সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কালোবাজির দায়ে এক যুবকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। তার নাম মো. মোখছেদুল মোমিন বিদ্যূৎ (৩২)। গত রাতে ভ্রাম্যমান আদালতে বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার দন্ডাদেশ দেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। গেল ঈদে সিন্ডিকেট চক্রটি আরো সক্রিয় হয়ে উঠে। তাদের অপতৎপরতায় ট্রেনের যাত্রী সাধারণ ট্রেনে টিকিট পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। কালোবাজারিরা স্টেশনের বুকিং সহকারিদের সঙ্গে যোগসাজসে টিকিট কাউন্টারের বাইরে ট্রেনের টিকিট তিন- চার গুন বেশিমূল্যে বিক্রি করে আসছিলেন। এ নিয়ে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। খবরটি নজরে আসে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের। তারা স্টেশনের টিকিট কলোবাজারিদের ধরতে তৎপর হয়ে উঠেন। গত সন্ধ্যায় সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্যাঞ্চের সদস্যরা আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন (চেয়ার) শ্রেণীর ৭ টি টিকিটসহ মোখছেদুল ইসলাম বিদ্যুৎকে (৩২) হাতেনাতে আটক করেন। আটক মোখছেদুল ইসলাম বিদ্যুৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের ট্রেনের টিকিট অনলাইনে সরবরাহ কাজ তদারকি কাজে নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিএনএস) এর সিস্টেম এডমিনর হিসেবে কর্মরত। তার কর্মস্থলও সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন। সে শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত বুকিং সহকারি মোশাররফ হোসেনের ছেলে। পরে সাজাপ্রাপ্ত মোখছেদুল ইসলাম বিদ্যুৎ জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে মুক্তি পান।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি মো. এমদাদুল হক ট্রেনের টিকিট কালোবাজি অভিযোগে মোখছেদুল ইসলাম বিদ্যুৎকে আটক এবং ভ্রাম্যমান আদালতে অর্থদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন