টাঙ্গাইল-৮ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন, বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা ভৌতিক মামলায় এলাকা ছাড়া। কৃষক শ্রমিক জনতালীগ সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম জোট প্রশ্নে দ্বিধাদ্ব›েদ্ব রয়েছেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা পরিস্থিতি অবলোকন করছেন। এ ছাড়া দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) আসনটি ১৯৯৬ সালের পর থেকে বিএনপির হাতছাড়া। বর্তমানে এ আসনের এমপি আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়। এর পূর্বে তার পিতা মরহুম শওকত মোমেন শাহজাহান এ আসনে চারবার এমপি ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নমূলক কাজ তুলে ধরে অনুপম শাহজাহান জয় পুনরায় আ.লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এলাকায় জনসংযোগ চালিয়ে আ.লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম খান, টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের), আ.লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ, সখিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আ.লীগ সম্পাদক শওকত সিকদার, বোয়ালী কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুল হক, সরকার আরিফুজ্জামান ফারুক।
এ আসনে বিএনপির শক্ত প্রার্থী কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। তিনি বিগত ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন, কাদের সিদ্দিকী ছিলেন তৃতীয় অবস্থানে, এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী মরহুম শওকত মোমেন শাহজাহান। বিএনপির অন্য তিন প্রার্থী হলেন- বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা ওবায়দুল হক নাসির, শেখ মোহাম্মদ হাবিব, বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম (শহিদ মুন্সি)।
বর্তমানে ভৌতিক মামলায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া। এ আসনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টি (আনোয়ার হোসেন মঞ্জু) সাদেক সিদ্দিকী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এলাকায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রথম নির্বাচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শওকত আলী (শওকত মাস্টার), ডা: লিয়াকত আলী। আ.লীগের বর্তমান এমপি অনুপম শাহজাহান জয় বলেন, আমার বাবা সাবেক এমপি শওকত মোমেন শাহজাহানের স্বপ্ন পূরণের জন্য রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছি, কাজই আমার দল ও জনগণ মূল্যায়ন করবে।
আ.লীগের অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভিপি ছিলাম, ছাত্রজীবন থেকে আ.লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্তমানে জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সখিপুর-বাসাইলের সকল নেতাকর্মী আমার সাথে আছে। ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ বলেন, বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা সুষ্ঠুভাবে পালন করেছি। এ আসনে আমাকে মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হবো আশা রাখি। আব্দুস সালাম খান বলেন, ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল, এবারো দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমি আশাবাদী। বিএনপির অ্যাডভোকেট আযম খান বলেন, আ.লীগের অনিয়ম-দুর্নীতি, গুম-খুন এ জনগণ অতিষ্ঠ। জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। আ.লীগের শওকত সিকদার বলেন, আমি দীর্ঘদিন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান, দল মনোনয়ন দিলে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সমন্বয় করে বিজয়ী হবই।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শওকত আলী বলেন, ভালো মানুষ হিসেবে জনগণ আমাকে বেছে নেবে। সখিপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সম্পাদক অধ্যাপক মীর জুলফিকার শামীম বলেন, বঙ্গবীর জোটে গেলেও না গেলেও জনগণ তাকেই বেছে নিয়েছে, তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। আগামী নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে বিএনপি, আ.লীগ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রার্থীর মধ্যে ত্রি-মুখী নির্বাচন হবে বলে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন