মোহাম্মদ আবদুল গফুর : বাংলাদেশের রাজনীতি ক্ষেত্রে এখন কেঁচো খুঁড়তে সাপ উঠার অবস্থা। যতই দিন যাচ্ছে, ততই রিটায়ারমেন্টের পর বিচারপতিদের রায় লেখার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তের পাল্লা ভারি হয়ে উঠছে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের আইনগত অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির যে নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হয় তার নৈতিক অবস্থান ছিল অত্যন্ত দুর্বল। কারণ সে নির্বাচন কোন বিবেচনায়ই সকল দলের কাছে গ্রহণযোগ্য কোন নির্বাচন ছিল না।
পাঠকদের মনে থাকার কথা, জেনারেল এরশাদের নয় বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসানে দেশের দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে ব্যবস্থা হয় তার প্রধান ছিলেন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ। সে নির্বাচনে নিজ ভোট কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতাকালে এক পর্যায়ে বলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, কেউ যেন নির্বাচনে হেরে গিয়ে এর মধ্যে আবার ‘কারচুপি’ আবিষ্কার না করেন। পরে নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা গেল, আওয়ামী লীগ নয়, বিজয়ী হয়েছে বিএনপি। তখন শেখ হাসিনা অবলীলাক্রমে বলে ফেললেন, নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে।
নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলের অবসানে প্রধানত: তদানীন্তন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার দাবির মুখেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান সংবিধানে বিধিবদ্ধ করা হয়। এই ব্যবস্থা যে বাংলাদেশের মত দেশে বিশেষ উপযোগী তা বাস্তবে প্রমাণিত হয়। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশে বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন হয় এবং তাতে পালাক্রমে দুই প্রধান দলই ক্ষমতাসীন হয়। দুঃখের বিষয় অতিরিক্ত ক্ষমতা ক্ষুধার কারণে দেশের জন্য উপযোগী এই সুন্দর ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পালা শুরু হয়। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার শাসনামলে এই সুন্দর ব্যবস্থার পরিবর্তে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়।
অতীতের সমঝোতা লঙ্ঘনের অভিযোগে বিএনপি ঐ নির্বাচন বয়কট করে। দেশের দুই প্রধান দলের একটি দল নির্বাচন বর্জন করায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ঐ নির্বাচন তার সকল গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে একটি নির্বাচনী প্রহসনে পরিণত হয়। দেশের ইতিহাসের স্মরণকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে জাতীয় সংসদের মোট ৩শ’ আসনের ১৫৩টিতে সরকারি দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। যেসব আসনে নির্বাচন হয়, সেসব আসনেও খুব কম ভোটারই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন। প্রধান বিরোধী দলের সমর্থকদের বয়কটজনিত অনুপস্থিতির সুযোগে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা ইচ্ছামতো ব্যালটপত্রে সীল মেরে এক ঐতিহাসিক ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি প্রার্থীদের পক্ষে ‘প্রদত্ত’ ভোট সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করে তোলার দায়িত্ব পালন করেন।
জনগণ স্বাভাবিক কারণেই এই নির্বাচনকে ভোটারবিহীন নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করেন। এই নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য খুশীই হন। তিনি জাতীয় সংসদে বক্তৃতা দানকালে এক পর্যায়ে মন্তব্য করেন। বিএনপি নির্বাচন বয়কট করে ভালোই হয়েছে। সংসদে তাদের খিস্তি খেউড় শুনতে হচ্ছে না। আওয়ামী নেত্রীর এ মন্তব্য প্রমাণ করে, তারা এখনও গণতন্ত্রঘাতী একদলীয় বাকশালী রাজনীতির মোহ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না।
এর প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের সর্বশেষ কর্মকা-েও। আওয়ামী লীগ শাসনামলে দেশে বর্তমানে এমনিতে যে জাতীয় সংসদ রয়েছে সেখানে গৃহপালিত বিরোধী দলের ব্যবস্থা রয়েছে। সংসদের এ বিরোধী দলীয় নেত্রী হচ্ছেন বেগম রওশন এরশাদ, যার স্বামী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অতি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে অতিশয় শ্রদ্ধা করেন। তবু রাজনৈতিক প্রয়োজনে তিনি সরকারি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে তার জাতীয় পার্টীকে একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলবেন। এই ‘মহান’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আওয়ামী সরকারের প্রদত্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারের আবেদন জানিয়েছেন।
বর্তমান শাসকদল দেশের প্রধান (ও প্রকৃত) বিরোধী দল বিএনপিকে অস্তিত্বহীন করে দিতে এক সুদূরপ্রসারী বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, তার বহু আলামত ক্রমেই জনগণের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। হঠাৎ করে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চায়ের কাপে ঝড় তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে কি রাষ্ট্রদ্রোহিতার কোন উপাদান রয়েছে? আসলে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে কত লোক অংশগ্রহণ করেন ও প্রাণ হারান তার সম্পূর্ণ শুমার করা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। তাতে অসম্পূর্ণতা থেকে যাওয়াই স্বাভাবিক।
আমরা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, দেশের কোটি কোটি মানুষের মাত্র অল্প কয়েকজন যারা দেশের সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে যান বা অভ্যন্তরে থেকে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তারা ছাড়াও যারা বিভিন্ন ছদ্মবেশে তদানীন্তন সরকারের সাথে বাহ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখেও ভেতরে ভেতরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেন, তাদেরকেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গননা করার কোন কারণ নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কুষ্টিয়ার এক কলেজ-শিক্ষকের কথা জানি, যিনি ১৯৭১’র সরকার পক্ষীয় একটি কমিটির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষে ভারত থেকে ফেরত আসা মুক্তিযোদ্ধারা তার বাসভবনে ভীড় করেন। ভদ্রলোক খুব জনপ্রিয় অধ্যাপক ছিলেন। সকলে তাঁর আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। তাদের উদ্বেগের অবসান হয় যখন তারা দেখেন, মুক্তিযোদ্ধারা লাইন দিয়ে তাকে কদমবুসি করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। তারা জানানজনগণকে হানাদার বাহিনীর অত্যাচার থেকে বাঁচাতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, তার সব খবর আমরা ইন্ডিয়া থেকে ঠিক ঠিকই পেতাম। অথচ তিনি লিস্টভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
আসলে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আঙ্গুলে গণনা করা যায় এমন কতিপয় ব্যক্তি ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় সমগ্র জনগোষ্ঠীই কোন না কোনভাবে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন, যার ফলে পাকিস্তানের দুর্ধর্ষ সুশিক্ষিত সেনাবাহিনীকে পরাজিত করা মুক্তিবাহিনীর পক্ষে সহজ হয়ে ওঠে। এটাই ছিল বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করা আর প্রকৃত সত্যকে অস্বীকার করা একই কথা।
আসলে আওয়ামী নেত্রী চাইছেন, তাঁর ক্ষমতায় যাওয়া ও ক্ষমতায় দীর্ঘকাল ধরে টিকে থাকার পথের প্রধান কাঁটাকে অপসারিত করতে। এই কাঁটা হচ্ছে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি একাধিক বার অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জনগণের কাছে তাঁর বিপুল গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। নইলে যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তাব বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে প্রধানত আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার দাবির মুখেই সংবিধানে বিধিবদ্ধ হয়, তাতে শেখ হাসিনার এখন এত ভয় কেন? ক্ষমতাসীন হয়ে তার সরকারের আমলে তাঁর নিজের এককালের দাবি থেকে সরে এসে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে তিনি কি এটাই প্রমাণ করেননি যে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিলে সে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে এবং তাতে তাঁর দলের পক্ষে বিজয়ী হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে?
অথচ নিয়মিত ব্যবধানে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে একেবারেই অপরিহার্য। আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনার এককালের দাবি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান থেকে তাঁর সরে আসায় প্রমাণিত হয় অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাতে তার বিজয়ী হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। এতে আরও প্রমাণিত হয় জনগণের কাছে তার দলের গ্রহণযোগ্যতায় বিরাট ধস নেমেছে, তাই জনগণের অবাধ রায়ের প্রতি তার এত ভয়। সে ক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষা পূরণের জন্য নিজ দলের সরকারের অধীনে পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন অনুষ্ঠান করা এবং জনপ্রিয় বিরোধী দলকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে দূরে সরিয়ে রেখে তার আজ্ঞাবাহী গৃহপালিত বিরোধী দল বানিয়ে একই সাথে ক্ষমতায় থাকা এবং বিশ্ববাসীকে গণতন্ত্রের ধোঁকা দেয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।
সরকারের বিভিন্নমুখী কর্মকা- থেকে এই নির্মম সত্য প্রকট হয়ে পড়ছে। এ লক্ষ্যে একদিকে সরকার প্রধান তার রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষা পূরণের পথের প্রধান কাঁটা দূর করতে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার মাধ্য তাকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চান, অন্যদিকে জনরোষে পতিত সাবেক স্বৈরাচারী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে গৃহপালিত বিরোধী দল হিসেবে ব্যবহার দেশে যে ‘গণতন্ত্র’ আছে, তার জানান দিতে চান বহির্বিশ্বের কাছে। রাজনৈতিক ময়দানে সরকারের এই বহুমুখী সমস্যার কারণে বর্তমান সরকারের নৈতিক অবস্থান যখন দুর্বলতম পর্যায়ে নেমে গেছে, তখন মাননীয় প্রধান বিচারপতির একটি বক্তব্য হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বোঝার উপর শাকের আঁটি হয়ে দেখা দিয়েছে।
এমনিতে বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তার ফলে বর্তমান সরকারের নৈতিকভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে রয়েছে। এখন এর সাথে প্রধান বিচারপতির একটি বক্তব্য যুক্ত হওয়ায় বর্তমান সরকারের আইনগত ভিত্তিতেও প্রবলভাবে কাঁপন লাগিয়ে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি তাঁর বক্তব্যে অটল থাকায় এ সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তির কোন পথ দেখা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার প্রধানের পথের প্রধান কাঁটা বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে না হয় মামলার মাধ্যমে রাজনৈতিক ময়দান থেকে দূরে রেখে আপাতত রাজনৈতিক সমস্যার মোকাবেলা করা সম্ভব হল, কিন্তু প্রধান বিচারপতির যে বক্তব্য বর্তমান সরকারের আইনগত ভিত্তিতেই কাঁপন লাগিয়ে দিয়েছে, যে সমস্যার সুরাহা করবেন কিভাবে সরকার প্রধান?
তাছাড়া বর্তমান সরকার প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে রাজনৈতিক ময়দান হতে সরিয়ে রেখে তার আজ্ঞাবাহী পতিত স্বৈরাচার সাবেক সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দিয়ে গৃহপালিত বিরোধী দল সাজিয়ে দেশ-বিদেশের গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধোঁকা দেয়ার যে পরিকল্পনা করছে, তা বাস্তবে কতটা সম্ভব হবে, সেটাও বাস্তবতার আলোকে ভেবে দেখতে হবে। সরকারের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না। এটা নিশ্চয়ই তার অন্তরের কামনা। কিন্তু শকুনের দোয়ায় তো আর গরু মরে না। একদিকে শেখ হাসিনার এককালের নিজের দাবি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি থেকে সরে আসায় প্রমাণিত হয়, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। অন্যদিকে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি জরিপের ফলাফলে দেখা যায় দেশের শতকরা ৬৮ ভাগ মানুষ চায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। এরপর গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মত প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে সরকারের আইনগত ভিত্তিতেই কাঁপন লেগে গেছে। এই অবস্থায় সরকার কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন