ফরিদপুর জেলার দুইটি নির্বাচনী আসনে ২৫ জন আ.লীগের নেতারা এমপি মনোনয়নের প্রত্যাশায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তারা ব্যানার, ফেস্টুন, গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ইত্যাদিতে ব্যস্ত রয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ফরিদপুর নির্বাচনী আসন-০১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালী) মনোনয়ন প্রত্যাশিরা হলেন- আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান এমপি আব্দুর রহমান, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সদস্য আরিফুর রহমান দোলন, বোয়ালমারী আ.লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন মুছা, আ.লীগ নেতা লায়ন সাখাওয়াত, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিয়াকত সিকদার, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাক, আ.লীগ নেতা ও রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম, আ.লীগ নেতা ডা. দিলীপ রায়।
ফরিদপুর নির্বাচনী আসন-২ : নগরকান্দা-সালথা। এ আসনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, তার পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী ও লাবু চৌধুরী, সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান জুয়েল চৌধুরী, বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা কাজী দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান, আ.লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া, মেজর অবসরপ্রাপ্ত আতম হালিমসহ ২৫ জন।
প্রতিটি নেতাকর্মী তারা নিজেরাই জানেন না, এই আসন দুটি থেকে কে মনোনয়ন পাবেন। তার পরও প্রত্যাশা নিয়ে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখন হতাশায় ভুগছেন এবং এলাকায় গণসংযোগ করে লাখ লাখ টাকাও খরচ করছেন ভোটারদের মন জোগাতে।
এ ছাড়া সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন কর্মকান্ডে নেতারা উপস্থিত হয়ে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। অনেক নেতা আবার অন্য কাউকে মনোনয়ন পাইয়ে দিতে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেও কিছু খাচ্ছেন, তাদের চামচাদেরও কিছু দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক-সংগঠক বিজয় পোদ্দার বলেন, এই দুটি আসনে যেই মনোনয়ন পাক লড়াই হবে বিএনপির সাথে। কিন্তু প্রকৃত আ.লীগ নেতাকেই মনোনয়ন দিতে হবে, না হলে নৌকার ভরাডুবি হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন