শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তকের মান প্রসঙ্গে
আগামী শিক্ষাবর্ষে শিশু-কিশোরদের হাতে নিম্নমানের বই পৌঁছানোর পাঁয়তারা চলছে। যেভাবে ২০১৫ ও ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে নিম্নমানের কাগজ, অস্পষ্ট ছাপা এবং দুর্বল বাঁধাইয়ের বই দিয়ে সরকারকে ব্যাপক সমালোচনায় ফেলা হয়েছিল। ঠিক সেভাবে আগামী বছরও একই অবস্থার সৃষ্টির চেষ্টা করছে একটি চক্র। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) অর্থলোভী এই চক্রটি বইয়ের মান যাচাইয়ের জন্য ইন্সপেকশন কম্পানি নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তকের মান যাচাইয়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ২০১৬ সালে তিন বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয় মেসার্স কন্টিনেন্টাল ইন্সপেকশন কম্পানিকে। এই প্রতিষ্ঠানের কাগজ পরীক্ষার ল্যাব ও যোগ্য লোকবল নেই। পাঠ্যপুস্তক ইন্সপেকশনের প্রাথমিক টেন্ডারে প্রতিষ্ঠানটির যোগ্যতা না থাকা সত্তে¡ও কৌশলে যোগ্য ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার করা হয়, যাতে অভিযুক্ত এ প্রতিষ্ঠানকেই কাজ দেওয়া যায়। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যপুস্তকের মান যাচাইয়ের জন্য তিন কোটি টাকা ব্যয় করে ব্যাপক সফলতা পেলেও ডিপিই কর্তৃপক্ষ আগামী বছরের পাঠ্যপুস্তকের মান যাচাইয়ের জন্য মেসার্স কন্টিনেন্টাল প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিচ্ছে মাত্র ২৯ লাখ টাকায়। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট ও ট্যাক্স। পাঠ্যপুস্তকের মান যাচাইয়ের জন্য প্রায় ১০০ জন দক্ষ সার্ভেয়ার ও কেমিস্ট নিয়োগ দিতে হবে আগামী ৯ মাসের জন্য। তাঁরা প্রতিদিন দুই শিফটে প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানে থেকে মান যাচাইয়ের কাজ করবেন এবং জানুয়ারি মাসে সারা দেশের ৫০৮টি উপজেলা থেকে ১০ হাজারেরও বেশি স্যাম্পল বই সংগ্রহ করবেন পরীক্ষা করার জন্য। এই টাকায় এ কাজ করা এককথায় অসম্ভব।
প্রতিষ্ঠানটি এবারও তিন থেকে পাঁচজন লোক নিয়ে কাজ করবে এবং ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করবে কোটি কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক বেলাল হোসেন গত তিন বছরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় নামে-বেনামে একাধিক বাড়ির মালিক হয়েছেন। বেলাল হোসেন বা কন্টিনেন্টাল প্রতিষ্ঠানটির নাম শুনলেই আতঙ্কে থাকেন আমাদের মুদ্রণশিল্পের লোকেরা। তাঁদের এই অনিয়ম ও দুর্নীতির খায়েশ মেটাতে গিয়ে পাঠ্যপুস্তকের সঠিক মান বজায় রাখা সম্ভব হয় না। প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে অনুসন্ধান করে তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য কালের কণ্ঠ’র কাছে আমাদের অনুরোধ রইল।
ইমতিয়াজ কবির, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আবেদন
স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করেননি তাঁদের মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জোন ‘বি’-এর নির্দেশে বরখাস্ত করা হয়েছিল। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহাল করে মুক্তিযোদ্ধার সব সুবিধাসহ দুই বছরের সিনিয়রিটি দেয়। সিনিয়রিটিপ্রাপ্তদের মধ্যে আমরা তিনজন সব আদেশসহ মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করি। পরে জানতে পারি, আমাকে ছাড়া বাকি দুজনকে মুক্তিযোদ্ধা যাছাই-বাছাই কমিটি তালিকাভুক্তির জন্য সুপারিশ করে। কমিটি (উপজেলা : বেগমগঞ্জ, জেলা : নোয়াখালী) আমার ব্যাপারে কোনো রকম মন্তব্য না করে আবেদনপত্র জামুকায় পাঠায়। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাকে তালিকাভুক্ত করার জন্য মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কৃষিবিদ নন্দ লাল দাশ, নন্দনকানন, চট্টগ্রাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন