শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে : শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে মাঠে ব্যস্ত সাতক্ষীরার কৃষক

প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : পৌষ মাঘ শীতকাল। কৃষকদের জন্য বোরো ধানের আবাদের সময়। কৃষকরা তাই শীত ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীত মৌসুম শুরু হওয়ার আগে কৃষকরা বীজতলার কাজ শুরু করেন। সাধারণত উঁচু জায়গায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়। চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় বোরো আবাদের আবাদ কম হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্য পূরণ হবে বলে আশাব্যক্ত করেছে কৃষি বিভাগ। জেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে, কলারোয়া উপজেলায় ১২ হাজার ৬৭১ হেক্টর জমিতে, তালা উপজেলায় ১৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে, দেবহাটা উপজেলায় ৬ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৫ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে, আশাশুনি উপজেলায় ৬ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে ও শ্যামনগর উপজেলায় ১ হাজার ৬০৮ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৯ হাজার ১০ হেক্টর, কলারোয়া উপজেলায় ১ হাজার ১৫০ হেক্টর, তালা উপজেলায় ১ হাজার ৭৫ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ২ হাজার ৬০০ হেক্টর, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৪৩৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ৫৮০ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল জলিল জানান, তিনি এবার পাচ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছেন। তিনি জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করছেন। তার প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে তিনি প্রায় ৮০ বস্তা ধান পাবেন। কলিগঞ্জ উপজেলার কৃষক গোলাম রসুল জানান, তিনি তার নিজস্ব তিন বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে তার খরচ হবে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। সব খরচ বাদে তিনি প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১৫ বস্তা ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান জানান, বছরের শুরুতে বোরো আবাদ কম হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ কতৃক যে টার্গেট আছে তা পূরণ হবে। জেলার কৃষকরা বোরো আবাদ একটু দেরিতে করে থাকেন। অনেক কৃষক বোরো আবাদ আগাম চাষ করছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কৃষি বিভাগ জেলায় ৭৩ হাজার ৭ শত ৭৮ হেক্টর জমিতে যে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি আবাদ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন