ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার অরক্ষিত বিদ্যুৎ জংশনগুলোর ফায়ারিংয়ের ফলে স্থানীয়রা চরম ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে চলেছেন বলে অভিযাগ এলাকাবাসীর। পল্লিবিদ্যুতের যেসব খুটি থেকে চতুর্দিকে বৈদ্যুতিক তারের লাইন টানা হয়েছে সেসব খুটি পয়েন্টগুলোকে জংশন নামকরন করা হলেও উপজেলার সব কটি বৈদ্যুতিক জংশন অরক্ষিত ত্রæটিপূর্ণ বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে সামান্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ভোল্টেজ আপ-ডাউনে জংশন পয়েন্টের খুটি থেকে ফায়ারিং হচ্ছে এবং আগুনের গোলাগুলো পথচারী, বসতবাড়ি বা বিভিন্ন যানবাহনে ওড়ে গিয়ে পড়ছে।
উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নে কানাইরটেক গ্রামের মেইন সড়ক মোড়ে মেডিসিন ব্যবসায়ী মোঃ লুৎফর হোসেন জানান, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের একটি বৈদ্যুতিক খুটি থেকে চারদিকে তারের লাইনটানা হয়েছে। এ বৈদ্যুতিক তারের লাইনের মধ্যে উত্তর দিকের তারগুলো মোটা আবার দক্ষিন দিকের তারগুলো চিকন। ফলে এ জংশন পয়েন্টের বৈদ্যুতিক তার থেকে দিন রাত ফায়ারিং হওয়ার ফলে এলাকার সবাই আতংকের মধ্যে থাকে। উপর থেকে আগুনের গোলা খুলে খুলে পড়ার করানে যানবাহনের স্ট্যপিজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা পল্লি বিদ্যুত অফিসের বার বার অভিযোগ করার পরও কোনো কাজে আসছে না।
উক্ত মোড়ের আরেক ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন জানান, দুই বছর আগে এ বৈদ্যুতিক খুটির পাশের এক গৃহিনী বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিটে মারা যান। এরপর থেকে বৈদ্যুতিক লাইনে ফায়ারিং শুরু হলে আতœরক্ষার জন্য স্থানীয়রা নিরাপদে সরে থাকেন।
উপজেলা পল্লি বিদ্যুৎ অফিস ইনচার্জ সবুজ হোসেনের ফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নাই। তবে উপজেলা পল্লিবিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান আরিফ হোসেন জানান, বৈদ্যুতিক লাইনের জংশন পয়েন্টে ফায়ারিং হবেই। ফায়ারিং প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের অফিসিয়াল কোনো ব্যবস্থা নেই।
জানা যায়, উপজেলা পল্লি বিদ্যুৎ লাইনের গুরুত্বপূর্ন জংশনগুলোর মধ্যে সদর বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক জংশন, হাসপাতাল রোডের ব্রিজের গোড়ার জংশন, হাইস্কুল রোডের রনজিতের মোড়ের জংশন, জাকেরের সুরাবাজার, সুপারী বাগান গ্রামের মোড়, সর্দার বাড়ি মোড়, মৌলভীরচর বাজারের চার রাস্তার মোড়, কানাইরটেক মোড় ও চরহাজীগঞ্জর বাজারের চার রাস্তার মোড়সহ সব ক‘টি বৈদ্যুতিক জংশন লাইনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন