মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

অবৈধ ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর প্রস্তুতি

চরফ্যাসন (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৬ এএম

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই ভোলার চরফ্যাসনে ঘনবসতি এলাকাগুলোতে পরিবেশ দূষণ করে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। প্রশাসনের চোখের সামনেই অবৈধ এসব ইটভাটাতে বেআইনিভাবে পোড়ানো হচ্ছে পরিবেশ সুরক্ষার কাঠ। উজার হচ্ছে হরেক রকমের পরিবেশ বান্ধব গাছ। এতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে মানুষের স্বাস্থ্য ও ফসলি জমি। তবে জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকী জানান, লাইসেন্সবিহীন ইটভাটাগুলো বন্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফসলি জমি ও ঘনবসতি এলাকায় ইটভাটা নির্মাণ নিষিদ্ধ হলেও পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চরফ্যসনে একের পর এক গড়ে উঠছে ইটভাটা। চরফ্যাসনে মোট ২৫টি ইটভাটার মধ্যে ছয়টির পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিয়েছেন বলে সূত্রে জানা যায়। বাকি ১৯টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে। ২৫টি ইটভাটার মধ্যে ২২টি গড়ে উঠেছে গণবসতি এরিয়ায় ফসলি জমিতে। এতে যেমনী পরিবেশ দূষিত হয়েছে, তেমনি জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে ছড়িয়ে পড়েছে’।

আইনানুযায়ী ১২০ ফুট চিমনি দিয়েকয়লাব্যবহার করে ইট পোড়াতে বলা হয়েছে। অথচ কাঠ দিয়ে ২০ থেকে ৪০ ফুট ড্রাম চিমনিতে ইট পোড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় পরিবেশ দূষণ থেকে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি রক্ষায় ইটভাটাগুলো সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বেতুয়া খালের আলী হোসেন বলেন, তার জমিতে ইটভাটা রয়েছে। ন্যায্য মূল্য না দিয়ে দখল করে ইটভাটা করেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ বছরে একবার এসে দু-একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। লাইসেন্স বিহীন ইটভাটাগুলোর তালিকা করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চরফ্যাশন ইটভাটা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মেসার্স এ আলী, জাহান, শাপলা, মহাজন, সানিমা, এ অভি ও উপকুল নামক ৬টি ইটভাটার লাইসেন্স রয়েছে বাকি ইটভাটাগুলোর কোন লাইনেন্স নেই বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক আবদুল হামিদ বলেছেন, জনবসতি এলাকায় ইট পোড়ানোর কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ আইন অমান্য করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ডিসি অফিসে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটার তালিকা রয়েছে। মোবাইল কোর্টের জন্যে আলাদা ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। ইটভাটার কাজ এখনও শুরু হয়নি। খুব শ্রীঘ্রই আমরা মোবাইল কোট বসাবো।
ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, অনুমতি না নিলে লাইসেন্সবিহীন ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
চরফ্যাশন ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আখন বলেন, এ বিষয়ে আমরা ৩ বছর পূর্বে ডাকবাংলোতে মিটিংয়ে বসে ছিলাম। সে সময় সবাইকে ঝিকঝাঁক ব্রিকস করার জন্যে বলা হলে কিছু মালিকগন এক বছর সময় নিয়েছে। তার পর থেকে ইটভাটা মালিক সমিতির সাথে কোন যোগাযোগ নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন