গ্রামীণ সড়ক ও ব্রীজ উন্নয়নে ‘অপারেশন ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস’এবং ‘সেকেন্ড রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রæভমেন্ট’ নামের দুটি প্রকল্পে ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ২শ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরে)।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম এবং ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান।
চুক্তি শেষে মাহমুদা বেগম বলেন, প্রকল্প দুটি দেশের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলাফল ভিত্তিতে অর্থায়ন করা হবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু কাজ করা হলে তার সফলতার ভিত্তিতে পরের অংশ অর্থছাড় করা হবে। এ পদ্ধতি প্রয়োগ করায় প্রকল্পের মান বাড়বে।
তিনি জানান, গত অর্থবছর বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ঋণের চুক্তি হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের সহায়তা বিশ্বব্যাংক অনুদান দিয়েছে।
চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশে শক্তিশালী গ্রামীণ সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই সড়ক নেটওয়ার্ক বিশেষ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- বন্যা, জলোচ্ছাস, সাইক্লোন ইত্যাদির কারণে এই নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য মেইনটেনেন্স কর্মসূচী হিসেবে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হবে। এতে জলবায়ু শহনশীল এবং টেকসই গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অপারেশন ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পের আওতায় বর্মমানে গ্রামীণ যেসব সেতু রয়েছে সেগুলোর সংস্কার করা হবে। এছাড়া এসব সেতুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও প্রতিস্থাপন, প্রয়োজনীয় গ্রামীণ সেতু নির্মাণ, গ্রামীণ সেতু নির্মাণের লক্ষে পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি,সমন্বিত অডিট ব্যবস্থাপনা, ডিসবাজমেন্ট লিংক ইন্ডিকেটর (ডিএলআই) ভেরিফিকেশন এবং এলজিইডির দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে। এ প্রকল্পটি চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
দ্বিতীয় রুরাল ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পটিতে অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসেবে ১০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল সংস্থাটি। প্রকল্পটির আওতায় সাম্প্রতিক বন্যা ও দীর্ঘ মেয়াদী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পের আওতাধীন ১৮টি জেলার ১ হাজার ৪৩৩ কিলোমিটার উপজেলা ও ইউনিয়ন রাস্তা মেরামত,আবহাওয়া সহনশীল রাস্তার ডিজাইন এবং প্রকল্প মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
বিশ্বব্যাংকের দেয়া এ ঋণ ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে সরকারকে। সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সার্ভিস চার্জ শুন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। মোট ২ শতাংশ সুদ দিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন