মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রায়পুরে ৮ হাজার জেলে পরিবার দুর্দিনে বরাদ্দ না আসায় চাল পাচ্ছে না

| প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হারুনুর রশিদ, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) থেকে : জাটকা ও অন্যান্য মাছের পোনা নিধন বন্ধে মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিল এ দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা ও জাল ফেলা নিষিদ্ধ। এতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার ৫০ জন জেলে বেকার হয়ে পড়েছে। এসব জেলে মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ চেয়েও পাচ্ছে না। এসময় সরকার পুনর্বাসনের জন্য প্রতি জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া কথা থাকলেও বরাদ্দ না আসায় এখনও ওই চাল বিতরণ করে পারেনি উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জানা গেছে, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম করতে সব ধরনের জাল ফেলা নিষিদ্ধ করে। এ জন্য মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় প্রশাসন ১ মার্চ থেকে মেঘনায় সব ধরনের জাল ফেলা বন্ধ করে দেয়।
মৎস অফিস সূত্রে জানা গেছে,লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৮ হাজার ৫০ জন তালিকাভূক্ত জেলে পরিবার রয়েছে। চলতি জাটকা মৌসুমে সরকার পুনর্বাসনের জন্য ওই সকল জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি করে (চার মাস) চাল দেওয়া কথা রয়েছে। আর বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ জাল বানানোর সূতা দিয়ে সহযোগিতা করা হয় কিছু জেলে পরিবারকে। যা গত বছরও দেয়া হয়েছে। চলতি বছর এখনও সরকার কোন বরাদ্দ ও ঘোষণা না করায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের কোন কর্মসূচি করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাস্টার বলেন, নদীতে মাছ ধরেই এ এলাকার জেলেদের সংসার চালায়। অন্যকোন কাজ তাদের জানা নেই। দু’মাস আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার দ্রুত চালগুলো বরাদ্দ দিলে কিছু অভাব তাদের দূর হবে।
জেলে হুমায়ুন কবির ও আনোয়ার হোসেন জানান, চলতি বছর মৎস্য কর্মকর্তাদের কঠোর অভিযানে কোন জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যায় না। সরকারের কথা মতে তারা নৌকা ও জাল গুটিয়ে পাড়ে রেখে দিয়েছে। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেরা বেকার হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় অনেক পরিবারে চরম বেকাদায় পড়েন। এখন পর্যন্ত সরকারি কোন বরাদ্দ না পাওয়া দুই মাস কিভাবে চলবে, তা নিয়েও চিন্তিত।
রায়পুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, জেলেদের সাময়িক অসুবিধার মধ্যে আছে সত্য। তবে নদীতে জাটকা নিধন না হলে ইলিশ উৎপাদন বেড়ে যাবে। এর সুফল জেলেরাই পাবে। বরাদ্দ আসলেই দ্রুত জেলেদের মাঝে চাল বিরতণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন