ঢাকা শহরে দু’তলা বাস বাঞ্ছনীয়
ঢাকা শহরে তীব্র যানজটের কারণে ২০ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে বর্তমানে দেড়-দুই ঘণ্টা লাগছে। যানজট কমাতে ফ্লাইওভার নির্মাণ, রাস্তায় গাড়ি রাখা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার পরেও দিন দিন যানজট প্রকট হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তো অসংখ্য গাড়ি সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যে ৩০০০ বাস ঢাকা শহরের জন্য আমদানি করতে যাচ্ছে। এগুলো চলবে কেমন করে ভেবে পাচ্ছি না। বর্তমানে ঢাকায় চলাচলরত বাসগুলো তীব্র যানজটের কবলে পড়ছে। এত সংখ্যক নতুন বাস নামানো হলে ঢাকা শহরের রাস্তায় কী অবস্থা দাঁড়াবে তা ভেবে দেখা দরকার। তার চেয়ে ৩০০০ সাধারণ বাসের বদলে ১৫০০ দোতলা বাস আনলে সবদিক দিয়ে ভালো হতে পারে। যানজট কমানোর জন্য আমার সুপারিশ হলো- ১) সরকারি/বেসরকারিভাবে দ্রুত পর্যাপ্ত দোতলা বাস আমদানি করে ঢাকা শহরে গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা। উল্লেখ্য যে, একটা দোতলা বাস একটা সাাধারণ বাসের সমপরিমাণ রাস্তার জায়গা দখল করে। তফাতটা হলো দোতলা বাস সাধারণ বাসের তুলনায় দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহন করে। এতে কম বাসে বেশি সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা যাবে। ২) এক বছর সময় বেধে দিয়ে ঢাকা শহরের সাধারণ বাস, মাইক্রোবাস ও দোতলা বাস এবং অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি থাকা। ৩) সড়কে বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানামার নীতিমালা কার্যকর করা। যেখানে সেখানে রাস্তার সংযোগস্থল ও মোড়ে কোনো বাস না দাঁড়ানো এবং তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। ৪) মুষ্টিমেয় গাড়ি আমদানিকারকের স্বার্থকে প্রধান্য না দিয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে আগামী তিন বছর পর্যন্ত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস আমদানি নিষিদ্ধ করা। ৫) বারিধারা থেকে বাড্ডা হয়ে রামপুরা পর্যন্ত এবং আরো কিছু যানজটপূর্ণ প্রধান সড়কে দ্রুত ফ্লাইওভার নির্মাণ করা। ৬) হাঁটুন আর সুস্থ থাকুন এই শ্লোগানে কম দূরত্বে গাড়ির বদলে হেঁটে যাতায়াতের জন্য প্রচার মাধ্যমে নগরবাসীদের উৎসাহিত করা। হাঁটলে শরীর ও মন ভালো থাকে, অর্থ সাশ্রয় হয় এবং নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছা যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নুরুল আলম, বাড়ি-এ/১৩, রোড-২,
বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
গ্রাউন্ড ফ্লোরের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন
ঢাকার কোতোয়ালি থানাধীন জনসন রোডের পশ্চিমে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালতসহ অধীনস্থ সকল আদালত, ট্রেজারি ভবন, সহকারী কমিশনার (ভূমি), কোতোয়ালি সার্কেল, জেলা প্রশাসক ভবন, পুলিশ সুপার কার্যালয়, সিজেএম আদালত ও সিএমএম আদালতের অধীনস্থ আদালতগুলো দক্ষিণে ডা. মিলন হল ও উত্তরে রায়সাহেব পর্যন্ত বিস্তৃত। এইসব ভবনের মধ্যে দুটি আদালত ভবন ষষ্ঠ তলা একটি ৮ম তলা এবং ১০ তলা। সাবেক সিএমএম আদালত ভবন সিজেএম আদালত ভবন, যা বর্তমানে বহুতলা ভবন নির্মাণের জন্য ভাঙার কাজ চলছে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এত সুউচ্চ ভবনের কোনটিতেই আন্ডার গ্রাউন্ড ফ্লোর নেই। যেখানে গাড়ি পার্কিং করা যাবে। অফিস সময়ে রিকশা, প্রাইভেটকার, এলাকাবাসীদের চলাচলসহ আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী সকলকেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ঘটনাটি একদিনের নয়, নিত্যদিনের। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, সিজেএম আদালত ভবনটিতে আন্ডার গ্রাউন্ড ফ্লোরের ব্যবস্থা রেখে সুউচ্চ ভবনটি তৈরি করা হোক।
মো. আতিকুর রহমান সেলিম,
টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন