মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মশার উৎপাত 

মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলার ছাত্রছাত্রীরা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের মোট নয়টি এবং মেয়েদের চারটি হলের সব কয়টিতেই মশার উৎপাত দেখা দিয়েছে। সন্ধ্যা হওয়ার আগে হলগুলোতে মশা উৎপাত চরমে ওঠে। মশার ভনভনানি এবং কামড়ের জ্বালায় সন্ধ্যার আগেই ছাত্রছাত্রীদের মশারির মধ্যে ঢুকে যেতে হয়। মশার এই উৎপাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি রাতের ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটছে। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছে না। মশার উৎপাত থেকে রক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীরা বিষাক্ত কয়েল ব্যবহার করছে। বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ার কারণেও অনেক ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হলগুলোর আশপাশের আবর্জনা, ময়লা বন্ধ পানিÑ এসব মশা উৎপাতের প্রধান কারণ। অবিলম্বে এসব ময়লা-আবর্জনা এবং মশা নিধনের উদ্যোগ নেওয়া একান্তই জরুরি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাকিবুল হাসান
শিক্ষার্থী, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

ইন্দেরহাটকে উপজেলা করুন
পিরোজপুর জেলার সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে ইন্দেরহাট আর পূর্ব পাড়ে উপজেলা শহর স্বরূপকাঠি। ইন্দেরহাট আর স্বরূপকাঠি পিরোজপুর জেলার অধীনে। স্বরূপকাঠী উপজেলার আটঘুর কুড়িয়ানা, বিনয়কাঠি দিয়ে রাস্তা হওয়াতে স্বরূপকাঠি থেকে ঝালকাঠি জেলা শহরের যেতে এখন ১ ঘণ্টা সময় লাঘে। এদিকে স্বরূপকাঠি থেকে পিরোজপুরে আসেম সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। এ অবস্থায় স্বরূপকাঠি উপজেলাকে ঝালকাঠি জেলার অধীনে দেওয়া হলে যে কোন দাপ্তরিক কাজ অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন স্বরূপকাঠিবাসী। এদিকে বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ইন্দেরহাট উপজেলায় উন্নীত হোন। তবে কালিগঙ্গা নদীর ওপরে সেতুন হলে ইন্দেরহাট থেকে পিরোজপুরে ১ ঘণ্টায় যাওয়া সম্ভব হবে। তাই ইন্দেরহাটকে উপজেলায় উন্নীত করে এটিকে পিরোজপুর জেলার অধীনে দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।

পেনশন নিয়মিত প্রদান করা হোক
আমরা সাবেক টিঅ্যান্ডটি বোর্ড বর্তমানে বিটিসিএলের অবসরপ্রাপ্ত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। স্বল্প বেতনের কর্মচারী হওয়ার কারণে আমাদের সঞ্চয় বলতে কিছুই নেই। বর্তমানে যে সামান্য পেনশন পাই তার ওপর নির্ভর করেই পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন ধারণ করতে হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, যে সামান্য পেনশন পাই তাও নিয়মিতভাবে প্রতি মাসে পাই না। দু’তিন মাস পর অনিয়মিতভাবে পেনশন পাওয়া যায়। অথচ টিঅ্যন্ডটি বোর্ড আমলে যারা অবসের গেছেন তারা পোস্টঅফিসের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে পেনশন পাচ্ছেন। পেনশন নিয়মিত না হওয়ার কারণে আমাদের ধারদেনা করে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত অনেকেরই বাড়ি জেলা শহর থেকে ৩০/৪০ কিলোমিটার দূরবর্তী বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে। এ বৃদ্ধ বয়সেও আমাদের পেনশন নেয়ার জন্য জেলা সদরে এসে একদিন কাগজপত্র জমা দিয়ে যেতে হয়। পরে আরেকদিন এসে চেক নিয়ে নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে তুলতে হয়। এতে আমাদের সময় ও অর্থের অপচয় হয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রেæয়ারি মাসের পেনশন এখনো পর্যন্ত আমাদের ভাগ্যে জোটেনি। পরিশেষে, আমরা যাতে আমাদের পেনশন প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে স্থানীয় পোস্টঅফিসে অথবা সোনালী ব্যাংকের যে কোনো শাখা থেকে পেতে পারি তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সনির্বন্ধ আবেদন জানাচ্ছি।
মো. আক্কাছ আলী আকন্দ
সাবেক লাইনম্যান, ময়মনসিংহ টেলিকম বিভাগ
বিটিসিএল, ময়মনসিংহ, পূর্বশিরি, শেরপুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন