প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়। ১৯৮৮ সালে লন্ডন ডিক্লারেশনের মাধ্যমেই প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালন শুরু হয়। জনসাধারণকে ঘাতক ব্যাধি এইচআইভি ও এইডস সম্পর্কে সচেতন করে তোলাই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য। এইডস একটি ঘাতক ব্যাধি। এ রোগের কোনো ঔষধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তাই মৃত্যুই এ রোগের শেষ পরিণতি। এরোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে ভালো করে জানা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদের সচেতন করে তুলতে হবে।
এইডস কী: এইডস এক আতঙ্কের নাম, এক মরণব্যাধিও একটি সংক্রামক রোগ। অউওঝ-এর পুরো অর্থ অপয়ঁরৎবফ ওসসঁহব উবভরপরবহপু ঝুহফৎড়সব শব্দ গুলোর প্রত্যেকটির প্রথম অক্ষর নিয়ে গঠিত হয়েছে অওউঝ। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এইচআইভি নামক ভাইরাসের সংক্রমণে এইডস রোগ হয়। এইচআইভি এর পুরো অর্থ হলো ঐঁসধহ ওসসঁহব উবভরপরবহপু ঠরৎঁং। ভাইরাসটি এক ধরনের রেট্রো ভাইরাস। এইচআইভি ভাইরাসটি সংক্রমণের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে যে কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়। এ থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই।
এইচ আইভির ইতিহাস: ১৯৮০ সালে সর্বপ্রথম রোগটিকে শনাক্ত করা হয়। ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু নিউমোনিয়ার রোগে আক্রান্ত রোগীদের দেহে নিউমোসিস্টিক ক্যারিনিয়াই জীবাণুর সন্ধান পান চিকিৎসকরা। যে জীবাণুর বর্তমান নাম নিউমোসিস্টিক জিরোভেসি। জানা যায়, পরে আফ্রিকায় ক্যাপোসিস সারকোমা নামক জীবাণুর দ্বারা সৃষ্ট মানব দেহে টিউমারের সন্ধান পান চিকিৎসকরা। এ নিয়ে চলে গবেষণা। ১৯৮৪ সালে সর্বপ্রথম একজন ফরাসি বিজ্ঞানী এইডসের জীবাণু আবিষ্কার করে এবং এর নাম দেন এলএভি। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণারত বিজ্ঞানীরা এর নাম দেন এইচটিএলভি। ১৯৮৬ সালে এর নামকরণ করা হয় এইচআইভি। বর্তমানে সারা বিশ্বে ব্যাপকহারে এ রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও প্রতি বছর এইডস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবেশী ভারতে লাখ লাখ এইডস রোগী রয়েছে এবং সেদেশের সাথে বাংলাদেশের জনগণের নানা কারণে যাওয়া আসা বাড়ছে এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও রয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তা হলো মায়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক এইডস রোগী রয়েছে। বর্তমানে সেদেশের সরকারের নির্যাতনের কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পূর্ব থেকে এইডস এ আক্রান্ত অনেক রোগী বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে আছেন। যাদের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের মধ্যেও ব্যাপকভাবে এই ঘাতক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত ১৪ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তরের খবর ছিল মায়ানমার থেকে এসেছে ২৫০০ এইডস রোগী। খুবই উদ্বেগজনক খবর। সরকারিভাবে ১৯ জনকে এইডস রোগে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। বিশেষ কোন ব্যবস্থার আওতায় আনতে না পারলে বাংলাদেশ বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। জানা যায়, এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে যে কয়টি দেশে এইচআইভি ও এইডস ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে, তার মধ্যে মায়ানমার অন্যতম। জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক সংস্থার ইউএনএইড এর সর্বশেষ তথ্য মতে, মায়ানমারে ২ লাখ ৬০ হাজারের মতো এইডস রোগী রয়েছে। খবরে প্রকাশ, সব রোহিঙ্গার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। যারা নানা অসুখ নিয়ে এসেছেন কেবল তাদের পরীক্ষার মাধ্যমে তথ্য জানা গেছে। মায়ানমারে সবচেয়ে বেশি এইডস রোগী ছিল রাখাইন রাজ্যে। আর এ রাজ্যেই রোহিঙ্গারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেশি। সেখানে সে দেশের সরকারের বাহিনী কর্তৃক ব্যাপকহারে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আর নির্যাতিতরাই বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ আশ্রিতদের সাথেই বাংলাদেশের মানুষের মেলামেশার সুযোগের কারণে অতি দ্রæত গতিতে এ ঘাতক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বিশেষ ব্যবস্থায় রাখতে। বিশেষ নজর দিতে আশ্রিত মানুষগুলির মধ্যে যেন অবাধে মেলামেশার সুযোগ না হয়। এ রোগটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো শরীরের অধিকাংশ তরল দ্রবণে এইচআইভি ছড়িয়ে পড়ে। তবে ¯েœহ পদার্থের আবরণ থাকায় এইচআইভি অত্যন্ত ভঙ্গুর। তাই এইচআইভি শরীরের বাহিরের বেশিক্ষণ বাঁচে না। এ কারণে সরাসরি রক্ত বা শুক্রাণু শরীরে প্রবেশ না করলে এইচআইভি সংক্রমণের আশঙ্কা কম। তাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সর্ব মহলকে অত্যন্ত সচেতন হওয়া জরুরি। বর্তমানে বাংলাদেশে এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার। সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক নেয় ৩৩ হাজার ৬৬ জন। সেবার বাহিরে আছে ২৩ হাজার ৮০৮ জন। সেবা পান ৯ হাজার ২৫৮ জন। (সূত্র: জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডস জুলাই/২০১৭, দৈনিক প্রথম আলো)। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম একজন বিদেশ ফেরত ব্যক্তির মাধ্যমে ১৯৮৯ সালে এইডস রোগের সন্ধান মিলে। তখন ২০০৭ সাল পর্যন্ত এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২০৭। বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার। খুবই উদ্বেগের ব্যাপার। এ ব্যাপারে জনসাধারণকে বেশি বেশি প্রচারের মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে হবে। মানুষ যত বেশি সচেতন হবে, জানবে, ততই আক্রান্তের হার কমবে।
এইচআইভি যেভাবে ছড়ায়: মানব দেহের ৪টি তরল পর্দাথের মাধ্যমে এইচআইভি জীবাণু বেশি ছড়ায়। ১) রক্ত, ২) বীর্য, ৩) ভেজাইনাল ফ্লুইড এবং ৪) মায়ের দুধ। তবে এইডস জীবাণু ছাড়নোর প্রধান কারণ অবাধ যৌন মিলন। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কনডম ছাড়া যৌন মিলন করলে। আক্রান্ত ব্যক্তি রক্ত শরীরে গ্রহণ করলে। সমকামী, বহুগামী ব্যক্তি, বাণিজ্যিক ও ভাসমান যৌন কর্মীদের মাধ্যমে। তারা বেশি ঝুঁকিপূণ। ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ। আক্রান্ত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি অস্থিমজ্জা, চোখের কর্ণিয়া ইত্যাদি শরীরে সংস্থাপন করলে। আক্রান্ত ব্যক্তির শেভিং রেজার, বেøড, ক্ষুর ব্যবহার করলে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা সুচ, সিরিঞ্জ, টুথব্রাশ ও ক্ষত সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি যেমন- রেজার, ছুরি, বেøড, ক্ষুর, ডাক্তারী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত না করে ব্যবহার করলে। হাসপাতাল এবং ল্যাবরেটরিতে জীবাণু মুক্ত সিরিঞ্জ ব্যবহার না করলে। আক্রান্ত গর্ভবতী মা থেকে গর্ভবস্থায় প্রসবের সময় এবং বুকের দুধ খাওয়ানের মাধ্যমে সন্তান আক্রান্ত হতে পারে। এইচআইভি আক্রান্ত বিভিন্ন দেশের সাথে নিবিড় ভৌগোলিক অবস্থান, দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা থাকা। শ্রমিক অভিবাসন ও মানব পাচার। এইচআইভি সর্ম্পকে জনসচেতনতার অভাব।
এইডস যে ভাবে ছড়ায় না: এইডস কোন ছোঁয়াছে রোগ নয়। হাঁচি-কাশি, থুথু বা শ্বাস প্রশ্বাসাসের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়ায় না। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা চলা ফেরা, খেলাধুলা করলে বা তাকে স্পর্শ করলে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কোলাকোলি বা করমর্দন করলে এমনকি একই ঘরে বসবাস করলে বা একই বিছানা, বালিশে থাকলে একই থালা বাসনে কাপড় ব্যবহার করলে। একই বাথরুম ব্যবহার করলে। মশা, মাছি বা পোকা মাকড়ের কামড়ের মাধ্যমে। এইডস রোগীর সংস্পর্শে আসা কোনো স্বাস্থ্যকর্মী, যেমন- চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়, আয়া। একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলে বা এক সাথে শ্রেণিকক্ষে উঠা বসা করলে। জীবাণু মুক্ত উপায়ে রক্তদান করলে রক্তদানকারীর এইডস হবে না।
এইডস আক্রান্ত লক্ষণসমূহ: এইডস রোগের কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষণ নেই। তবে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি অন্য যেকোনো রোগে আক্রান্ত হয়। সে রোগের লক্ষণসমূহ দেখা দেয়। যেমন কেউ যদি সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে সে জ্বরে আর ভালো হবে না, সেই জ্বরেই মৃত্যু হতে পারে। এইডস-এর জীবাণু মানব দেহে কয়েক বছর পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। কারও শরীরে এইচআইভি আছে কিনা তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য লক্ষণসমূহ হলো: ১. শরীরের ওজন দ্রæত হ্রাস পাওয়া। ২. পুনঃপুনঃ জ্বর ও রাতের বেলায় শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া। ৩. অতিরিক্ত অবসাদ অনুভব করা। ৪. ঘাড় ও বগলে অসহ্য ব্যথা হওয়া। ৫. শুকনো কাশি হওয়া। ৬. মুখমÐল অস্বাভাবিক রু² হওয়া। ৭. শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিশেষ করে মুখমÐল, নাক, চোখের পাতা ইত্যাদি অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া আর তা না কমা। ৮. দুই মাসের অধিক সময় ধরে পাতলা পায়খানা হওয়া। ৯. লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া।
এইডস প্রতিরোধে করণীয়: যেহেতু এইচআইভির বিরুদ্ধে প্রতিষেধক কোনো টিকা আবিষ্কার হয়নি। তাই প্রতিরোধ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রধানত এইডস রোগ যৌন মিলনের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই কঠোরভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক পরিহার করতে হবে। শুধু বিশ্বস্ত একজন স্বামী বা স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক রাখতে হবে। একাধিক যৌন সঙ্গী অবশ্যই পরিহার করতে হবে। মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন শরীফে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হে নবী, আপনি মুমিনদেরকে বলেন, তারা যেন তাদের নজর সংযত রাখে, তাদের যৌনাঙ্গের সংরক্ষণ করে। এটা তাদের জন্য মঙ্গল জনক’ (সূরা নূর, আয়াত ৩০)। সমকামিতা খুবই নিকৃষ্ট কাজ। ইসলামে একে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘সমকামীরা সীমা লংঘনকারী জাতি’ (সূরা আল আরাফ, আয়াত ৮১)। সুতরাং আমরা পবিত্র কুরআনের আদেশ নিষেধ মেনে চললেই বেঁচে থাকতে পারব। তাছাড়া নি¤œ লিখিত উপায়গুলো মেনে চলতে পারলে এইডস প্রতিরোধ করা সম্ভব। ১. এইচআইভি প্রতিরোধের মূল উপাদান হল শিক্ষা, সচেতনতা, সঠিক জ্ঞান ও ধারণা অত্যন্ত জরুরি। ২. অবাধ এবং অবৈধ যৌন ক্রিয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এটাই মুক্ত থাকার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পন্থা। ৩. ইনজেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ বা মাদক গ্রহণ করা বাদ দিতে হবে। ৪. একবার ব্যবহার করা যায় এমন জীবাণুমুক্ত সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে। ৫. শরীরে রক্ত বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গ্রহণের প্রয়োজন হলে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গ্রহণ করতে হবে। ৬. যৌন রোগ বা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে অতি দ্রæত চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে। ৭. এইচআইভি আক্রান্ত কোনো নারী তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবে না। ৮. জনসচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যম তথা পত্র-পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশনে এইডস রোগ সম্পর্কে ব্যাপকভাবে প্রচার চালাতে হবে। ৯. প্রতিরোধক ব্যবস্থা জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। ১০. সারা দেশের জেলা উপজেলা হাসপাতালগুলোতে স্বল্প মূল্যে এইচআইভি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করতে হবে। ১১. দেশের মসজিদগুলোর ইমামগণ এ ব্যাপারে মুসল্লিদের বয়ানের মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে পারেন। তাই সরকার ইমাম সাহেবদের এইডস রোগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এইডস একটি ঘাতক ব্যাধি। একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে তা থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো এইডস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা এবং সে অনুযায়ী সচেতন হয়ে নিরাপদ জীবনযাপন করা। আসুন আমরা সবাই এ ব্যাপারে সচেতন হই। অন্যকে সচেতন করে তুলি। এইডস থেকে বেঁচে থাকি। মনে রাখবেন সামাজিক জীবনের সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও জীবন-যাপনই এইডস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়।
লেখক: শিক্ষক, ফুলসাইন্দ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, গোলাপগঞ্জ, সিলেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন