শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

৭ ব্যাটসম্যানের দিকে তাকিয়ে মুশফিক

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, হায়দারাবাদ (ভারত) থেকে :গত পরশু যে উইকেটটি ছিল সবুজাভ, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেই পিচের সবুজ রঙ উধাও! দুপুরে রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে পা দিয়ে ২২ গজী পিচ একবার পা টিপে টিপে হেঁটে, আঙুল দিয়ে স্পর্শ করে প্রাথমিকভাবে নিয়েছেন ধারণা মুশফিকুর রহিম। রোদের মধ্যে উইকেটের উপরে বিছিয়ে রাখা কম্বল সরিয়ে এক নজর দেখেছেন পিচটি অন্যরাও। কামরুল ইসলাম রাব্বী উইকেটের সম্ভাব্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ইশারায় যা বোঝাতে চাইলেন, তাতে স্পিনারদের হয়ে কথা বলবে পিচ। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিমের বক্তব্যেও একই ধারণাÑ‘ভারতের উইকেট নরমাল যেমন হয়, অনেকটা তেমনই টার্নিং এবং অনেক হার্ড উইকেট মনে হচ্ছে।  দেখে মনে হয়েছে ব্যাটিংয়ের জন্য অনেক ভালো একটি উইকেট। এখানে পেস বোলাররাও শুরুতে কিছুটা সাহায্য পেতে পারে। এখানে স্পিনাররা বাউন্স পাবে। দুই দিন খেলা অতিক্রম করার পর থেকে এখানে বেশি টার্ন করতে পারে।’
উইকেট যেমনই হোক, ভারতের বিপক্ষে লড়তে হলে মুশফিকুর চান এক থেকে সাত ব্যাটসম্যানের ব্যাটে রান। নিউজিল্যান্ড সফরে দুই ইনিংসে ফিফটি করে ইনিংসকে ক্যারি করতে পারেননি সাব্বির। মাহামুদুল্লাহ’র ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সে কারণেই অধিনায়ক মুশফিকুরের বার্তা একটাইÑ‘টপ সেভেনে যারা থাকবে, তাদের সবারই দায়িত্ব থাকে,  ভালো শুরু করে ইনিংস ক্যারি করা। টেস্ট ক্রিকেটে ৫০ প্লাস কিংবা ৬০ প্লাস রান কখনোই যথেষ্ট নয়। আশা করি সেই ব্যাপারে তারা ব্যাপারে সচেতন। তাদের স্কিল সম্পর্কে আমি জানি। যদি ভালো শুরু করতে পারে, তাহলে আমি নিশ্চিত তারাও অনেক বড় ইনিংস করতে পারবে।’
সাব্বিরকে নিয়ে দুর্ভাবনা নেই তারÑ‘নিউজিল্যান্ড সফরে এক টেস্টের দুই ইনিংসে দুটি ফিফটি করেছে। ও যেখানে ব্যাটিং করে, তাকে যদি অন্য কেউ সাপোর্ট না দেয় তাহলে তার জন্য রান করাটা অনেকটাই কঠিন। ওকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। প্রথমবার এখানে ও খেলবে, এটা তার জন্য বড় সুযোগ। সাব্বির নিজেও জানে তার  দুটি হাফসেঞ্চুরির পরও দল হেরেছে। তাই সে আরও রান করতে মুখিয়ে আছে। আশা করি সুযোগ পেলে বড় বড় ইনিংস খেলবে সে।’
নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ করে কিংবা শেষ টেস্টেও প্রথম ইনিংসে আশাব্যঞ্জক ইনিংসের পর বাংলাদেশ দলের হেরে যাওয়ার অন্তর্নিহিত রহস্য খুঁজে বের করেছেন মুশফিকÑ‘নিউজিল্যান্ডে বড় ইনিংস খেলার পরও আমাদের হারের বড় একটি কারণ হচ্ছে অন্য খেলোয়াড়দের সহযোগিতার অভাব। দলের সবাই এগিয়ে না এলে যে কোনো দলের জন্যই কাজটা কঠিন হয়ে যায়। খেলাটা দলীয় প্রচেষ্টার মাধ্যমে হতে হবে।’ নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ যেখানে খেলেছে কোকাবুরা বল দিয়ে, সেখানে ভারতে খেলতে হবে এসজি টেস্ট বল দিয়ে। বলের উপরে সেলাইটা স্পস্টভাবে উঁচু হয়ে থাকে বলে এই বলে টার্ন এবং রিভার্স সুইং পায় বেশি। তার সদ্ব্যবহারই কামনা করছেন মুশফিকুর রহিমÑ‘তাসকিন, রাব্বী নিউজিল্যান্ডে ভালো বোলিং করেছে। তাদের কাছে আমার চাহিদা এবং প্রত্যাশা আরও বেশি। কেননা যতই ভালো বোলিং করুক না কেন, উইকেট না পেলেওতো আর টেস্ট ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। আমাদের তাদের প্রতি বিশ্বাস আছে, তারা এরচেয়ে আরও বেশি ভালো করার সামর্থ রাখে। শুধু ওরা নয়, এখানে আমাদের স্পিনারাও ভালো একটা রোল প্লে করবে।এখানে আমরা যে বলে খেলব, তাতে  রিভার্স সুইং পাওয়া যাবে। আমার মনে হয়, তারা যদি কিছু মুভম্যেন্ট দেখাতে পারে তাহলে ভারতের উপরের ব্যাটসম্যানদেরকে আমার সমস্যায় ফেলতে পারব।’

টেস্টে বাংলাদেশ-ভারত
মুখোমুখি    ম্যাচ    জয়    হার    ড্র
বাংলাদেশ    ৮    ০    ৬    ২
ভারত    ৮    ৬    ০    ২
সর্বাধিক ম্যাচ
বাংলাদেশ : মোহাম্মদ আশরাফুল- ৬টি
ভারত : দ্রাবিড়, জহির, টেন্ডুলকার- ৭টি করে
অধিনায়ক হিসেবে সর্বাধিক ম্যাচ
বাংলাদেশ : হাবিবুল বাশার- ৪টি
ভারত : সৌরভ গাঙ্গুলি- ৩টি
সর্বোচ্চ দলীয়
বাংলাদেশ : ৪০০/১০, ঢাকা ২০০০
ভারত : ৬১০/৩ডি., ঢাকা ২০০৭
সর্বনিম্ন দলীয়
বাংলাদেশ : ৯১/১০, ঢাকা ২০০০
ভারত : ২৪৩/১০, চট্টগ্রাম ২০১০
বড় জয়
বাংলাদেশ : একটিও জয় নেই
ভারত : ইনিংস ও ২৩৯ রানে
সর্বোচ্চ রান
বাংলাদেশ : মোহাম্মদ আশরাফুল, ৬ ম্যাচে ৩৮৬
ভারত : শচীন টেন্ডুলকার, ৭ ম্যাচে ৮২০
সর্বোচ্চ ইনিংস
বাংলাদেশ : মোহাম্মদ আশরাফুল- ১৫৮*
ভারত : শচীন টেন্ডুলকার- ২৪৮*
সর্বাধিক সেঞ্চুরি
বাংলাদেশ : মুশফিক/তামীম/আশরাফুল/বুলবুল- ১টি করে
ভারত : শচীন টেন্ডুলকার- ৭ ম্যাচে ৫টি
সর্বাধিক ফিফটি
বাংলাদেশ : মোহাম্মদ আশরাফুল- ৬ ম্যাচে ৩টি
ভারত : শচীন টেন্ডুলকার- ৭ ম্যাচে ৫টি
সেরা জুটি (রানে)
বাংলাদেশ : তামীম-জুনায়েদ, ২০০ (২য়)
ভারত : বিজয়-ধাওয়ান, ২৮৩ (১ম)
সর্বাধিক উইকেট
বাংলাদেশ : মোহাম্মদ রফিক- ৫ ম্যাচে ১৫টি
ভারত : জহির খান- ৭ ম্যাচে ৩১টি
ইনিংসে সেরা বোলিং
বাংলাদেশ : নাইমুর রহমান, ৬/১৩২
ভারত : জহির খান, ৭/৮৭
ম্যাচে সেরা বোলিং
বাংলাদেশ : সাকিব আল হাসান, ৭/১৭৪
ভারত : ইরফান পাঠান, ১১/৯৬
সর্বাধিক ডিসমিসাল
বাংলাদেশ : মুশফিকুর রহিম, ৩ ম্যাচে ৮টি
ভারত : মহেন্দ্র সিং ধোনি, ৩ ম্যাচে ১৫টি
সর্বাধিক ক্যাচ
বাংলাদেশ : হাবিবুল বাশার, ৫ ম্যাচে ৪টি
ভারত : রাহুল দ্রাবিড়, ৭ ম্যাচে ১৩টি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন