বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

জালিয়াতি করে বিধবা ভাতা উত্তোলন

| প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : গোদাগাড়ী উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখা হতে জালিয়াতি করে বিধবা ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বিধবা ভাতা ভোগী গোদাগাড়ী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পোহাপুর গ্রামের তোহমিনা বেগম। তাঁর বহি নং ২২০৮, ব্যাংক হিসাব নম্বর ৩৪০৬৯৪০৪। তোহমিনা বেগম জানায়, তিনি গত ২৮ মার্চ ভাতা উত্তোলনের জন্য গোদাগাড়ী সোনালী ব্যাংক শাখায় যান। ব্যাংকের কর্তব্যরত অফিসার মো: মাহমুদুল আলম ও সারোয়ান হোসেন তাঁর নিকট হতে ভাতাবহিতে টাকার পরিমাণ ১৫০০ টাকা বসিয়ে নিয়ে টিপসই দিয়ে নেন। পরে তাঁর হিসাব নং দেখে বলেন আপনার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। গতকাল বুধবার তিনি তার ছেলে মো: রবিউল ইসলাম রবিকে নিয়ে ব্যাংকে এসে গোদাগাড়ী সোনালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার মো: মুনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যাংকের কর্তব্যরত অফিসার মাহমুদুল হোসেনকে ডেকে বিষটি জানতে চাইলে এই নামের টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে বলে জানায়। একজনের টাকা কিভাবে অন্যজন নিয়ে যায় এমন প্রশ্ন তোহমিনার ছেলে রবি জানতে চাইলে তিনি উপজেলা সমাজ সেবা অফিসকে দোষারোপ করে বলেন সেখান হতে একাধিক বই ইস্যু করে জালিয়াতি করা হয়। এটা তাদেরই দোষ। গোদাগাড়ী উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের সহকারি মো: ইকাবালে সাথে যোগাযোগ করে হলে তিনি তোহমিনার সকল কাগজপত্র দেখে বলেন, তাঁর তালিকায় নাম ঠিকানা ও হিসাব নম্বর ঠিক আছে, আর এখানে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের বিধবা ভাতাভোগীদের তালিকা ব্যাংকে দেওয়া আছে। কেউ যদি বেশী ভাতা ভোগ করে তাহলে বরাদ্দকৃত টাকার সাথে বেশী উত্তোলনের হিসাব মিলবে না। পরে উপজেলা হিসাব সহকারি মো: ইকবালকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মো: মাহমুদুল হোসেনের কাছে গেলে তিনি সমাজসেবা অফিসের জালিয়াতির প্রমাণ দিতে পারেনি। তাঁর ব্যাংক হতেই টাকা জালিয়াতি করে তোহমিনা নামের আরেক জন্য গত ২২ মার্চ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে বলে জানান। এছাড়াও ব্যাংক কর্মকর্তা মাহমুদুল হোসেন বলেন, আরেক জন্য ব্যাংক কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন দায়িত্বে আছেন, তিনি আজ ব্যাংকে আসেনি, বৃহস্পতিবার ব্যাংকে আসেন বিষয়টি দেখে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন