলিংটন    ১২ জানু.২০১৭
ইমরুল-তামীম    ১ম    ৩১২    ৩য়    পাকিস্তান    খুলনা    ২৮ এপ্রিল ২০১৫
আশরাফুল-মুশফিক    ৫ম    ২৬৭    ২য়    শ্রীলঙ্কা    গল    ৮ মার্চ ২০১৩
ইমরুল-শামসুর    ২য়    ২৩২    ২য়    শ্রীলঙ্কা    চট্টগ্রাম    ৪ ফেব্রু.২০১৪
ইমরুল-তামীম    ১ম    ২২৪    ১ম    জিম্বাবুয়ে    চট্টগ্রাম    ১২ নভে.২০১৪


ডাবলের পর ডাক
ব্যাটসম্যান    ১ম ইনি.    ২য় ইনি.    প্রতিপক্ষ    ভেন্যু    তারিখ
সোয়েব মালিক (পাকিস্তান)    ২৪৫    ০    ইংল্যান্ড    আবু ধাবি    ১৩ অক্টো.২০১৫
রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)    ২৪২    ০    ভারত    অ্যাডিলেড    ১২ ডিসে.২০০৩
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)    ২১৭    ০    নিউজিল্যান্ড    ওয়েলিংটন    ১২ জানু.২০১৭
ইমতিয়াজ আহমেদ (পাকিস্তান)    ২০৯    ০    নিউজিল্যান্ড    লাহোর    ২৬ অক্টো.১৯৫৫
ভিভ রিচার্ডস (উইন্ডিজ)    ২০৮    ০    অস্ট্রেলিয়া    মেলবোর্ন    ২২ ডিসে.১৯৮৪
সিয়েমোর নার্স (উইন্ডিজ)    ২০১    ০    অস্ট্রেলিয়া    ব্রিজটাউন    ৫ মে ১৯৬৫

টেস্টে সেরা অলরাউন্ডার

৩ হাজার রান ও দেড়শ’ উইকেট    ম্যাচ    রান    সর্বোচ্চ    ব্যাটিং গড়    সেঞ্চুরি    উইকেট    ইনি.সেরা    বোলিং গড়    ৫ উই.    ক্যাচ
জ্যাক ক্যালিস (দ.আফ্রিকা)    ১৬৬    ১৩২৮৯    ২২৪    ৫৫.৩৭    ৪৫    ২৯২    ৬/৫৪    ৩২/৬৫    ৫    ২০০
শেন ওয়ার্ন (অস্ট্রেলিয়া)    ১৪৫    ৩১৪৫    ৯৯    ১৭.৩২    ০    ৭০৮    ৮/৭১    ২৫.৪১    ৩৭    ১২৫
কপিল দেব (ভারত)    ১৩১    ৫২৮৪    ১৬৩    ৩১.০৫    ৮    ৪৩৪    ৯/৮৩    ২৯.৬৪    ২৩    ৬৪
ডেনিয়েল ভেট্টোরি (নিউজিল্যান্ড)    ১১৩    ৪৫৩১    ১৪০    ৩০.০০    ৬    ৩৬২    ৭/৮৭    ৩৪.৩৬    ২০    ৫৮
চামিন্দা ভাস (শ্রীলঙ্কা)    ১১১    ৩০৮৯    ১০০*    ২৪.৩২    ১    ৩৫৫    ৭/৭১    ২৯.৫৮    ১২    ৩১
শন পোলক (দ.আফ্রিকা)    ১০৮    ৩৭৮১    ১১১    ৩২.৩১    ২    ৪২১    ৭/৮৭    ২৩.১১    ১৬    ৭২
ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড)    ১০২    ৫২০০    ২০৮    ৩৩.৫৪    ১৪    ৩৮৩    ৮/৩৪    ২৮.৪০    ২৭    ১২০
গ্যারি সোবার্স (উইন্ডিজ)    ৯৩    ৮০৩২    ৩৬৫*    ৫৭.৮৭    ২৬    ২৩৫    ৬/৭৩    ৩৪.০৩    ৬    ১০৯
ইমরান খান (পাকিস্তান)    ৮৮    ৩৮০৭    ১৩৬    ৩৭.৬৯    ৬    ৩৬২    ৮/৫৮    ২২.৮১    ২৩    ২৮
রিচার্ড হ্যাডলি (নিউজিল্যান্ড)    ৮৬    ৩১২৪    ১৫১*    ২৭.১৬    ২    ৪৩১    ৯/৫২    ২২.২৯    ৩৬    ৩৯
রবি শাস্ত্রী (ভারত)    ৮০    ৩৮৩০    ২০৬    ৩৫.৭৯    ১১    ১৫১    ৫/৭৫    ৪০.৯৬    ২    ৩৬
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (ইংল্যান্ড)    ৭৯    ৩৮৪৫    ১৬৭    ৩১.৭৭    ৫    ২২৬    ৫/৫৮    ৩২.৭৮    ৩    ৫২
ক্রিস কেয়ার্নস (নিউজিল্যান্ড)    ৬২    ৩৩২০    ১৫৮    ৩৩.৫৩    ৫    ২১৮    ৭/২৭    ২৯.৪০    ১৩    ১৪
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)    ৪৫    ৩১৪৬    ২১৭    ৪১.৩৯    ৪    ১৫৯    ৭/৩৬    ৩২.১৮    ১৫    ১৯


সাকিব-মুশফিকে কীর্তিগাথা

০ ওয়েলিংটনে সাকিবের ২১৭ রানের ইনিংস টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। ২০১৫ সালের এপ্র্রিলে খুলনা টেস্টে প্রাকিস্তানের বিপ্রক্ষে তামিম ইকবালের ২০৬ রানের ইনিংস ছিল ইতোপ্রূর্বের সেরা।

০ টেস্টে এক ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বাধিক চার ছক্কায় এতোদিন আশরাফুল (২০০৪ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ১৫৮* রানের ইনিংসে ২৪ চার ৩ ছক্কা =২৭টি), মুমিনুল হক (২০১৩ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ১৮১ রানের ইনিংসে ২৭ বাউন্ডারি) যৌথভাবে ছিল শীর্ষে। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে ওয়েলিংটন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপ্রক্ষে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ৩১টি বাউন্ডারির রেকর্ড এখন সাকিবের।

০ টেস্টে যে কোন জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৩৫৯ রানের জুটি ওয়েলিংটন টেস্টে গড়েছেন সাকিব-মুশফিক। আগের সর্বোচ্চ প্রার্টনারশিপ্রের রেকর্ড ছিল ২০১৫ সালে প্রাকিস্তানের বিপ্রক্ষে খুলনা টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে প্র্রথম উইকেট জুটিতে  তামিম-ইমরুল কায়েসের ৩১২ রানের জুটি।

০ টেস্টে ইতোপ্রূর্বে গল এ শ্রীলংকার বিপ্রক্ষে ২০১৩ সালে ৫ম উইকেট জুটিতে আশরাফুল-মুশফিকুরের ২৬৭ রানের জুটি ছিল এই জুটির সর্বোচ্চ। তা ছাড়িয়ে ওয়েলিংটনে সাকিব-মুশফিকুরের প্রার্টনারশিপ্র থেমেছে ৩৫৯ রানে।

০ টেস্ট ইতিহাসে ৫ম উইকেট জুটিতে সাকিব-মুশফিকুরের এই কৃতি ৫ম সর্বোচ্চ। ১৯৪৬ সালে সিডনী টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ডন ব্র্যাডম্যান ও সিডনি বার্নসের ৪০৫ এখনো ৫ম জুটিতে সর্বোচ্চ।

০ নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ৫ম উইকেট জুটিতে  সাকিব-মুশফিকুরের ৩৫৯ রান ৫ম উইকেট জুটির সর্বোচ্চ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রঞ্চম জুটিতে ইতোপ্রূর্বে সর্বোচ্চ ছিল ১৯৯৪ সালে ওয়েলিংটনে স্বাগতিকদের বিপ্রক্ষে প্রাকিস্তানের ইনজামাম-সেলিম মালিকের ২৫৮। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যে কোন জুটির সর্বোচ্চ রেকর্ডে অবশ্য সাকিব-মুশফিকুরের এই প্রার্টনারশিপ্র তৃতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৯১ সালে শ্রীলংকার বিপ্রক্ষে এই ওয়েলিংটনে কিউই ৩য় জুটি মার্টিন ক্রো-জোন্সের ৪৬৭ এখনো সবার উপ্ররে। ২০১৫ সালে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে শ্রীলংকার বিপ্রক্ষে এই ওয়েলিংটনে ওয়াটলিং-কেন উইলিয়ামসের ৩৬৫ রানের প্রার্টনারশিপ্র অবস্থান করছে সাকিব-মুশফিকুরের প্রার্টনারশিপ্রের উপ্ররে।

০ নিউজিল্যান্ডের বিপ্রক্ষে ৫ম উইকেট জুটিতে সাকিব-মুশফিকুরের ৩৫৯ সেরা। ১৯৭৬ সালে  লাহোরে জাভেদ মিয়াদাদ ও আসিফ ইকবালের ২৮১ ছিল ৫ম উইকেট জুটিতে ইতোপ্রূর্বের সেরা। ২০০৮ সালে ডানেডিনে ওপ্রেনিং প্রার্টনারশিপ্রে  জুনায়েদ সিদ্দিক-তামিমের ১৬১ রানের প্রার্টনারশিপ্র ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপ্রক্ষে বাংলাদেশের ইতোপ্রূর্বের সেরা। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে মুশফিক-মেহরাব জুনিয়রের ১৪৪ রানের প্রার্টনারশিপ্র ছিল এতোদিন নিউজিল্যান্ডের বিপ্রক্ষে ৫ম জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।

০ তামিম ও ইমরুল জুটির প্রর বাংলাদেশের দ্বিতীয় জুটি হিসেবে টেস্টে দুই হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন সাকিব-মুশফিক। টেস্টে এই জুটির তিনটি সেঞ্চুরি, ১৪টি হাফ সেঞ্চুরির প্রার্টনারশিপ্রে ওয়েলিংটনে সাকিব-মুশফিকুর জুটি প্রৌছে গেছেন ২ হাজার রানে (২ হাজার ১৭ রান)।  তামিম-ইমরুল জুটির রান সেখানে ২ হাজার ২২৯।

০ নিউজিল্যান্ডের বিপ্রক্ষে ইতোপ্রূর্বে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ৫০১ । সেই রেকর্ড টপ্রকে ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৪২/৭। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ইতোপ্রূর্বে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১০ সালে হ্যামিল্টনের ৪০৮। সেই রেকর্ডও হয়ে গেছে অতীত।

০ ২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলংকার বিপ্রক্ষে ৬৩৮ স্কোর টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। তবে উপ্রমহাদেশের বাইরে টেস্টে কোন ইনিংসে ৫’শ রান এটাই প্র্রথম। ২০০৪ সালে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপ্রক্ষে বাংলাদেশের ৪১৬ ছিল এতোদিন উপ্রমহাদেশের বাইরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। ৬ষ্ঠ বারের মতো ইনিংসে ৫’শ প্রøাস স্কোরে এটি ৪র্থ সর্বোচ্চ। প্র্রথমে ব্যাট করে সাকিব-মুশফিকুর কীর্তিগাথা ম্যাচে ৫৪২/৭ স্কোর আবার টেস্টে প্র্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।

০ নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে এই প্র্রথম কোনো টেস্টে এক ইনিংসে একশ’ ওভার (১৩৬.০ ওভার)  ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। এর আগে  ২০১০ সালে হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশ খেলেছিল সর্বোচ্চ  ৯৭.৩ ওভার।

০ এই প্র্রথম কোনো টেস্টে বাংলাদেশের প্র্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৪ জন অন্তত: ফিফটির দেখা প্রেয়েছে।   তামিম ও মুমিনুল  করেছেন হাফ সেঞ্চুরি, সাকিব ডাবল সেঞ্চুরিএবং  মুশফিক করেছেন সেঞ্চুরি।

০ টেস্টে দেড়’শ উইকেট এবং ৩ হাজার  রানে বিরল কৃতিত্বে এতোদিন খোঁদাই করে লেখা ছিল যাদের নাম, সেই এলিট ক্লাবের সদস্যপ্রদ প্রেয়েছেন সাকিব (১৪তম) গতকাল। ৫০’র নিচে টেস্ট খেলে এমন গর্বিত রেকর্ডে শুধু একাই সাকিব।

০ দারুন মাইলস্টোনের দিনে  বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে তিন হাজারী ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন  রসাকিব। হাবিবুল বাশারকে (৩ হাজার ২৬) ছাড়িয়ে এখন টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিবের (৩ হাজার ১৪৬)। বাংলাদেশের হয়ে বেশি টেস্ট রানের মালিক এখনো তামিম (৩ হাজার ৪০৫)।

০ টেস্টে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮০ টি বাউন্ডারির রেকর্ডটাও গড়েছে বাংলাদেশ।
০ চেজ করতে এসে ৮৯ বলে কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরি টেস্ট ইতিহাসে চেজিংয়ে চতুর্থ দ্রুততম। ১৯০২ সাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৬ বলে গিলবার্টের সেঞ্চুরি এখনো এই তালিকায় সবার উপরে।
০ চেজ করতে নেমে ওভারপ্রতি ৫.৪৭ হারে রান তুলে দ্বিতীয় বিশ্বরেকর্ডটি করেছে নিউজিল্যান্ড।১৯৯৪ সালে ওভালে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ড চেজ করে জিতেছে ওভারপ্রতি ৫.৭৭ রান তুলে।
০ চতুর্থ ইনিংসে উইলিয়ামসন এবং রস টেলরের ১৬৩ রানের পার্টনারশিপটি এসেছে ওভারপ্রতি ৬.৪৩ রানে। যা চতুর্থ ইনিংসে দেড়শ’ প্লাস পার্টনারশিপে দ্রুততম বিশ্বরেকর্ড।
০ ২ শতাধিক রান চেজ করে বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ চেজের রেকর্ড ইনিংসটি আবার নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট ইতিহাসে চেজিংয়ে ৭ম সর্বোচ্চ।
০ সর্বোচ্চ রানের ম্যাচে (৫৯৫/৮ডি.) সাকিব-মুশফিকুরের ৩৫৯ রানের পার্টনারশিপ ম্লান হয়েছে। এর আগে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪র্থ জুটিতে মোহাম্মদ ইউসুফ-ইউনুস খানের চতুর্থ জুটিতে ১৬৭ রানের পার্টনারশিপ ম্লান হওয়ার অতীত ছিল রেকর্ড।
০ প্রথম  ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ০ রানে সাকিবের ফিরে যাওয়ার ঘটনা টেস্ট ইতিহাসে ৬ষ্ঠ।
০ ওয়েলিংটনে প্রথম ইনিংসে দু’দলের ১১৩৪ রান টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ম উইকেটে সেরা জুটি
জুটি    রান    ইনিংস    ভেন্যু    তারিখ
মুশফিক-সাকিব (বাংলাদেশ)    ৩৫৯    ১ম    ওয়েলিংটন    ১২ জানু.২০১৭
আসিফ-মিয়াঁদাদ (পাকিস্তান)    ২৮১    ১ম    লাহোর    ৯ অক্টো.১৯৭৬
ইনজামাম-মালেক (পাকিস্তান)    ২৫৮    ২য়    ওয়েলিংটন    ১৭ ফেব্রু.১৯৯৪
ক্লার্ক-নর্থ (অস্ট্রেলিয়া)    ২৫৩    ১ম    ওয়েলিংটন    ১৯ মার্চ ২০১০
আমেস-হ্যামোন্ড (ইংল্যান্ড)    ২৪২    ১ম    ক্রাইস্টচার্চ    ২৪ মার্চ ১৯৩৩

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সেরা জুটি
জুটি    উইকেট    রান    ইনিংস    প্রতিপক্ষ    ভেন্যু    তারিখ
ক্রো-জোন্স (নিউজিল্যান্ড)    ৩য়    ৪৬৭    ৩য়    শ্রীলঙ্কা    ওয়েলিংটন    ৩১ জানু.১৯৯১
ওয়াটলিং-উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)    ৬ষ্ঠ    ৩৬৫*    ৩য়    শ্রীলঙ্কা    ওয়েলিংটন    ৩ জানু.২০১৫
মুশফিক-সাকিব (বাংলাদেশ)    ৫ম    ৩৫৯    ১ম    নিউজিল্যান্ড    ওয়েলিংটন    ১২ জানু.২০১৭
ম্যাককালাম-ওয়াটলিং (নিউজিল্যান্ড)    ৬ষ্ঠ    ৩৫২    ৩য়    ভারত    ওয়েলিংটন    ১৪ ফেব্রু.২০১৪
আসিফ-মুস্তাক (পাকিস্তান)    ৪র্থ    ৩৫০    ১ম    নিউজিল্যান্ড    ডানেডিন    ৭ ফেব্রু.১৯৭৩





 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন