শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

হস্তান্তরের আগেই ফাটল : ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান

চরযাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন

শরীয়তপুর থেকে মো. হাবিবুর রহমান হাবীব | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

কোন রকম নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে ভবন বুঝিয়ে দেয়ার আগেই নতুন ভবনে ফাটল ধরেছে। ঝুঁকি জেনেও নিরুপায় হয়ে ফাটল ধরা ভবনে চলছে পাঠদান। নবনির্মিত ভবন ধসে যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা।
জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৪১ নং চরযাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও জাতীয়করণ করা হয় স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ সালে। ২০১৭ সালে শরীয়তপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। মেসার্স আব্দুল মান্নান লস্কর নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবনের নির্মাণ কাজ করে। চারতলা বিশিষ্ট ভবনের প্রথম তলার নির্মাণ কাজ শেষ করে চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবনটি পাঠদানের উপযোগী হয়েছে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানান। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নবনির্মিত ভবনে পাঠদান শুরু করে। তিন মাসের মাথায় দেখা যায় ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ভবনের প্রতিটি জানালার কলামে বড় বড় ফাটল। মেঝেতে গর্ত। সিঁড়ি ফেটে ভবন থেকে আলাদা হয়ে গেছে। ভবনের দেয়ালেও রয়েছে অসংখ্য ফাটল। এ ছাড়াও ভবনের বিভিন্ন অংশে জোড়াতালি দিয়ে সচল রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ১৩৮ জন শিক্ষার্থী চার জন শিক্ষক ভবন ধসের আতঙ্কে থাকেন সব সময়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার মন্ডল বলেন, ঠিকাদার বলেছে নতুন ভবন পাঠ দানের উপযোগী। আমাদেরও শ্রেণী কক্ষের সমস্যা তাই নতুন ভবনে ফেব্রæয়ারি থেকে পাঠদান শুরু করি। এরই মধ্যে ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। আমরা ঝুঁকি নিয়ে ফাটল ধরা ভবনে পাঠদান দিচ্ছি। এতে সকল সময় আতঙ্কে থাকি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সুমী বলেন, নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রি দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা নিরাপদ পরিবেশে পাঠদান করতে চাই। এ ভবন যে কোনো সময়ে ধসে যেতে পারে। আমরা ঝুঁকিতে আছি। আমরা ঝুঁকিমুক্ত পাঠদানের পরিবেশ চাই।
এসএমসি সদস্য আসমা বেগম বলেন, ভবনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। নব নির্মিত ভবনে ফাটল ধরার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত¡াধিকারী আব্দুল মান্নান লস্করের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। সহকারী ঠিকাদার সোহেল খানের সাথে কথা বলে জানা যায়, মূল ঠিকাদার কাজটি আমার কাছে বিক্রি করে দেয়। আমি আজ ঢাকায় আছি। ঢাকা থেকে এসে এ বিষয়ে কথা বলব।
এলজিইডি’র সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া বলেন, ঠিকাদার এলজিইডিকে ভবনটি এখনো বুঝিয়ে দেয়নি। বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল ধরার বিষয়টি আমি শুনেছি। আমরা বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাব। কোনো অনিয়ম পেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন করেছে এলজিইডি। বিদ্যালয়ে নতুন ভবনে ফাটল ধরেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের চৌহুদি গ্রামের খেতাবপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযুদ্ধা আলহাজ নাজিম উদ্দিন বীরপ্রতীক গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টায় ঢাকায় ইন্তেকাল করেন, (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি ২ কন্যা, আত্মীয়, গুণগ্রাহী ও রণাঙ্গনের সাথী রেখে গেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় নামাজের জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিনি পাকিস্তানি আর্মি থেকে পলায়ন করে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে প্রশিক্ষণ করে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে বহুস্থানে মুক্তিযুদ্ধাদের প্রশিক্ষিত করেছিলেন। তাঁর যুদ্ধকালীন জীবনে বহু সাহসী অপারেশন রয়েছে। তাঁর জানাযায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আজিজ, উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল মিল্লাত, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ ইয়াসির মিয়া, জেলা কাউন্সিলর আলহাজ মো. জিল্লুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ, কুলিয়ারচর ও উছমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম ক্বারী উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন