শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

পার্বতীপুরে ৫৯ প্রধান শিক্ষক ও ৭৫ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য

মৌলভীরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬৫ শিক্ষার্থীর মাত্র ২ জন শিক্ষক

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে এম এ জলিল সরকার: পার্বতীপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০৬টি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের ৫৯ ও সহকারী শিক্ষকের ৭৫টি পদ শূন্য থাকায় সমস্যা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে। জানা যায়, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার মৌলভীরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুইজন শিক্ষক দিয়েই চলছে ছয়টি শ্রেণির ২৬৫ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান। এতে করে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক পাঠদান। সরেজমিন জানা গেছে, পাঁচ পদের এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এবং একজন সহকারী শিক্ষক কর্মরত আছেন। ইতোপূর্বে চারজন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও দায়িত্বে অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের নিকটবর্তী আনন্দবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রশাসনিক বদলি করা হয়। পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে ১৮ এপ্রিল ২০১৭ একজন প্যানেল শিক্ষিকা শেফালী খাতুনকে নিয়োগ দেয়া হয় এবং স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ২১ সেপ্টম্বর ২০১৭ কুড়িগ্রামের সব প্যানেল শিক্ষককে নিজ জেলায় প্রত্যাহার করা হয়। এরপর থেকে দুইজন শিক্ষক দিয়ে ২৬৫ জন শিক্ষার্থীর প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলছে। প্রধান শিক্ষককে প্রায় সময় প্রশাসনিক কাজে উপজেলা সদরে যাতায়াতের ফলে একজন শিক্ষককে গোটা বিদ্যালয় সামলাতে হয়।
প্রধান শিক্ষক খন্দকার হাবিবুর রহমান বলেন, প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক স্বল্পতা যা ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অফিসিয়াল কাজ, উপবৃত্তি, শিশু জরিপ, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির বিস্কুটের হিসাব প্রতিদিন হালফিলসহ ছয়টি শ্রেণির পাঠদান সামলানো খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক মাত্র দু’জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। পার্বতীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কটের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত আছি তবে নতুন শিক্ষক নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত সমস্যা সমাধান জটিল। দিনাজপুর জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আহসান হাবিব জানান, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক স্বল্পতা কর্তৃপক্ষের নজরে আছে তবে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষককে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত ভাবে জানানোর প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। সচেতন অভিভাবক মহল মনে করেন, পার্শ¦বর্তী যে সমস্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক বেশি রয়েছে, সেখান থেকে শিক্ষক সমন্বয় করে শিক্ষক স্বল্পতা নিরসনে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন